Title | : | পূর্ব-পশ্চিম (পূর্ব-পশ্চিম, #২) |
Author | : | |
Rating | : | |
ISBN | : | 8170661838 |
ISBN-10 | : | 9788170661832 |
Language | : | Bengali |
Format Type | : | Hardcover |
Number of Pages | : | 491 |
Publication | : | Published January 1, 1989 |
পূর্ব-পশ্চিম (পূর্ব-পশ্চিম, #২) Reviews
-
লেখকের বিখ্যাত সময় ট্রিলজির তৃতীয় এবং শেষ বই এটি। দুটো খন্ডে বিভক্ত দুটি বইয়ে উঠে এসেছে ১৯৪৭ এর ভারত বিভাগের সময়কার পরিস্থিতি, দেশত্যাগ, উদ্বাস্তুদের জীবন, নতুন প্রজন্মের চিন্তাধারা, পশ্চিমবঙ্গের নকশাল আন্দোলন, এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী কিছুটা সময়। এই সবকিছুর সাথে সাথে আমরা পেয়েছি প্রতাপ মজুমদারের পরিবার এবং আরো অনেক কাল্পনিক ও সত্য চরিত্রসমূহ।
যারা শুধুমাত্র প্রথম খন্ড পড়েছেন, তারা চাইলে রিভিউটি পড়া থেকে বিরত থাকতে পারেন। কারণ দ্বিতীয় খন্ডের বেশ কিছু বিষয় চলে এসেছে এখানে।
১. ১ম খন্ডে কলকাতার প্রতাপ মজুমদার, মমতা, পিকলু, তাদের পুরাতন বাংলাদেশের বাড়ি, মা, বোন, তুতুল, বিমানবিহারী, ত্রিদিব, সুলেখা, ঢাকার মামুন, মঞ্জু,বুলা ইত্যাদি অনেকের সম্পর্কে অনেক কথা, গল্প, তাদের চরিত্রায়ন করা হয়েছে। দেশভাগের সময়টায় যেমন একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, কত কত রিফিউজি চলে এসেছিলো সে সময়, তাদের কষ্ট দেখেছি আমরা সেখানে। এরসাথে সাথে সে সময়কার রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও অনেকাংশে বোঝা যায়।
২. অতীন মজুমদার অর্থাৎ বাবলুর বড় হওয়া, কলেজজীবন, তার বন্ধুরা, অলির সাথে একটা অন্যরকম সম্পর্ক তৈরি, স্টাডি সার্কেল ও নকশাল আন্দোলনের সাথে জড়িয়ে যাওয়া এই সবকিছু। ১ম খন্ড শেষ হয় একদম হুট করে একটা ঘটনার মাধ্যমে।
৩. দ্বিতীয় খন্ডে আরো অনেক বিস্তারিত ঘটনা চলতে থাকে। নকশালবাড়ি মুভমেন্ট, সেসময় প্রচুর গোলাগুলি, ছাত্রদের মৃত্যু,কৌশিক পমপমদের প্রচন্ড কষ্ট ইত্যাদি। এদিকে পূর্ব বাংলায় আস্তে আস্তে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হতে থাকে। ২৫ মার্চের গণহত্যার পর কিভাবে মানুষ পালাচ্ছিলো, আবার অনেকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো, কলকাতায় যেয়ে পূর্ব বাংলার অনেকে অনেককিছু করেন এসব। মামুন, মঞ্জু, হেনা রা কিভাবে দিন কাটান, যুদ্ধ কিভাবে ঘনীভূত হতে থাকে প্রতিটা বিষয় ডিটেইলস এ বর্ণনা করেছেন লেখক।
.৪.এই বইয়ের অন্যতম মূল চরিত্র অতীন মজুমদার। তার একটা সময় বিদেশে পাড়ি জমানো এবং তারপর সেখানকার জীবন, তখনকার মানসিক অবস্থা, দেশের প্রতি প্রচন্ড টান, নিজের উপর রাগ ক্ষোভ, তার ভালবাসা এ সবকিছু এত বেশি বাস্তব লাগছিলো। এটি এমন একটা চরিত্র যাকে অনেকের ভাল লাগবে আবার অনেকের লাগবেনা।
আবার প্রতাপ মজুমদার তার সম্পূর্ণ জীবনের একেকটা ক্ষেত্রে কি কি ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন, তার ভাবনা চিন্তা, তার সংসার চালানো, কষ্ট, আনন্দ আমরা অনুভব করতে পারি। একজন বাবা যেমন হন,তিনিও তেমন।
অলি একটি অসাধারণ চরিত্র। হয়তো আমার প্রিয় চরিত্র। মেয়েটার মাঝে যেসব আবেগ অনুভূতি কাজ করে, আমি খুব রিলেট করতে পেরেছি। তার সাহায্যকারী মনোভাব সবাইকে খুব শেখাবে।
৫. মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে আমরা জাহানারা ইমাম এবং রুমী কে নিয়ে অনেকগুলো ঘটনা বইয়ে পাই। রুমীর শেষদিনগুলোর গল্প পড়ে চোখে পানি এসেছে।
ব্যক্তিগত অনুভূতি
পূর্ব পশ্চিম এর ২য় খন্ড শেষ হওয়ার সাথে সাথে সময় ট্রিলজি শেষ হলো। লেখকের এই বইগুলো যেন প্রতিটা দীর্ঘ এক পথচলা। তা যেমন বইয়ের প্রতিটি চরিত্রের সাথে, তেমনি প্রতিটি ঐতিহাসিক ঘটনার সাথেও। এই বইটিতেও আগের সবগুলোর মতই সম্পর্কের গভীরতা কি অসাধারণ ভাবে উঠে এসেছে।
বই শেষ করে এখন ভয়াবহ শূন্যতা বোধ হচ্ছে। শেষ ৫/৬ পৃষ্ঠা পড়েছি আস্তে আস্তে। মনে হচ্ছিলো শেষ না হোক। প্রতি পাতা আবেগ অনুভূতি তে ঠাসা। একেকটা জায়গায় যেমন হেসেছি, কেঁদেছি, হাহাকার করেছি। কিছু ঘটনা পড়ে আতংকিত বোধ করেছি। মুক্তিযুদ্ধের অনেককিছু নতুন দৃষ্টিতে দেখেছি। যুদ্ধের সময় মানুষের মনের অবস্থা কি হয়েছিলো এসবও মনকে নাড়া দিয়েছে। লেখকের পায়ে ধরে প্রণাম করতাম আমি যদি তাঁকে কখনো সামনে পেতাম। কি লেখে গেছেন তিনি। আর আমি এই তিনটা বই শেষ করতে পেরেছি।
আমি অনুরোধ করবো আপনাদের, আপনারা এই ট্রিলজির বইগুলো সংগ্রহ করে পড়ুন। নিরাশ হবেননা। একদম না। -
শেষ!
বিশাল একটা উপন্যাস, অসংখ্য চরিত্র এবং তাদের টুকরো টুকরো গল্পের মাঝে কয়েকদিন ডুবে ছিলাম।
এখন চারপাশ ভীষণ খালি খালি লাগছে! -
উপন্যাসটা শেষ করেছি প্রায় ১ মাস আগে। কিছু একটা লিখে রাখবো ভেবেছিলাম।
প্রায় ১১০০ পৃষ্ঠার উপন্যাস। এত বড় উপন্যাস লেখক কীভাবে লেখে্ন জানা নাই। পড়তে পড়তে একসময় হাঁপিয়ে গেছি। দেশবিভাগ নিয়ে পড়া বই এর তালিকায় আরেকটি উপন্যাসের নাম যুক্ত হলো। তবে এতো বিস্তারিত আবেগ-অনুভূতির কথা আর কোথাও পাইনি। প্রেক্ষাপট আরো বিস্তৃত, শুরু হয়েছে তারো আগের সময় থেকে। শেষ হয়েছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী অনেক সময়ের কথা নিয়ে। দেশবিভাগ ছাড়াও উপন্যাসে আছে কাজী নজরুল ইসলাম। আছে শেরেবাংলা ফজলুল হক, জওহরলাল নেহেরু, ইন্দিরা গান্ধী, মওলানা ভাসানী, শেখ মুজিবুর রহমান সহ নানান সময়ের উপজীব্য মানুষজন। আছে পুঁজিবাদ, সমাজতন্ত্র। নকশাল আন্দোলনের কথাও আছে। শুধু বাংলার পূর্ব পশ্চিম অংশই নয়, পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিম অর্থাৎ প্রাচ্য আর পাশ্চাত্যের জীবনের কথাও আছে এতে। তবু সবকিছু ছাপিয়ে উপন্যাস্যের শেষ পর্যন্ত লেখক দেশবিভাগের বেদনাকেই মূল রেখেছেন বলে মনে হলো।
এরকম সুবিশাল সময়কে প্রেক্ষাপট হিসেবে নেওয়ায় সে সময়ের ঘটনাবলী এবং মানুষের আবেগ-অনুভূতি নিয়ে লিখতে লেখককে অনেক পড়াশুনা করতে হয়েছে বোধকরি। উপন্যাস হলেও শেষে তার একটা তথ্যসূত্র লেখক দিয়ে রেখেছেন। -
অদ্ভুত এক মুগ্ধতায় শেষ করলাম সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর সুবিশাল উপন্যাস “পূর্ব পশ্চিম”
কি বলব এই বই নিয়ে?? রিভিউ লেখার ক্ষমতা আমার নেই। তাই ফ্ল্যাপের লেখা গুলোই তুলে দিচ্ছি-
”দেশবিভাগ এখন প্রতিষ্ঠিত সত্য, তবু বিচ্ছেদ বেদনা আজও রয়ে গেছে। বাঙালী জাতি দ্বিখণ্ড হয়েছে কিন্তু সম্পূর্ণভাবে পৃথক হয়ে যায়নি। দু’দিকের বাংলার সাম্প্রতিক ইতিহাসের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে এই কাহিনী, ক্রমে তা ছাড়িয়ে গেছে পূর্ব গোলার্ধ থেকে পশ্চিম গোলার্ধ। প্রত্যেক মানুষের মনের মধ্যেও যে অভ্যুত্থান ও পতনের পালা চলে, সেই পূর্ব-পশ্চিমের মর্মেও প্রবেশ করেছে এই উপন্যাস।”
এবার নিজস্ব কিছু অনুভূতি প্রকাশ করি। এমনও অনেক বই আছে যার পৃষ্ঠা সংখ্যা বড়জোর ১০০ থেকে ১২৫, কিন্তু তবুও সেই বই শেষ করতে গেলে কালঘাম ছুটে যায়। আবার এমনো বই আছে যা কলেবরে বিশাল হলেও সেটা চুম্বকের মতো এমনভাবে আকর্ষন করবে যে আপনি তা শেষ না করে ছাড়তেই পারবেন না। পূর্ব পশ্চিম তেমনি একটা বই। পৃষ্ঠা সংখ্যার দিক থেকে মনে হয় আমার পড়া এটাই সবচেয়ে বড় একক বই। পুরো বইটাতেই সুনীল সুবিশাল বাংলার সমসাময়িক জীবনযাত্রার মাঝে বেঁচে থাকা বিভিন্ন চরিত্রের বর্ণনা করেছেন অত্যন্ত সাবলীল ভাবে। দেশভাগের সময় থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী উপমহাদেশ এর অবস্থার মাঝে এই যে বিশাল সময়টুকু, এই সময়টুকুর মাঝে ঘটে যাওয়া উল্লেখযো্গ্য ঘটনার সাবলীল বিবরণ আর সে��� সময়কার ভুক্তভোগী কিছু মানুষের জীবন, মানবিক সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং শেষ পরিণতি কে সুনীল তুলে ধরেছেন জীবন্ত ভাবে। বইটার এ��দম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একবারো কোথাও মনে হয় নি যে অতিরঞ্জন হয়েছে, সুনীল যেনো এক অদৃশ্য সাক্ষী হিসাবে একের পর লিখে গেছেন এই ইতিহাস। দেশবিভাগ পরবর্তী পূর্ব বাংলা থেকে বিতাড়িত এক মধ্যবিত্ত পরিবার কে নিয়ে কাহিনী শুরু হয়েছে, এরপর একে একে এসেছে আমাদের পরিচিত বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য চরিত্র, উঠে এসেছে নকশাল আন্দোলন, উঠে এসেছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ আর অসম্পূর্ণ কিছু ভালোবাসার গল্প। এখানে একাত্তরের নৃশংসতার বিবরণ সুনীল তুলে ধরেছেন বিস্তারিত ভাবে, আর আছে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা। আছে নির্ভীক দেড়জন মুক্তিযোদ্ধার কথা, যাদের সাহসিকতার সামনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কে মাথা নত করতে হয়েছিল। আছে বাংলার নিরীহ মানুষদের প্রতি শোষনকারীদের নির্মম অত্যাচার এর গল্প এবং তাদের বিরুদ্ধে সিরাজুল, রুমীদের রুখে দাড়ানোর কথা।
প্রতাপ মজুমদার, পিকলু, অতীন, তুতুল, অলি, মামুন, কৌশিক, হারীত মন্ডল, বাবুল চৌধুরী, জাহানারা ইমাম এরা সবাই যেন কালের প্রতিটি ঘটনার মূর্তমান প্রতীক। এদের প্রত্যেক জীবনগাঁথার সাথেই মিশে আছে বিংশ শতাব্দীর বাংলার শেষ অর্ধের ইতিহাস। এরা প্রত্যেকেই যেনো সুনীল এর কলমে জীবন্ত।
আমাদের এই বাংলার ইতিহাস নিয়ে যেমন আমরা গর্ব করতেই পারি আবার সেই সাথে আমরাই যে আমাদের নিজেদের কতটা ক্ষতি করেছি তারও উল্লেখ করেছেন সুনীল। মুক্তিযুদ্ধ পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে সাধারণ মানুষকে যে কতটা ভুগতে হয়েছে, স্বাধীনতা অর্জনের পরও সাধারণ মানুষ যে সেই কাঙ্খিত সুখ পায়নি কিংবা নকশালদের দমন করেও যে পশ্চিম বাংলায় শান্তি ফেরেনি সেটাও উঠে এসেছে।
বইটা শেষ করার পরও মুগ্ধতার রেশ এখনো কাটেনি। বাংলার ইতিহাস নিয়ে এতো সুনিপুণ ভাবে সাহিত্য রচনা খুব কম মানুষই করেছেন। সুনীল তাদের একজন।
সুনীল...তোমার তুলনা আসলেই তুমি।
hats off... -
একটি প্রধান চরিত্রকে মনেপ্রাণে ঘৃণা করলেও কিছুুতেই ৫ এর কম দিতে পারলাম না।লেখকের কৃতিত্ব, শ্রদ্ধা জানাই।
সেই সময়,প্রথম আলো,পূর্ব -পশ্চিম --এই বইগুলোর রিভিউ দেয়ার যোগ্যতা আমার নেই।
একরাশ বিস্ময় ও মুগ্ধতা আমার সবথেকে প্রিয় লেখকের প্রতি। বাঙালি বলে,এই তিনটি বই পড়তে পেরেছি বলে আমি সৌভাগ্যবান💜 -
তো পুরো বইটি শেষ হলো। ভয়ংকর কষ্ট হচ্ছে শেষ মুহূর্তের দুটো মানুষ কে নিয়ে। প্রতাপ মজুমদার আর অলি! পিক্লু,বাব্লু আর মুন্নির কি ভাগ্যই না ছিলো প্রতাপ মজুমদারের মতো বাবা পেয়েছিলো। যেসব জিনিসে একদমি হাত থাকে না,তাকেই তো ভাগ্য বলে! আর একটা সন্তানের বাবা মা কে হবে এর চেয়ে বড় ভাগ্যের খেলা আর কোথায়! যা বলছিলাম! প্রতাপ মজুমদার! অনেক আগে জন্মেও যার মধ্যে সততা,নীতিবোধ,আত্মমরযাদাবোধ আবার একিসাথে যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে মন গড়িয়ে নেওয়ার মানসিকতা! চলে যাবার সময় উনি যে মানসিক আনন্দ নিয়ে গেলেন, এটা লেখায় তুলে ধরবার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।
অলির কি হবে জানি না, অলির মনের কথা আর লিখলেন ই না। খুব ইচ্ছা করছিলো অলির মনের আয়না শ���ষ একবার তুলে ধরা হবে।
আমি বলেইছি এই বইটা আমার জন্য ইতিহাসের চেয়েও বেশি প্রতাপ মজুমদারের সংসার! এর ঐতিহাসিক দিক আমাকে ঠিক টানেনি। আমি মুক্তিযুদ্ধের উপর অনেক পড়েছি,শুনেছি,দেখেছি - বিভিন্ন দিক থেকে, বিভিন্ন জনের ভাষায়। এই বইটা যেন ছিলো কলকাতার ,ভারতের চোখে মুক্তিযুদ্ধ, সে যেন শেষ দিকে ভারত-পাক যুদ্ধ, যেন স্বাধীনতার সবটুক স্বাদ পাওয়া হলো না,লোকে বুঝলো না ঠিক করে অগনিত মানুষের আত্মত্যাগ!।
আর একটা ব্যাপার হলো যে, আমি কখনোই ভারতবর্ষ ভাগ নিয়ে মাথা ঘামাই নি,ভাবিই নি। বাংলাদেশ -শব্দটা এতো মধুর। এটা কখনো যে ছিলো না,সেই সময়টা রূপকথার মতো মনে হয়। কিন্তু সেই সময়,প্রথম আলো, পূর্ব পশ্চিম পড়ে আমার মনে হলো একটা জাতিকে সাম্প্রদায়িকতার উপর ভিত্তি করে যে ভুল করা হয়েছে- তার মাশুল এখনো গুনতে হয়!
মমতা, বিমানবিহারী, আলম, তুতুল,হারীত, সুলেখা, বুলা এদের ভীষণভাবে মিস করবো।
সময়! আসলেই! সব জায়গার এই একমাত্র নায়ক। কে তাকে থামায়? সে পথ কেটে কেটে অবাক করা চিত্র চোখের সামনে তুলে ধরে। আর আমার মতো মানুষগুলোর মনে হয় খালি- ' যায় দিন ভালো'!
খুব এলোমেলো লেখা হলো, কেমন যেনো খালি খালি লাগতেসে।
আজ থাক!
ও হ্যাঁ! অতীন মজুমদারকে আমি মনে প্রাণে ঘৃণাই করি! অনেক ভাবে তাকে মাফ করার চেষ্টা করেছি,আমি পারি নাই। অনেক মানসিক ব্যাখ্যা মনের মধ্যে টিকে নাই। বইয়ের শেষে অতীনের যে যন্ত্রণা মনে হলো জীবনের শেষ দিন অব্দি এটার প্রাপ্য সে! -
যে বিশাল পটভূমি এবং ঐতিহাসিক ঘটনাবলি নিয়ে এই উপন্যাস, সেই উপন্যাসের ভাষা কি আরও হৃদয়গ্রাহী, আরও কারুকাজমণ্ডিত হতে পারতো না? এই প্রশ্ন, এবং পাঠে মুগ্ধতা দুটোই চলছিল সমান্তরালে। তবে, দ্বিতীয় খণ্ডের শেষার্ধে এসে সবকিছু ছাপিয়ে যেন চরিত্রগুলোর পরিণতি জানবার জন্য আগ্রহ বাড়ছিল তুমুল বেগে।
পুরোটা পড়ার পর প্রধান চরিত্রগুলো একে একে ভেসে উঠতে থাকলো চোখের সামনে। বাস্তুহারা মানুষ ঠাঁই হারায়, আর তারও চেয়ে অসহায় মানুষেরা নিজের শিকড়, মূল্যবোধ আঁকড়ে ধরে রাখতে চাইলেও পরিবর্তিত সময় তাকে সে সুযোগ দেয় না। অথচ তার আকাঙ্ক্ষা তাকে কোথাও স্থির হতেও দেয় না। বস্তুপৃথিবীতে সে যেন নিজের কাছেই অবাঞ্ছিত হয়ে বেঁচে থাকে।
কোন নির্দিষ্ট ঐতিহাসিক ঘটনা কিংবা রাজনৈতিক নেতা সুনীলের লেখায় তেমন পক্ষপাতিত্ব পায় নি কিংবা মুখ্য হয়ে ওঠে নি। উপন্যাসের প্রয়োজনে সুবিধেমতো তুলে এনেছেন ইতিহাসের উপাদান। আর যেখানে ঐতিহাসিক বর্ণনা একটু দীর্ঘায়িত হয়েছে, সেখানেও তিনি ঘটনাবলিকে নৈর্ব্যক্তিকভাবে লিখেছেন।
শেষ পৃষ্ঠা পড়ার পর অপূর্ণতা রইলো না বলা যায়। -
মূলত দুই বাংলার বিভাজন নিয়ে এই বইটি লেখা। যাদের মুখের ভাষা ছিল এক, সংস্কৃতি, আচার-ব্যবহার অনেকটা একই। তারপরেও তারা আলাদা হতে বাধ্য হলেন ধর্মের জন্য। অনেকেই তাদের বাপ-দাদার ভিটা ছেড়ে চলে গেলেন ওপার বাংলায় আবার কেউ আসলেন এপার বাংলায়। যাদের পরিচিতজন কেউ নেই তারা হয়ে গেলেন উদ্বাস্তু। হঠাৎ করেই অনেকেই হয়ে পড়েন গৃহহীন, কর্মহারা। পথে পথে ক্ষুধার্ত মানুষের হাহাকার। সব মিলিয়ে এক করুণ অবস্থা। মর্মান্তিক ও ঐতিহাসিকও বটে।
দেশ ভাগের সময় দুই বাংলায় কয়েকটি পরিবারের বিড়ম্বনা, আপনজনদের সাথে বিচ্ছেদ সব কিছুই দারুণ ভাবে উপস্থাপন করেছেন সুনীল অত্��ন্ত নিপুণ হাতে। 'পূর্ব-পশ্চিম' এমন একটা বই বার বার পড়লেও মনে হয় পড়া বাকি থেকে যায়। -
শেষ!
প্রায় ১৩০০ পৃষ্ঠার উপন্যাস। এত বড় উপন্যাস লেখক কীভাবে লেখে্ন জানা নাই। এই বই যতই পড়ি না কেন, শেষ হয় না। পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়ি, ঘুম থ��কে উঠে আবার পড়ি, এক টানা পড়তে পড়তে আবার ঘুমিয়ে পড়ি কিন্তু বই শেষ হয় না। পড়া শুরু করার আগে মনে মনে বলতেছিলাম এতো বড় কেন, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে বইটি এতো ছোট কেন? এতো তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলো কেন?
এই বইটা আমাকে নস্টালজিক করে দিয়েছে এমন একটা সময়ের জন্য যে সময়ে আমার অস্তিত্বই ছিল না। দেশভাগের ইতিহাস যতোই পড়ি,ততই বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠে। মনে হলো যেন ১৯৪০ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত দুই বাংলা ঘুরলাম এই বইয়ের ভিতর দিয়ে। ভয়ংকর কষ্ট হচ্ছে শেষ মুহূর্তের মানুষটিকে নিয়ে। প্রতাপ মজুমদার! পিক্লু,বাব্লু আর মুন্নির কি ভাগ্যই না ছিলো প্রতাপ মজুমদারের মতো বাবা পেয়েছিলো।
যেসব জিনিসে একদমই হাত থাকে না,তাকেই তো ভাগ্য বলে! বইয়ের প্রতিটি পাতায় পাতায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে হাজারো দুর্ভাগ্যবান চরিত্র। আসলে ইতিহাস জিনিসটাই বাজে, মানবজীবনটাই মূলত ট্রাজেডি। যতই জানি ততই কষ্ট পাই, হতাশ হই। জীবনে অনেক 'কেন'রই কোনো উত্তর থাকে না। তবু মানুষ কেন জিজ্ঞাসা করে 'কেন? কেন? কেন?' এটিরও কোনো উত্তর নাই। -
দেড় দিনে শেষ করলাম। সুনীলের উপন্যাসত্রী আমার অবশ্যপাঠ্যতে যুক্ত করে নিলাম। বাংলার নবজাগরণ থেকে বাংলাদেশের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ইতিহাস কেউ যে এইভাবে লিখতে পারে, সুনীল না পড়লে অজানাই থাকত। ঈশ্বরচন্দ্র, কালীপ্রসন্ন সিংহ, মধুসূদন থেকে শুরু করে ইন্দিরা গান্ধী, মুজিব, কাদের সিদ্দিকির তৈরি করে যাওয়া যে রাস্তায় হেটে চলেছি তার ইতিহাস জানা অত্যাবশকীয়। পূর্বপুরুষের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি শিক্ষার অধিকার, বাঁচার অধিকার আর স্বাধীনতার আশ্বাস। এখন উপযুক্ত উত্তরসূরী হয়ে ওঠা আমাদের বিবেক। আমাদের দায়িত্ব।
-
কেন এতদিন পড়িনি তাই ভাবছি... last 2 মাস ধরে পড়লাম আর আমার সব সময়েই মনে হতো চেনা কারুর কথা পড়েছি. ঐসব চরিত্র কে সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম মনে হতো আর বোধহয় বেশ কিছু দিন এদের মনে থাকবে...
প্রিয় characters প্রতাপ (আমার কাছে প্রতাপ এই গল্পের hero), মমতা (অপূর্ব সুন্দর করে লেখা চরিত্র), সুপ্রীতী, মামুন, আলম আর অলী। ভাষা আন্দোলন আর মুক্তিযুদ্ধের এই ইতিহাস আমি আবছা জানতাম ভেবে লজ্জা লাগে... কি অপূর্ব সুন্দর লেখা আর কি ঠাস বুনোট গল্পের...1000 পাতার টানটান বই
From undivided India to East Pakistan to Bangladesh and finally United States...দেশ ছাড়ার বেদনা কত রকম আর কত গভীর
নদীর মতো গল্প নিয়ে গেলো আমাদের... Bengal during Indian independence, during partition, during ভাষা আন্দোলন, India China War, Naxalbari and Naxal movement আর মুক্তি যুদ্ধ...
শুধু জানা হলোনা বুলা র কি হল, হারিৎ , চন্দ্রা আর সুচরিত এর কি হল... বাবুল এর চরিত্র বড় কষ্ট দিলো...
#bookrecommendations #bookreview -
One of the richest Bengali novels of all time, Purba-Paschim stands on the ground of partition of Bengal, Naxallist Movement and the transforming Bengali society, love for the nation, and not the least, love for oneself.
The book is an epic in expansion, yet the reader can not, not for once, get bored as the flow is smooth and intoxicating.
One of the few books which must not be missed if you can read Bengali alphabet. -
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়া এবং তারপরের সময়, পূর্ব(উপ-মহাদেশ) থেকে পশ্চিমে(আমেরিকা, ইউরোপ ইত্যাদি)যাওয়া মানুষদের জীবন, দেশের কথা মনে পড়া, দেশের মা-বাবা, বন্ধু-বান্ধব, শহর এর কথা মনে পড়া আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রথম খন্ডের পরবর্তী অংশ......
-
Great book.
-
এটা কি কিনে পড়তে হবে না ফ্রী । ফ্রি হলে আমি দেখতে পাচ্ছি না কেন
-
মুগ্ধতা
আর কি বলি!