Title | : | The Royal Bengal Mystery (Feluda, #6) |
Author | : | |
Rating | : | |
ISBN | : | 0140275908 |
ISBN-10 | : | 9780140275902 |
Language | : | English |
Format Type | : | Hardcover |
Number of Pages | : | 88 |
Publication | : | First published April 1, 1975 |
The Royal Bengal Mystery (Feluda, #6) Reviews
-
রহস্যময় এক জমিদারবাড়ি, বাড়ির পেছনের শ্বাপদসঙ্কুল ঘন জঙ্গল, শতবছরের হারানো গুপ্তধন, দূর্বোধ্য ধাঁধার সংকেত, মানুষখেকো বাঘের পদচারণা, আর খুন। একটা নিখুঁত শ্বাসরূদ্ধকর মাথাচুলকানো দুর্ধর্ষ রহস্যগল্পের সকল উপাদানই পরিমাণমত উপস্থিত। উপন্যাসটা ছোটবেলায় প্রথম পড়েছিলাম, যেসময় বাকি সব ফেলুদাই পড়া হয়েছিল, আর কেন জানি পড়ার পর ভাল লাগলেও খুব আহামরি গোছের কিছু লাগেনি। তাই গত বিশ-বাইশ বছর ধরে রয়েল বেঙ্গল রহস্য কখনোই ফেলুদার প্রিয় এমনকি উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলোরও একটা ছিল না আমার কাছে, যদিও গল্পের খুঁটিনাটি প্রায় সব খেয়ে ফেলেছিলাম অনেক বছর আগেই (বাকিগুলোরও কমবেশি একই অবস্থা)। থ্যাঙ্ক গড ফর সেকেন্ডটাইম!
গতমাসে ফেলুদা সমগ্র-১,২ কেনার পর ঠিক করি এতবছর পর আরেকবার রিভাইজ দেয়া প্রয়োজন, এবারে একদম যুতসইভাবে ক্রনলজিক্যালি সিরিয়াল ধরে ধরে সবগুলো গল্প-উপন্যাস। একদিক দিয়ে যেমন অনেকটাই নতুন রহস্যকাহিনি পড়ার অনুভূতি দিচ্ছে (যেহেতু সবই সেই ছোটকালে পড়ে প্রায় বিস্মৃত) আবার ফেলুদাসিরিজ তথা সত্যজিৎ-এর লেখনির ডেভেলপমেন্টটাও খুব ভাল ভাবে চোখে পড়ছে, বুড়োবয়সের দুনিয়ার বইপড়া পরিণত দৃষ্টিতে সূক্ষ্ম অনেককিছুই নজরে আসছে। প্রতিটা কাহিনি শেষ করার পরেই তাৎক্ষনিক পাঠপ্রতিক্রিয়া হিসেবে কিছু একটা লিখি লিখি করেও আলসেমি করে আর লেখা হয় না... কিন্তু 'রয়েল বেঙ্গল রহস্য' শেষ করা মাত্রই মনে হলো এবার কিছু না লিখলেই নয়!
এমনিতেই বইটি আমাকে প্রথম পাঠপরবর্তি সেই উদাসীন অনুভূতিটা রাতারাতি পাল্টে দিয়ে একেবারে চমকে দিয়েছে, তার উপরে জঙ্গল-শিকারকেন্দ্রিক গল্পটিও বেশ ইউনিক, ফেলুদার না হয়ে বুদ্ধদেব গুহর ঋজুদার কাহিনি বলে ভ্রম হতেও পারে। তবে সত্যজিতের নো-ননসেন্স থ্রিলিং ননস্টপ সাসপেন্সফুল লেখনি ও ঘটনাক্রম যে যেকোন ঋজুদাকাহিনির চেয়ে শতগুণে বেশি মারাত্মক সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফেলুদার প্রায় সব রহস্যের সবচেয়ে সুস্বাদু উপাদান অপ্রত্যাশিত খুন ও খুনের নাটকীয় রহস্যভেদ, আর সেক্ষেত্রে গতানুগতিকতায় না গিয়ে শেষের ভিন্নধর্মি সমাপ্তি সম্ভবত ছোটবেলায় ঠিক মন ভরাতে পারেনি, কিছুটা আশাহত করেছিল। ফলে এতবছর ধরে সেই অনুভূতিটাই থেকে গিয়েছিল মনে, কিন্তু এখন পরিণতমনষ্কে সত্যজিৎএর কাব্যিক উত্তরটার মর্ম পূর্ণমাত্রায় উপভোগ করতে পেরেছি ('পোয়েটিক জাস্টিস' না হলেও 'পোয়েটিক এন্ডিং'ই বটে!)। সাথে চমৎকার এক ছন্দমেলানো গুঢ় ধাঁধা আর লুকানো গুপ্তধন তো ছিলই, আরো যোগ হয়েছিল গা ছমছমে রোমাঞ্চকর জঙ্গলে মানুষখেকো এক বাঘের আনাগোনার ভীতিকর পরিবেশ আর পুরনো জমিদারবাড়ির রহস্যময় কিছু চরিত্র। সবমিলিয়ে সত্যজিৎ-এর ক্ষুরধার লেখনিতে এমন বৃষ্টিভেজা অলস সাপ্তাহিক ছুটির বিকেলটা শতভাগে উপভোগ্য করার মতো একখানা দুর্ধর্ষ রহস্যোপন্যাস!মুড়ো হয় বুড়ো গাছ
হাত গোন ভাত পাঁচ
দিক পাও ঠিক ঠিক জবাবে।
ফাল্গুন তাল জোড়
দুই মাঝে ভুঁই ফোঁড়
সন্ধানে ধন্দায় নবাবে। -
রয়েল বেঙ্গল রহস্যের শুরুতেই সত্যজিৎ রায় গল্পের ধাঁধাটি তুলে দিয়েছিলেন, আমিও পাঠকদের সুড়সুড়ি দেওয়ার জন্যে নাহয় তাই করি?
“মুড়ো হয় বুড়ো গাছ
হাত গোন ভাত পাঁচ
দিক পাও ঠিক ঠিক জবাবে।
ফাল্গুন তাল জোড়
তার মাঝে ভুঁই ফোঁড়
সন্ধানে ধন্দায় নবাবে।”
কলকাতায় তখন গ্রীষ্ম, আর ফেলুদারাও বসে, তেমনই এক সময় ডুয়ার্স হতে মহীতোষ সিংহরায় নামের এক জমিদারের কাছ থেকে লালমোহন বাবুর কাছে এক নিমন্ত্রণপত্র আসে। মহীতোষবাবুর সাথে লালমোহন বাবুর পত্রালাপ থাকলেও ফেলুদার সাথে ছিল না, কিন্তু তার চিঠির শেষটুকু ছিল এইরূপ –“আপনার বন্ধু শ্রীপ্রদোষ মিত্র মহাশয়ের ধুরন্ধর গোয়েন্দা হিসাবে খ্যাতি আছে বলিয়া শুনিয়াছি। আপনি তাহাকে সঙ্গে করিয়া আনিতে পারিলে তিনি হয়তো আমার একটা উপকার করিতে পারেন। কি স্থির করেন পত্রপাঠ জানাইবেন।”
অতঃপর ফেলুরাদের ডুয়ার্সের উদ্দেশ্যে যাত্রা, আর রয়েল বেঙ্গল রহস্যের শুরু। মহীতোষবাবুর জমিদারীতে পৌঁছানোর পর ফেলুদারা জানতে পারেন যে সিংহরায় পরিবারের এক পূর্বপুরুষ এককালে বহু পারিবারিক ধনরত্ন পাগলামীর বশে এক গোপন জায়গায় লুকিয়ে তা খুঁজে বের করার জন্যে একটি ধাঁধা রেখে গিয়েছিলেন। ফেলুদার কাছে অবশেষে তাদের নিমন্ত্রিত হওয়ার মূল কারণটি স্পষ্ট হয়, আর ধাঁধাটির সমাধান করতে তিনি সম্মতও হন। কিন্তু সেই রাতেই বনের মাঝে লোকজনের গোপন আনাগোনা তাঁর চোখে পরে, আর তার পরদিন বনের মধ্যে মহীতোষ বাবুর সহকারী তড়িৎবাবুর বাঘে-খাওয়া লাশ পাওয়া যায়। ফেলুদা দুটো রহস্যই উদঘাটনের সিদ্ধান্ত নেন, কিন্ত তার ফলে সিংহরায় পরিবারের অনেক অপ্রিয় গোপন কথা এক এক করে বেরিয়ে আসতে শুরু করে। তারপর আর কি ? এসব সুখাদ্য বারবার খেয়েও আশ মেটে না। -
ফেলুদা'র গল্প বলতে আমরা যা-যা বুঝি তার সর্বোৎকৃষ্ট নিদর্শন দিয়ে সাজানো এই বইটি। এতে আছে হিউমার, রহস্য, রোমাঞ্চ, ধাঁধা, ইতিহাস, অদ্ভুত কিছু চরিত্র, গুপ্তধন...
আর ক্লাইম্যাক্স!
বইটার অর্ধেক লাইন মুখস্থ হয়ে গেছিল পড়তে-পড়তে।
এখনও যদি এই আনমোল রতনটি না পড়ে থাকেন তাহলে প্লিজ দেরি করবেন না। জানেনই তো, সৎ কার্যে বিলম্ব কাঙ্ক্ষিত নয়। -
এবছরের ব্যক্তিগত একটি ইচ্ছা ছিল, বারো মাসে বারোটা ফেলুদা পড়ব। এই ইচ্ছা এসেছিল, গতবছর প্রসেনজিৎ সেনগুপ্তের ‘ফেলুদা রহস্য’ পড়ে। আর ইচ্ছা ছিল, সব ফেলুদা শেষ করে আবার ‘ফেলুদা রহস্য’ পড়ব! ইচ্ছায় গুড়ে বালি। কবে যে আবার উল্টেপাল্টে বই কিনব জানি না।
‘রয়েল বেঙ্গল রহস্য’ কততম বারের মতো পড়লাম বলতে পারব না। এখনো সেই টানটান উত্তেজনা নিয়ে পড়ি। কারন, ভুলে বসে আছি ক্লাস থ্রি ফোরে পড়া মেলা কিছু। বাঘ-শিকার, মানুষ খুন, আদিত্যনারায়নের তরবারি, টুকটাক মহাভারতের রেফারেন্স, মহিতোষ বাবু, শশাঙ্ক বাবু, তড়িৎ বাবু, লালমোহনের গাছে চড়া ও সন্দেহভাজনদের ছলচাতুরিতে মোড়া ফেলুদার এই গপ্পে সত্যজিৎ যখন লিখেন “সাতটার সময়ে মেঘ কেটে গিয়ে আকাশে তাঁরা দেখা দিল। মনে হচ্ছিল কুচকুচে কালো আকাশের গায়ে তারাগুলো এই মাত্র পালিশ করে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে”, তখন এটি খেয়াল করে বুঝতে পারি যে আগের মতো ফেলুদা পড়ি না। ফেলুদার মধ্যেও মনে মনে এরকম ‘রহস্যের সাথে সম্পর্ক নেই’ বাক্য খুঁজি।
কতো শব্দ সত্যজিৎ এর কল্যাণে শিখেছি! ‘হেঁয়ালি’ তাঁর মধ্যে একটা। এই বইও শুরু হয়েছে হেঁয়ালি দিয়েই। গুপ্তধন খোঁজবার সূত্র সেটা। বেশিরভাগ ফেলুদাতে রহস্যের কূলকিনারা নিয়ে শেষ মিটিঙটা কারো বাসায় বা বৈঠকখানায় হয়। এখানে সেটা একেবারে জঙ্গলে মন্দিরের কাছে ফেলেছেন সত্যজিৎ। আর ইনস্পেক্টর বিশ্বাস ঠিক ফেলুদাতে অতো বিশ্বাস রাখেন নি বাকি উপন্যাসগুলোর পুলিশ চরিত্রগুলোর মতো। প্রিয় সংলাপ ফেলুদার মুখের অনেক কথাই, কিন্তু, এখানে সবচেয়ে ভালো লেগেছে—‘যা খুঁজছিলাম ���া পাইনি, আর সেটাই সিগনিফিক্যান্ট’। কিন্তু, লালমোহন গাঙ্গুলি থাকতে ফেলুদার সংলাপ তাঁকে মাত দিবে তা হতেই পারে না-- “আপনারা বলেছেন বাঘ, আমি দ���খছি একটা লেলিহান অগ্নিশিখা, আর তার মধ্যে একটা পৈশাচিক দানব দাঁত খিঁচুচ্ছে, আর সেই সঙ্গে কর্নপটাহ বিদীর্ণ করা এক হুঙ্কার ছেড়ে একটা জেট প্লেন টেক অফ করছে আমারই উপর ল্যান্ড করবে বলে। এতেও যদি সংজ্ঞা না হারাই তো সংজ্ঞা রয়েছে কী করতে?’
লিখতেই লিখতেই আবার পড়তে মন চাইছে। -
ফেলুদার গোয়েন্দা গল্পগুলোর মধ্যে এই গল্পটা আমার সবচাইতে প্রিয়। এতে শিকার আছে, শিকারি আছে, আর আছে ধাঁধাঁ। এই গল্পটা শুরু-ই হয় একটা ধাঁধা দিয়ে। এবং ফেলুদার কথামতই পুরোটা গল্প জুড়েই এই ধাঁধাঁ রীতিমত মগজে সুড়সুড়ি দিয়ে বেড়িয়েছে।
রয়েল বেঙ্গল রহস্য শুরু হয় যখন ডুয়ার্সের লক্ষণবাড়ির জমিদার মহীতোষ সিংহরায় জটায়ু’কে তাঁর বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান। সাথে ফেলুদা আর তোপসেকেও। আর স্বভাবতই সেখানে যেয়ে শুরু হয় ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি।
ফেলুদার অন্যান্য গল্পের মত এই গল্পটি পড়বার সময় আসে পাশের বর্ণনা একদম ছবির মত চোখের সামনে ভাসতে থাকে। একদম ছোট ছোট জিনিসও যে ফেলু মিত্তিরের চোখ এড়ায় না, তার প্রমাণ আবারো মিলবে এই বইতে।
এই বই নিয়ে বেশি কথা বলবার ধৃষ্টতা দেখানো আমার পক্ষা সম্ভব না। তাই বাকি দায়িত্ব পাঠকের হাতেই ছেড়ে দিলাম। -
“মুড়ো হয় বুড়ো গাছ
হাত গোন ভাত পাঁচ
দিক পাও ঠিক ঠিক জবাবে।
ফাল্গুন তাল জোড়
তার মাঝে ভুঁই ফোঁড়
সন্ধানে ধন্দায় নবাবে।”
গল্পের শুরুতে যেমন ফেলুদা তোপসেকে এই ধাধা দিয়ে শুরু করতে বলেছিলেন আমিও শুরুতেই এই ধাধা দেওয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না আরকি। কাহিনীর শুরু হয় ডুয়ার্সের জমিদার বাড়ির মহীতোষ সিংহরায় জটায়ুকে তার বাসায় আমন্ত্রন জানানোর মাধ্যমে, এবং সেথায় একই সাথে ফেলুদাকেও আনার আমন্ত্রনের মাধ্যমে। যেহেতু ফেলুদার হাতে তখন কোন কাজ ছিল না তাই ফেলুদাও তার বাহিনী নিয়ে বেড়াতে চললেন জমিদার বাড়িতে। এসেই বুঝতে পারলেন এটা যাস্ট নিখাত বেড়ানোর আমন্ত্রন ছিল না, ভদ্র লোক ফেলুদাকে দিয়ে তার পূর্বপুরুষের লুকিয়ে রাখা ধনসম্পদ উদ্ধার করতে চান। ফেলুদাও না করেননি এতে। বাট ঝামেলা বাধে গভীর রাতে জঙ্গলে মানুষের আনাগোনা আর পর দিনে মহীতোষ বাবুর সেক্রেটারী তড়িতবাবুর লাশ উদ্ধার হওয়ায়। সবায় ধারনা করে মানুষ খেকোয় খুন করেছে তড়িতবাবুকে, কিন্তু মানুষখেকোই যদি নিবে তাহলে এত রাতে জঙ্গলে কি করছিল তড়িতবাবু? কেচো খুড়তে গিয়ে সাপ বের করে আনলেন আমাদের ফেলু মিত্র।
পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ প্রতিবার বাসায় গেলে একটা করে ফেলুদার গল্প পড়া হয়। এটা অনেকটা নিয়মের মতন হয়ে গিয়েছিল। গত একবছরএর মতন সময় পড় বাসায় যাওয়ায় এই গল্প পড়তেও এত দেরী হল আর কি। তবে বলতে হয় সত্যজিৎ রায়ের লেখুনিতে জাদু আছে। পড়তে বসলে নিজ থেকেই একের পর এক পাতা উল্টায়ে যেতে হয়। -
I know S. Ray as a filmmaker, but he also wrote stories, including some Science Fiction and mysteries. These mystery/detective stories star Mr. Feluda, modeled partly on Sherlock Holmes. I'm not the best audience for this since I don't read many mystery stories, and have never read any Sherlock Holmes. I have read some Agatha Christie, and what I enjoy about her stories is not the mystery itself, but the description of a certain class of British people at a certain time. I can enjoy these stories in the same way as a small introduction to a certain part of Bengali society.
The introduction states that the particular stories in this collection were the hardest to translate because they make use of puns and other wordplay. The stories had to be changed somewhat, with permission from the estate, for them to make sense in English. Example, in one story the similar sounds of "people" and "peepal tree" is important for understanding a riddle. It was probably completely different words in Bengali. -
সন্দীপ রায়ের দিকে পুরো শ্রদ্ধা রেখেই বলা যায়, তার আগের তিন পুরুষের প্রতিভার সাথে তিনি পাল্লা দিতে পারেননি। সে রাস্তায় তিনি যান-ও নি, মৌলিক কাজ যা করেছেন সেগুলো খুব মনে রাখার মত কিছু না। সেটা মেনে নিয়েই তিনি যেটা করেছেন, সেটাই তার সবচেয়ে বড় কীর্তি। সত্যজিতের সাহিত্যকর্ম নিয়ে তিনি একের পর এক সিনেমা আর সিরিজ বানিয়ে গেছেন, এবং নতুন প্রজন্ম যে সত্যজিতের সাহিত্যকীর্তিকে বেশিরভাগটাই চিনেছে সন্দীপের ক্যামেরার মাধ্যমে তাতে আমার অন্তত কোন সন্দেহ নেই। সত্যজিৎ কিংবদন্তী হতে পারেন, কিন্তু টিভি-কেবল-ইন্টারনেট-ওয়েব প্লাটফর্মের যুগে সত্যজিতের বই খুঁজে পড়ার মত লোক যে কম, সেটা আমার নিজের অভিজ্ঞতাঐ দেখা। সন্দীপের সিনেমা বা সিরিজ দেখার পরে নতুন প্রজন্মের অনেকেই সত্যজিতের গল্প বা উপন্যাস খুঁজে পড়ে, এটাও আমার নিজের দেখা। একইসাথে, সন্দীপ সত্যজিতের মূল গল্পের প���রতি বিশ্বস্ত থাকেন, কাজেই আমাদের মত আগের প্রজন্মের কাছে সেটা একটা স্বস্তির এবং নস্টালজিয়ার ব্যাপার। নিজের বাবাকে প্রাসঙ্গিক রাখার জন্য তাই সত্যজিতের লেখালেখির ভক্তরা সন্দীপ রায়ের কাছে অবশ্যই কৃতজ্ঞ থাকবে।
'রয়েল বেঙ্গল রহস্য' পুনঃপঠনও হচ্ছে একটা ওয়েব প্লাটফর্মে সন্দীপ রায়ের বানানো একই নামের সিনেমা দেখে। সব্যসাচীর করা সম্ভবত শেষ ফেলুদা সিনেমা এটা; বেশ খানিকটা ভুঁড়ি হয়ে গেলেও ফেলুদা হিসেবে তিনি আগের মতই অনন্য। তোপসে আর লালমোহন অবশ্য জমেনি। কাজেই বইয়ে ফিরতে হলো। উত্তরবঙ্গের এক জমিদারের আমন্ত্রণে জটায়ুর সঙ্গী হিসেবে ফেলুদা আর তোপসের গমন, সেখানে এক গুপ্তধনের ধাঁধা, খুন আর মানুষখেকো, আর কী চাই? ফেলুদা'র ক্ষুরধার মস্তিষ্ক আর ব্যক্তিত্বের সাথে তোপসের সঙ্গত আর সেই সাথে জটায়ুর ফোঁড়ন, সব মিলিয়ে যে কোন ফেলুদা'র মতই সময়টা উড়ে যায়। তবে এটা আমার সবচেয়ে পছন্দের ফেলুদা বইগুলোর মাঝে পড়ে না, সেটাও বলে দিলাম। -
ফেলু মিত্তিরের ফ্যান হয়ে গেলাম।
-
I had seen the full set of "Felu Da" books in my school library. And my friends from West Bengal were just crazy about them which I clearly remember :-) I accidentally picked this "english translation" while looking for books online and i must say i got lucky!
I must say an amazing detective fiction at par with Agatha Christie's master detective Hercule Poirot which I have read too. This book is one among the twelve Feluda collection of Ray and definitely a great read. It is a series that would want you to read more and more...and claearly he is our very own "Sherlock Holmes".
So go for it and experience the delight. -
ছোটবেলার প্রিয় চরিত্র ফেলুদা। ফেলুদার গল্পগুলোর মধ্যে রয়েল বেঙগল রহস্য অন্যতম প্রিয়, কেমন আরণ্যক স্বাদ আছে। বিভুতিভূষণের 'আরণ্যক' এম্নিতেই খুব ভালো লাগার। জিম করবেট পড়া হলো না এখনো।
আবার পড়তে বসে রিভিশান দিলাম ২বার। এখনো সেই এডভেঞ্চারাস ফেলুদার মত হতে ইচ্ছে করে। সত্যজিৎ রায়ের লেখনীর জবাব নেই, মুগ্ধ হতে হয় তার জানার ক্ষেত্র দেখেও। গোয়েন্দা গল্পের লেখকেরা অদ্ভুত কৌশলে সাস্পেন্স তৈরি করেন, বিস্মিত হই -
loved that book....
A great version of indian sherlock holmes.......
a must read book.................................... -
দুর্দান্ত!
-
“মুড়ো হয় বুড়ো গাছ
হাত গোন ভাত পাঁচ
দিক পাও ঠিক ঠিক জবাবে।
ফাল্গুন তাল জোড়
তার মাঝে ভুঁই ফোঁড়
সন্ধানে ধন্দায় নবাবে।”
ফেলুদা, তার খুড়তুতো ভাই তোপসে এবং লেখক জটায়ুসহ এই ধাঁধা সমাধানের উদ্দেশ্য উত্তরবঙ্গের এক ধনী শিকারী জমিদারের দ্বারা আমন্ত্রিত হন।সে ধাধা সমাধান করলে গুপ্তধনের সন্ধান দেবে বলে ধারণা করা হয়। সমাধান খুজতে খুজতেই কিন্তু পরবর্তীতে জমিদারের ব্যক্তিগত সচিব তড়িৎ বাবুর রহস্যময় মৃত্যু ঘটে,সাথে বাঘের আচড়ের দাগ।তাহলে কি তড়িৎ বাবুকে বাঘেই মারলো??কেন গিয়েছিল সে জংগলে??তাছাড়া অনেকদিন পর বাঘ এলোই বা কিভাবে??ফেলুদা দএই সকল রহস্যই উদঘাটনের সিদ্ধান্ত নেন, কিন্ত তার ফলে সিংহরায় পরিবারের অনেক অপ্রিয় গোপন কথা এক এক করে বেরিয়ে আসতে শুরু করে।শেষের ক্লাইমেক্সটা ছিল চমৎকার.....!! -
ফেলুদার সাথে আমার প্রথম পরিচয় রয়েল বেঙ্গল রহস্যের মাধ্যমে- সম্ভবত '১২ সালে মুভিটা দেখেছিলাম। এবছরের শুরুর আগে আর কিছু দেখিওনি, পড়িওনি। মুভিটা খুব ভাল লেগেছিল মনে আছে কিন্তু কাহিনী অনেকটাই ভুলে গিয়েছিলাম৷ ফেলুদা সমগ্র শুরু করার সময় থেকেই এই গল্পটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম যে কবে শুরু করব! গল্পটাও খুব ভাল লাগল পড়তে। ফেলুদার গল্পগুলোর লেখা এখন পর্যন্ত ভাল হচ্ছে আগেরগুলোর চেয়ে৷ এখানেও তাই। জঙ্গল নিয়ে কখনোই তেমন আকর্ষণ ছিলনা আমার, ওরকম গল্পও পড়েছি কমই। তবে আগেকার জমিদারদের শিকারের গল্প পড়তে সবসময় ভাল লাগে। সম্ভবত মহাভারত পড়ার কারণে এমন হয়েছে। মহাভারতের বেশ কিছু চরিত্রের জঙ্গলে শিকারে গিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারস্যাপার হয়েছে। এখানেও এক জমিদারের শিকারে আগ্রহ অনেক এবং তাকে নিয়েই গল্প। বইটা দারুণ লাগল। বেশ রোমাঞ্চকর, সাথে প্রতিবারের মতই বেশ কিছু জিনিস জানা হয়ে গেল। পড়ার পর আবার মুভিটা দেখে ফেলার ইচ্ছে জাগল।
-
দারুন গল্পঃ, ফেলুদা never disappoints! নামটা একদম ঠিক, রহস্যই বটে. (বাঘটাকে না মারলেও পারতো but it's okay because of the context of those times).
-
I'm always amazed by how Satyajit ray describes the locations the events are set in. Even though he doesn't use rich vocabulary he can make us feel there.
And the time when the events happened makes me like going back in time and visiting those exact places.
Coming to the actual story, it was a good mystery, I could say a mystery within a mystery. But I could almost predict the what of the book but Ray made me read it completely for the How. -
বেশ সাসপেন্স ছিল বইটাতে!
এই বই পড়ে জানতে পারলাম ফেলুদার প্রিয় বই বিভূতিভূষণের 'আরণ্যক'! আর রয়েল বেঙ্গল টাইগার দুই পায়ে হাঁটে, মানে সামনের পা যেখানে ফেলে পেছনের পা ও সেইখানেই ফেলে! -
I read the Royal Bengal Mystery, and its not more than 3 stars.
I'll start with Sherlock Holmes. Why, because I don't understand why the friend of a famous detective is shown as a mediocre and slightly dumb fellow in front of the main detective? Why? This happened with Watson, and this happened with Topshe, and Ajitkumar Banerji too. I feel bad for them.
I understand these detectives are world renown and are exceptionally talented(and are therefore unreal), and their sidekicks are not their replica, but still, why would these detective heroes make friends with someone who doesn't matches their own wits even by 50%?
Anyway, this book had an OK mystery. Its not a 5 star because I am unable to accept the fact that its a murder mystery without a murder. People are killed, for sure, but how? As the process goes, the curtain on that raises at last and the readers witness a completely nonsense reason for the deaths. And then, enters the tiger, and even this big cat is not impressive.
I guess I was attracted to this mystery because it was Feluda, and I of course thought it would be brilliant like his other adventures and mysteries. Nevertheless, even though the mystery wasn't that intriguing, I learnt a few facts about hunting and forests, so ya, I am not totally disappointed but I am not entirely happy too.
People who like old tigers who cant fend for themselves and eventually turn into man eaters can definitely go for this one. -
লালমোহন বাবুর সুবাদে ফেলুদাদের ভ্রমণ হয় ভুটান এর বর্ডার এর কাছে দুর্ধষ শিকারী মহিতোষবাবুর বাড়িতে আমন্ত্রন পায়। সেখানে একটি ধাধার জবাব বের করতে বলা হয়। ধারণা করা হয় সেই ধাধার সমাধানেই মিলবে গুপ্তধণ। এর মধ্যে মানুষখেকো বাঘ এর উতপাত হয় জঙ্গলে। মহীতোষবাবুর ম্যানেজার তড়িতবাবুকে বাঘ জখম করে দেয়। পরে ফেলুদাই ধরতে পারে যে তড়িতবাবুর বুকে ক্ষত চিহ্ন। খুন হতে পারে। এরই মাঝে ফেলুদা ধাধার উত্তরও বের করে ফেলে। সেখান থেকেই বুঝতে পারে যে মহীতোষবাবু আসলে শিকারী নন। তিনি শিকারীর বই লিখেন, সেটাও লিখে দিতো তার ম্যানেজার তড়িত বাবু , আর শিকারগুলো করতো মহীতোষবাবুর বন্ধু শশাঙ্কবাবু আর ক্রেডিট নিতো মহীতোষবাবু। তড়িতবাবু নিজেই বুদ্ধি খাটিয়ে ধাধার উত্তর বের করে গুপ্তধন নিয়ে পালাতে চায়। কিন্তু পালাতে পারে নাই কারণ সেই রাতে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে তিনি মারা যান।
-
Loved it! Reminded me a bit of Holmes' Musgrave Ritual, but that was just one particular aspect of the book. Feluda brilliant as always, and sufficient hints provided once again to nudge the reader in the right direction.
-
Needless to say it was as engaging and entertaining as the previous stories of Feluda, its storyline was very good. It would be altogether a different experience to watch it on a big screen as a movie. Best of Feluda so far..
-
ফেলুদা, তার খুড়তুতো ভাই তোপসে এবং লেখক জটায়ুর তার বাহিনী একটি ধাঁধা সমাধানের জন্য উত্তরবঙ্গের ধনী জমিদারের দ্বারা আমন্ত্রিত হয়, যা গুপ্তধনের সন্ধান দিবে। কিন্তু মানুষখেকো বাঘের উদয়, একটি রহস্যময় মৃত্যু এবং জঙ্গলের গুজব অপ্রত্যাশিত একটি মোড় নেয় ঘটনায়।
-
Excellent!
-
i have watched the movie based on this story before but i loved the book more
-
My first of Feluda and what a beautiful story it was. Simple, poised yet so visual. Loved the storyline and ease of articulation. Strongly recommended.
-
ক্রমিকানুসারে পড়ে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত এটা সেরা। প্রতিটাই পৃষ্ঠাই ছিল সুপাঠ্য।পড়তে গিয়ে ক্লান্ত হতে হয় না।আর শেষের রহস্য উন্মোচন নিয়ে বলার সাহস করছি না।