Title | : | The Rape of Bangladesh |
Author | : | |
Rating | : | |
ISBN | : | 0706901487 |
ISBN-10 | : | 9780706901481 |
Language | : | English |
Format Type | : | Hardcover |
Number of Pages | : | 176 |
Publication | : | Published May 1, 1971 |
The Rape of Bangladesh Reviews
-
অ্যান্থনি মাসকারেনহাস তৎকালীন('৬১-'৭১) 'দি মর্নিং নিউজ' এর চিফ রিপোর্টার ছিলেন। তার এই বইটিতে মূলত তিনি '৭১ এর জুন মাসের দিকে ইংল্যান্ডে পালিয়ে গিয়ে 'সানডে টাইমস' পত্রিকায় যে রিপোর্টগুলো প্রকাশ করেছিলেন তারই একাংশ তুলে ধরেছেন। এখানে '৬৯ এর ২৬ মার্চে ইয়াহিয়া খানের গদিতে বসা থেকে শুরু করে '৭১ এর এপ্রিল পর্যন্ত এই সময়কালটিকেই তুলে ধরা হয়েছে।
'৬৯ এ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আইয়ুব খানের পতনের পর ইয়াহিয়া খান সেনাপ্রধান আসনে বসে দেশের রাজনীতিকে নিয়ে যে সূক্ষ্ম গুটিবাজিগুলো করেছিলেন তার একটা হাই লেভেল ভিউ আমরা এখানে দেখতে পাই। বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) এর জনমানুষকে অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক দিক দিয়ে কিভাবে নতজানু করে রেখেছিলো পাকিস্তানি শাসকচক্র তার বেশ স্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে এখানে। '৭০ এর নির্বাচন পূর্ব সময়ে ইয়াহিয়া খানের টালবাহানা আর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিশাল জয়ের পর থেকে পিপিপি'র প্রধান ভূট্টো সাহেবকে নিয়ে ইয়াহিয়া খান এসেম্বলি হওয়া-না হওয়া, ক্ষমতা হস্তান্তর, আওয়ামী লীগ এর ৬-দফার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সংবিধান তৈরী করা নিয়ে যে প্রহসন করেছিলেন তা বেশ গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন বইটিতে। সেই সময়ে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন পদক্ষেপকেও এখানে বিশ্লেষণ করেছেন লেখক, এছাড়াও তিনি যুদ্ধকালীন সময়ে পত্রপত্রিকা ও সংবাদ মাধ্যম গুলোকে চাপ দিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে যে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছিলো তা বেশ বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেছেন। -
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় ভারত-পাকিস্তানের স্বাধীনতা। তবে এককভাবে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় নানাবিধ সমস্যা সামনে এসে দাঁড়িয়েছিল। মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর দ্বি-জাতি তত্ত্বের মাধ্যমে ভারত পাকিস্তানের বিভক্তি হয় এবং লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাকিস্তান রাষ্ট্রের কাঠামো তৈরি হয়। লাহোর প্রস্তাব উত্থাপনকারী ছিলেন একজন বাঙালি। আর সেই প্রস্তাবের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হলেন কিনা বাঙালিরা? লাহোর প্রস্তাবে পাকিস্তানের সকল States এর স্বায়ত্তশাসনের কথা বলা হয়েছিল কিন্তু জিন্নাহ সাহেব তাঁর হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য States হতে S বাদ দিয়ে পাকিস্তানকে এক ইউনিট রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন এবং পূর্ব বাংলাকে পশ্চিম পাকিস্তানের উপনিবেশ হিসেবে শাসন শুরু করেন।
ভারতীয়রা '৪৭ এ স্বাধীন হলেও পূর্ব বাংলার মানুষ ছিল পরাধীন। সকল ক্ষেত্রে ছিল বৈষম্য। পশ্চিমাদের কলকাঠিতে কোনো সরকার প্রধানই বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেন নি। এমনকি নির্বাচিত যুক্তফ্রন্ট সরকারও। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খানের সামরিক শাসন জারি এবং ১৯৬৯ সালে আরেক স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া খানের ক্ষমতা দখল। নানা বঞ্চনার শিকার হয়ে, আন্দোলন করে অবশেষে বাঙালি নির্বাচন আদায় করে নেয়।
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন আমাদের স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত করে। পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামিলীগ ও পশ্চিম পাকিস্তানে পিপলস পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে দেয় যে শুধু '৪৭ এর দেশভাগের খাতিরে দুই পাকিস্তান একত্রিত হয়ে আছে। পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামিলীগ নির্বাচিত হলেও পশ্চিমারা ক্ষমতা হস্তান্তরের নানা টালবাহানা শুরু করে এবং ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ তাদের বর্বরোচিত আক্রমণ 'অপারেশন সার্চলাইট' পরিচালনা করে।
বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি, ত্রিশ লক্ষ মানুষের মৃত্যু, দুই লক্ষ নারীর সম্রম হরণ, এক কোটি মানুষের ভারতে আশ্রয় ও মুক্তিযোদ্ধাদের বলিদানের মাধ্যমে ২৪ বছর আগের ভুলকে শুধরে নিয়ে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
বইটিতে উঠে এসেছে স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়কালের রাজনৈতিক ঘটনাবলির বিশ্লেষণ। সাংবাদিক হওয়ার খাতিরে লেখক অনেকের সাথে কথা বলেছেন। পাকিস্তান সরকার 'পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে' বললেও নিজ চোখে পাকিস্তানি বাহিনীর হিংস্রতা দেখার পর সেই সম্পর্কে লিখেছেন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। যুদ্ধের সময়ে যে পাকিস্তান সরকারের মিথ্যা প্রচারণা ছিল সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন লেখক। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও তার প্রেক্ষাপট নিয়ে জানার জন্য ভালো একটি বই। হ্যাপি রিডিং। -
Informative but nicely narrated. The descriptions must have been very helpful for the world to understand our situation at that time.
-
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দলিলভিত্তিক এবং বিশ্লেষনমূলক বই, 'দ্যা রেইপ অব বাংলাদেশ।' তৎকালীন 'দি মর্নিং নিউজ' এর সাংবাদিক অ্যান্থনি ম্যাসকারেন্হাস আরো অনেক সাংবাদিকের সাথে ১৯৭১ সালের ১৪ই এপ্রিল পশ্চিম পাকিস্তান সরকারের মেহমান হয়ে পূর্ব পাকিস্তানে আসেন, 'এখানক���র কথিত স্বাভাবিক অবস্থা তুল ধরতে।'
কিন্তু যুদ্ধের ভয়াবহতা তাকে রীতিমত স্তম্ভিত করে। এরপর মে মাসের মাঝামাঝি তিনি পালিয়ে চলে যান জার্মানিতে এবং 'সানডে টাইমসে' বেশ কয়েক কিস্তিতে প্রকাশ করেন যুদ্ধের নৃশংসতা। ঐ সকল খবরের অনুসিদ্ধান্তই হল দ্য রেইপ অব বাংলাদেশ গ্রন্থটি।
১৪ টি অধ্যায়ে বিভক্ত বইটিতে লেখক প্রথম দিকে তুলে ধরেছেন ২৫ মার্চের প্রেক্ষাপট,তিনি খোঁজার চেষ্টা করেছেন পাকিস্তানের পতনের কারণ। লেখক বলেন, "পাকিস্তান সত্যিকারের অর্থে একটি আদর্শিক ভিত্তি রয়েছে কিন্তু আদর্শিক রাষ্ট্র হিসেবে যা সাধারণতঃ বলা হয়ে তা হয়ে ওঠেনি।"
গোয়েবল্সের পুনরাবির্ভাব' অধ্যায়ে পাকিস্তানি তথ্যমন্ত্রণালয়ের নির্লজ্জ অপপ্রচার ও পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের নিষ্ক্রিয় দর্শক ভূমিকার
কড়া সমালোচনা করেছেন লেখক। বিশেষ করে গুজব ছড়িয়ে বাঙ্গালী এবং অবাঙ্গালীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়া সংঘর্ষ পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে করেছে বলে মত দেন লেখক।
৭ই মার্চ ভাষণের ক্ষনকে বর্ণনা করতে গিয়ে লেখক বলেন, "সেনাদলের উপস্থিতির নিদর্শন একটি মাত্র সবুজ পিঙ্গল বর্ণের হেলিকপ্টার, যা গাছের উপর দিয়ে অবিরামভাবে উড়ছিল। সেনাবাহিনীর ঐরুপ উপস্থিতিতে কিছু লোককে বিচলিত করতে পারে এই আশায় হেলিকপ্টারটি উড়লেও জনগনকে মোটেই বিচলিত হতে দেখা যায়নি।"
'আশি লাখ লোক কেন মারা যাবে' শিরোনামের অধ্যায়ে- সত্তরের নভেম্বর হতে একাত্তরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দুটি বিরাট বিপর্যয়- ঘূর্ণিঝড়-জ্বলোচ্ছ্বাস, এবং পাকবাহিনীর গণহত্যায় নিহতের প্রকৃত সংখ্যার প্রাচুর্য ও ব্যাপক প্রাণহানিতে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়া পূর্ব পাকিস্তানের দুর্দশার চিত্র ফুটে উঠেছে।
কিন্তু এতকিছুর পরেও বইটিতে ইতিহাসের গভীরতার ছাপ ছিল চোখে পড়ার মত কম। হয়ত লেখক সময় কম পেয়েছেন, অন্যদিকে লেখক ভালোভাবে বিশ্লেষনেও মনোযোগ দেয়নি। তবে এটা সত্যি দলিল হিসেবে এই বই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। -
সাধারণত বহুল পরিচিত মুক্তিযুদ��ধের বই গুলোতে সম্মুখ ঘটনা গুলো প্রাধান্য দেয়া হয়ে থাকে, পর্দার আড়ালে রাজনৈতিক কলকাঠি নারা ব্যাক্তিদের কার্যকলাপ তাই অনেক ক্ষেত্রেই ��ৌণ হয়ে পরে যদিও এদের কারনেই প্রধানত আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ২৫শে মার্চের মত বর্বর ইতিহাস রচিত করা হয়েছে, সংঘটিত হয়েছে বাংলা ধ্বংসের এক ইতিহাস। স্বাধিনতাকামি তরুন সৈনিকেরা সেই বর্বর ইতিহাসকে চিরস্থায়ী হতে দেয়নি। ফলস্বরূপ ১৯৭১, বাংলাদেশ নামে এক স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম। কিন্তু পর্দার আড়ালে কারা ছিল এই নাটের গুরুরা, ক্ষমতালোভী কাদের আঙ্গুলের ইশারা বাংলায় বয়ে এনেছিল রক্তাক্র প্রান্তর? বঙ্গবন্ধু সহ আর কাদেরই বা অবদান ছিল এই চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেয়ার। লেখক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস এই উত্তর খুঁজেছেন তার "দ্যা রেইপ অব বাংলাদেশ" বইতে। একজন ব্রিটিশ নাগরিক, সাংবাদিক হিসেবে জীবনের এক দীর্ঘ সময় পাকিস্তানে অবস্থান করেও বাংলার মুক্তির ইতিহাসকে তিনি তুলে আনতে ভুলে যাননি, বাংলার বিভিন্ন প্রান্তর ঘুরে তাই উঠে এসেছে তার সেই কাহিনী যেখানে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের ইয়াহিয়া খান, ভূট্টো সহ তাদের অনুসারী এবং তাদের সামরিক বাহিনী রচিত করেছে এই বাংলায়। উঠে এসেছে বাংলার তরুন সেনাদের প্রতিরোধ সেই সাথে ইতিহাসের পাতায় বিলীন হয়ে যাওয়া হাজারো নিরীহ মানুষের গল্প, প্রায় ১ কুটি উদ্বাস্তু মানুষ দিশেহারা হয়ে অনাহারে, নির্ঘুম রাত পারি দিয়ে দেশ ত্যাগী হওয��া। বাংলায় যখন এই অবস্থা চলছিল পশ্চিম পাকিস্থানের সাধারন জনগন তার টেরই পায়নি, এতটাই সেন্সর এবং করাকরি আরোপ করা হয়েছিল তাদের সংবাদ মাধ্যমে। লেখক অ্যান্থনি সকল সংবাদ ব্রিটিশ পত্রিকা 'সানডে টাইমস' এর মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলেন, বিশ্ব সজাগ হয়ে উঠল, যখন রচিত হচ্ছিল এক নতুন ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস।
-
Mascarenhas was a journalist from West Pakistan of the Christian faith. Sent on a journalistic expedition, serving to account the life in the East Bengal on the other side, he discovers that things aren't what they seemed on the greener grassed side of the then nation of Pakistan. The two sides were separated by Indian land and hailed from what seemed like two totally different cultures, though they shared a common faith. The common faith that bound them together, where allies like Sheikh Mujibur Rahman had placed their support in alongside the Muslim League who argued that Hindus and Muslims should have a different state, separate from India where Hinduism reigns as a majority. However, two decades later, the military power and financial gain was on one side of the nation. East Pakistan was significantly more impoverished than its counterpart, though the common people in the West side were not living in luxury either.
Mascarenhas was courageous. The others sent with him on this journalism mission had stayed silent on what they had seen, but he chose action, maybe bound by a friendship to leaders on both side or due to the oppression he'd seen. He flees to London and sells the story to the Sunday Times, until then the world had no idea what was happening. He published this account later in 1971, showing that there will be no silence on a genocide that was being covered up. Conservative accounts suggest a million had died at the least, considering the country's population, it's probably true that that many or more died. 8 million had to flee to the very India they parted from in 1947 (that partition was probably a mistake after considering what transpired later..but that's me going off on a tangent).
All in all, a very interesting and well written book. Not about statistics or numbers, but about the political drama, the prelude to war, shortly the war itself, and the possible aftermath of a newly founded and independent state. It must be noted, however, that even though Bengalis were unhappy with treatment from Punjabi-led Pakistan, they weren't alone (Sindhis, Baluchis, and Pathans felt suppressed too) and they did not seek independence until war was silently declared on them by President Yahya Khan, who felt too warm in his seat of power to abdicate to the newly elected Prime Minister of the "unified" nation of Pakistan. The BBC and Indhira Ghandi credited the author for changing the world view on a heavily censored mass muder project, Ghandi said she sent support due to the account itself. Ironically, the very state Muslims fought to separate from had come to the aid of the people. It stopped two groups of Muslims from killing each other, unfortunately Muslims did (and still do) not know better than to shed blood for power.
"To those living in the sub-continent this spectacle is a mockery of the whole concept of Pakistan. The founding premise is shattered, so also the Pakistan ideology. Islam cannot countenance the practice of Muslims brutalizing and annihilating other Muslims within the land intended as a haven for the religion. Nothing can stop the 75,000,000 Bengalis from going their separate way." -
Gotta know many unknown and hidden things about Liberation war.
-
খুব আগ্রহ নিয়ে কিনেছিলাম একদা কিন্তু সম্পূর্ণ এখনো শেষ করতে পারি নি।
-
“পূর্ব বাংলায় স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে এ বিষয়ে সংবাদ প্রচার করা ছিল আমাদের কাজ বা এ্যাসাইনমেন্ট”। ‘দ্য রেইপ অব বাংলাদেশ’ গ্রন্থের রচয়িতা অ্যান্থনী ম্যাসকারেনহাস তাঁর এই উক্তির মাধ্যমে তুলে ধরেন পূর্ব পাকিস্তানে তাঁর আগমনের উদ্দেশ্য। ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাত থেকে পাক বাহিনী যে নারকীয় গণহত্যাকান্ড পরিচালনা করে তা বিশ্ববাসীর কাছে ধামা চাপা দেয়ার জন্য অ্যান্থনী ম্যাসকারেনহাস সহ কয়েক জন সাংবাদিক ও আলোক চিত্রশিল্পীকে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকরা পূর্ব পাকিস্তানে পাঠায়। যেন তারা মিডিয়ায় প্রচার করে যে পূর্ব পাকিস্তানে স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজমান।
“পূর্ব বাংলায় আমি যা দে��েছি, হিটলার বা নাৎসীদের অমানবিক অত্যাচারের কথা যা পড়েছি, তার চেয়েও ভয়াবহ মনে হয়েছে”। পূর্ব বাংলায় পৌছার পর লেখক যা দেখলেন, তাতে তিনি শিউরে ওঠেন। নিরীহ বাঙালির উপর এ কেমন অত্যাচার! তিনি তাৎক্ষনিক মত পরিবর্তন করেন। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে তিনি লন্ডনে পৌঁছান এবং ‘সানডে টাইমস’ এর কাছে বাঙালিদের উপর পাক বাহিনীর বর্বরতার খবর জমা দেন। ১৩ জুন ১৯৭১ তারিখে ‘সানডে টাইমস’ পাকিস্তানের গণহত্যার সকল ঘটনা বিশ্ববাসীর কাছে প্রকাশ করে। বিশ্ববাসী জানতে পারে পূর্ব পাকিস্তানেরর নির্মম পরিহাসের কথা।
১.পাকিস্তানে দুর্বিপাকের পূর্বরঙ্গ : এ অধ্যায়ে লেখক ২৫ শে মার্চ ১৯৭১ রোজ বৃহস্পতিবারের ঢাকা বিমান বন্দরের চিত্র তুলে ধরেছেন। আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান দশ দিন পূর্বে ফুরফুরে মেজাজে ঢাকায় এসেছিলেন আলোচনা করে সমঝোতায় পৌঁছাতে। কিন্তু তিনি হতাশা নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে ফিরে যান। লেখক এখানে একটা বিষয় স্পট করেছেন যে, ইয়াহিয়া মুখে আলোচনার কথা বললেও অন্তরে তার অন্য কিছু ছিল। পূর্ব পাকিস্তানে এসে তিনি ২৫ শে মার্চ রাতের নীল নকশা তৈরি করেন। আর তার দায়িত্ব টিক্কা খানকে দিয়ে তিনি করাচিতে পাড়ি জমান।
২. পাকিস্তান পতনের কারন গুলোর যৌক্তিকতা : পাকিস্তানের পতন যে যুক্তি সঙ্গত তা লেখক এ অধ্যায়ে আলোকপাত করেছেন। পাকিস্তানের সত্যিকার অর্থে একটি আদর্শিক ভিত্তি থাকলেও, আদর্শিক রাষ্ট্র হিসেবে যা সাধারণত বলা হয়ে থাকে তা ছিল না। একজন মুসলিম কি করে একজন মুসলিমের উপর গুলি করতে পারে, ধর্ষণ করতে পারে, হত্যা করতে পারে?
৩. পাকিস্তানে সংঘর্ষের মূল কারন সমূহ : বাঙালিরা নানাবিধ কারনে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকদের উপর অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে যা ‘৪৭ পর থেকে সৃষ্টি হয়েছে। লেখক এখানে মূলত ৪ টি কারন কে গুরুত্ব দিয়েছেন—
* রাষ্টীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণভাবে বাঙালিদের অস্বিকার করা।
* মাতৃভাষা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বহু বছরের অস্বীকৃতি।
* পশ্চিম পাকিস্তানের অবজ্ঞার চোখে বাঙালিদের দেখা।
* অর্থনৈতিক বৈষম্য যা ছিল গলা টিপে ধরার শামিল।
৪. ১৯৭০ এর নির্বাচন–পূর্ব টালবাহানা : সাধারণ নির্বাচন যতই অপ্রিয় হোক তবু তা প্রয়োজনীয় কারনে গিলতে হবে। কিন্তু ওয়াদা মোতাবেক তিনি জনগনের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দেবার কোনো ইচ্ছা পোষণ করেন নি। ১৯৬৯ সালে তাঁর প্রশ্ন ছিল জনমনে সংঘাত না হেনে কীভাবে মতলব হাসিল করা যায়। উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য তিনি শাসনতন্ত্র তৈরি করেন। বাঙালিদের মন পাবার জন্য সচিবালায়, পরিকল্পনা কমিশন, সরকারি কর্পোরেশন, দূতাবাস এবং সরকারি বেতার ও টেলিভিশনে বাঙালিদের প্রবেশ ঘটাতে লাগলেন। হটাৎ করেই ১৯৭০, ১২ ই নভেম্বর নেমে আসল প্রলয়ংকারী সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণাবাত। উপকূলবর্তী এলাকায় যে মরনছোবল আঘাত হানে, যা ছিল সে শতাব্দির সবচেয়ে মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
বিশ্বের সকল দেশ থেকে যখন সাহায্য আসতে লাগলো, তখন পশ্চিম পাকিস্তান থেকে একটি সহানুভূতি সূচক বাণী ��� শোনা গেল না। যা নতুন করে বাঙালি অসন্তোষের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিল। তখন আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। একজন এক ভোট নীতিতে জাতীয় পরিষদে ৩১৩ টি আসনের মধ্যে পূর্ব বাংলা পায় ১৬৯ টি আসন। যা ছিল শেখ মুজিবের জন্য স্বর্গ থেকে প্রেরিত একটি অমোঘ সুযোগ।
এছাড়াও আরও কিছু গুরুত্বপূূর্ণ কারন লেখক এই বইতে তুলে ধরেছেন, যেমন - দুই দেশের অর্থনৈতিক বৈষম্য, পাকিস্তানি শাসকচক্রের বিশ্বাসঘাতকতা, ১৯৭১ নির্বাচনোত্তর প্রহসন, পাক–সামরিক বাহিনীর অভিযান, গণহত্যা !!!
৫. কেন বাংলাদেশ? এই প্রশ্নের উত্তরেই লেখক স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কেন পাকিস্তা��� ভাগ হলো। ১৯৪৭ সালে লক্ষ করলে দেখব, হিন্দুদের আধিপত্য থেকে মুক্তি পেতে ভারতবর্ষ ভাগ হয়। ‘৪৭ এ দেশ ভাগ হওয়ার ফলে মুসলমানরা হিন্দুদের আধিপত্য থেকে মুক্তি পায় ঠিকই কিন্তু এবার মুসলমানরাই মুসলমানের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে থাকে। আধিপত্য থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আবারও প্রয়োজন পড়ে দেশ ভাগের। -
This is a wonderful book written based on the Liberation War of Bangladesh in 1971 and the events behind it. It is not mere a book describing the liberation war rather it looks into its depth. How a political problems created by the then West-Pakistanis later used as a propaganda to run a genocide on the then East-Pakistanis, later Bangladesh, in the name of solving some political crisis. It felt good to get to know some new things and have clear ideas about some controversial things that are often denied to be in existence.......
-
a world event, the world quickly forgot...and the horrors the country still faces, brings back all the things we thought not possible....
-
অনুবাদ যথেষ্ট ভাল হয়েছে । ঊঠে এসেছে রাজনীতির দৃষ্টিকোণ।
-
An over rated book.
-
এটাকে বই না বলে সংবাদপত্রের সংকলন বলা চলে। এখানে অ্যান্থনী আইয়ুব খানের পতনের পরে থেকে ইয়াহিয়া খানের ক্ষমতায় আসা। সেই সাথে ক্ষমতায় আসার পরে উনি বাংলাদেশের মানুষের সাথে যে গুটিবাজি খেলায় নেমেছিলেন তার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছিলেন। তখনকার সময়ে বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থার কিছুটা আভাস পাওয়া যায়।
যে কয়েকজন সাংবাদিক যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ এসেছিলেন অ্যান্থনী তাদের মধ্যে অন্যতম। বেশকিছু বিষয় নিয়ে বেশ খোলাখুলি আলোচনা করেছিলেন। তার জন্য তার বন্ধুরা পর্যন্ত তাকে তিরস্কার করে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের আর্মি যে ভুয়া খবর প্রচার করার জন্য যে খেল খেলছিলেন অ্যান্থনী তাতে অংশগ্রহণ করেনি। বইটিতে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের এপ্রিল মাসের পর্যন্ত চিত্র পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে বইটি বেশ তথ্যবহুল ও ব্যাখ্যা নির্ভর। -
Wonderfully articulated the political problem and the pakistani colonialism on the then east bengal which eventually got dismembered and led to the creation of BANGLADESH.
The author succinctly held up the 70’s election and following unrest and evil conspiracy of the Pakistani military regime and its game of power which preceded from Ayub Khan's era to the last Yahya Khan. Mostly sauntering in the 70-71 timeline which depicts the tale of game of power of the military regime, deprivation of rights of east bengal, ambitious wicked politicianslike bhutto and his farcical attempts to reach apex power all leading to Bangladesh Liberation war -
A fantastic book especially for a Bangladeshi to know about the political turmoil in the western wing
Which isn't vividly described by most of our books
This book made the intentions of sheikh Mujib crystal clear, that he only wanted to ensure the right of his ppl
Overall this book is a must read -
Impartial and unprejudiced, translucent and feisty, unaltered and detail deeds of history which unfold the political turmoil especially astuteness of west wing, the naivety of east wing and the brutality of the military regime from 1947 and beyond that leads to the liberation war of 1971.
-
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক রচিত প্রথম বই।
যেটি মূল লেখক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস ১৪ ভাগে ভাগ করে, পাকিস্তান হতে বাংলাদেশ হওয়ার মূল কারণ সহ, পাকিস্তান পতনের যৌক্তিকতা সমূহ খুব নিপূণ ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। -
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে যারা জানতে আগ্রহী কিন্তু এসম্পর্কে পড়া কম হয়েছে তাদের জন্য এই বইটা পড়ার পরামর্শ রইলো।বইটিতে সহজ ভাষায় ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের কারণগুলো এবং পাকিস্তানি শাসকদের হত্যাকান্ড সম্পর্কে সুন্দরভাবে বর্ণনা দেওয়া আছে।
-
An awesome book
-
বইটির মূল ইংরেজী থেকে বাংলা অনুবাদের আকাশ পাতাল তফাত এবং বাংলা অনুবাদে তথ্য জালিয়াতি করা হয়েছে। মূল ইংরেজী বইটি পড়ার অনুরোধ রইল।
-
⚫শর্ট রিভিউ🔴
"#দ্যা_রেইপ_অব_বাংলাদেশ"#অ্যান্থনি_মাসকারেনহাসের লেখা ৬৯ এর ইয়াহিয়া খানের ক্ষমতায় আসা থেকে শুরু করে '৭১ এর এপ্রিল পর্যন্ত এই সময়কালটিকেই তুলে ধরা হয়েছে। লেখক ৭১ ইংল্যান্ডে পালিয়ে যান এবং সেখানে বসেই তার বিগত সময়ে ৬৯ থেকে ৭১ পর্যন্ত যা কিছু লেখালেখি করে ছিলেন, বিশেষ করে "সানডে টাইমসে" তারই সারমর্ম হচ্ছে "দ্যা রেইপ অব বাংলাদেশ"
তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকচক্র কী ভাবে এদেশের মানুষকে অধিকার বঞ্চিত করে এবং রাজনৈতিক ভাবে নতজানু করে রাখার ষড়যন্ত্র করেছিল তার পর্যায়ক্রমিক বর্ণনা করা হয়েছে বইটিতে। ৭০ নির্বাচনের পর ক্ষমতা হস্তান্তর এবং ৬-দফার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সংবিধান তৈরী করা নিয়ে যে পায়তারা করেছে তার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে বইটিতে। ২৫ মার্চে সেই ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছিল এবং তার পেছনে যে ঘৃণ্য পরিকল্পনার ছক কেটেছিল তার বর্ণনাও বইটিতে ফুটে উঠেছে সুন্দর ভাবে।
বঙ্গবন্ধু সহ আওয়ামীলীগের সে সময়কার কার্যক্রম এবং কর্ম পদ্ধতির যুগ উপযোগিতাকেও যুক্তির ছায়ায় ব্যাখা করা সহ প্রশ্ন তুলার চেষ্টা লেখক করেছেন। সবমিলিয়ে বইটি পাঠক মহলে প্রসংশার দাবি রাখার মত। যারা ৭১ এর রাজনৈতিক পূর্ব পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী তাদের জন্য বইটি দারুণ কিছু হতে পারে।
বিঃ দ্রঃ যারা মারকারেনহাসের #বাংলাদেশ: #রক্তের_ঋণ পড়তে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের জন্য পরামর্শ রইল, আগে #রেইপ_অব_বাংলাদেশ পড়ে নিন, বুঝতে সুবিধা হবে।
FB: Musaddek Shakil
Email: musaddekshakil234@gmail -
venturesome attempt indeed, considering the time, place and the duty he was assigned for. But it was the right thing to do and he did it. That drives the line between human and animal.