Title | : | একটি খুনের নেপথ্যে |
Author | : | |
Rating | : | |
ISBN | : | - |
Language | : | Bengali |
Format Type | : | Hardcover |
Number of Pages | : | 240 |
Publication | : | First published February 18, 2019 |
দিনে দুপুরে খুন হয়ে গেল পুলিশের সাব ডিভিশন- ক্রাইম, নার্কোটিকস,ওয়েপন অ্যান্ড ড্রাগস-এর প্রধান সাদ ইবনে হাদি। খুনিকেও পাওয়া গেল খুব সহজেই। কারণ, খুনি নিজেও আত্মহত্যাকরেছে। কিন্তু কেন খুন হলেন সৎ, আদর্শবান পুলিশ অফিসার? কেনই সবার কাছে ফেরেশতা বলে পরিচিত একটা মানুষ খুনটা করে নিজেও আত্মহত্যা করলো?
রহস্যের জট খোলার দায়িত্ব পড়ল হোমিসাইড অফিসার আসিফ আর জুনায়েদের উপরে। তদন্তে নেমেই বুঝতে পারলো, হাতের কাছেই আছে সম্ভাব্য খুনি। তবুও নিশ্চিত হতে পারছে না হোমিসাইড গোয়েন্দারা। সম্ভাব্য সব সন্দেহভাজনেরই আছে জোরালো মোটিভ। সব কিছুই গোলকধাঁধার মত লাগছে তাদের কাছে। উত্তর আছে খুনির পরিচয়ের মাঝে কিন্তু সেটাও আরেকটি গোলকধাঁধা। মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন। কেসটা যে তাদেরও চাই। শুরু হল দুই সংস্থার ইঁদুর বেড়াল খেলা।
একটি খুন, দুইটি সংস্থা আর সাথে আছে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম। নিতান্তই সহজ-সরল একটি কেস হয়ে উঠলো গুরুত্বপূর্ণ কেসে - কারণ এই একটি খুনের নেপথ্যেই আছে বেশ কয়েকটি খুনের রহস্য। সেটা কি, জানতে হলে পাঠককে ডুবে যেতে হবে ‘একটি খুনের নেপথ্যে’।
একটি খুনের নেপথ্যে Reviews
-
ঘটনার ঘনঘটা না থাকা সত্ত্বেও গল্পটা টেনেছে শেষ পর্যন্ত। চমৎকার কাহিনী বিন্যাস, গতি কম হলেও পড়ে ভালো লেগেছে। অল দ্য বেস্ট।
-
বই : একটি খুনের নেপথ্যে
লেখক : নজরুল ইসলাম
জনরা : ক্রাইম এন্ড সাসপেন্স থ্রিলার
প্রকাশনী : বাতিঘর প্রকাশনী
প্রকাশকাল : একুশে বইমেলা ২০১৯
মূল্য :২৫০ টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২৪০
প্রচ্ছদ : ডিলান।
কাহিনী সংক্ষেপ:-
--------------------------
সাদ ইবনে হাদি একজন পুলিশের ডিআইজি এবং সেই সাথে (ক্রাইম নারকোটিকস ওয়েপন্স অ্যান্ড ড্রাগস) সংক্ষেপে CNOD শাখার প্রধান ব্যক্তি। প্রতিদিন নিয়ম করে ঠিক সাড়ে সাতটায় রমনা পার্কে মর্নিং ওয়াক করা তার নিত্যদিনের চিরাচায়িত অভ্যাস। ঠিক সেরকমি অন্য একদিনে মর্নিং ওয়াক করতে গিয়ে রমনা পার্কে খুন হয়ে যান সাদ ইবনে হাদি। খুনের পরপরেই তাৎক্ষনিক খুনিও নিজেকে নিজের গুলি দিয়েই মেরে ফেলেন.........
এদিকে খুনের তদন্তের দায়িত্ব পড়ে হোমিসাইড ইউনিটের অফিসার আসিফ ও তার সহকর্মী জুনায়েদের উপর। তাদের দুজনকেই সময় বেঁধে দেওয়া এক সপ্তাহ। এক সপ্তাহের মধ্যে যদি তারা দু'জন কেস সমাধান না করতে পারলে কেস চলে যাবে পি-বি-আই ডিপার্টমেন্টের হাতে। আর এই কেসটি কোন ভাবেই যাতে পি-বি-আই এর হাতে না যায় তার জন্যে আসিফ আর জুনায়েদ দুজনেই উঠে পড়��� লেগে যায় তদন্তের জন্যে। তদন্তে নামার পরে তারা দুজনেই অবাক! তাদের তদন্তে বের হয়ে আসছে একের পর এক অপরাধ জগতের গল্প আর অন্ধকার জগতের গল্প....
এদিকে কেসের সময় বেঁধে দেওয়া সাত দিন না যেতেই তিন দিনের মাথায় কেস চলে যায় পি বি আই এর হাতে। আর ঠিক কিছুক্ষন পরেই আসিফের মাথায় বাজ ভেঙ্গে পড়ার অপেক্ষায়! পি বি আই এর থেকে যে এই কোসের তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে সে বরং অন্য কেউ নয়,স্বয়ং আসিফের এক্স গার্লফ্রেন্ড আহির! কিন্তু কেসটি তাদের হাতে চলে যাওয়ার পরেও আসিফ কেসটি ছাড়তে নাছোড় বান্দা....
এদিকে আহিরে সহযোগিতায় পি বি আই কে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছে আসিফ এবং জুনায়েদ। কিন্তু এ তদন্ত কাজের পুরো ঘটনা আরো বেশি নাটকীয়তায় মোড় নেয়। আস্তে আস্তে কেসটি বাক নেয় অন্য এক দিকে। হত্যার সাথে সম্পর্ক আছে আন্ডারওয়ার্ল্ডেরর ডন:- কাশেম তালুকদারের, বিশিষ্ট শিল্পপতি:- সালাউদ্দীন ভূইয়ার, এবং সাবেক এমপি:- শিকদার খানের।
এদিকে খুন হয়ে যায় আরেক পুলিশ উদ্ধতন কর্মকর্তা ইনেসপেক্টর ফরাজ উদ্দিন সাহেব। যে কিনা সাদ ইবনে হাদীর খুনেরর তদন্তে খুনিকে ধরার সব রকম তথ্য আছে বলে আহিরকে সব রকম সহযোগিতা করবে বলে ফোন দিয়েছিলো মধ্য রাতে। কি নাটকীয় কান্ড! তার পরেরদিনেই ঢাকার এক ময়লা বাঘাড় থেকে তার মৃত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ অফিসাররা। কেসের তদন্ত দিন দিন জটিল হতে থাকে। সে সাথে চারদিক থেকে আসে নানান ধরনের চাপ।
আর এই চাপের মাঝেই আসিফ আর জুনায়েদ খুনের তদন্তের আরেকটি নতুন পর্দা উন্মোচন করেন। বেরিয়ে আসে সাদ ইবনে হাদীর আসল মুখোশ। পাঠক, এই আসল মুখোশ কি ছিলো জানতে হলে আপনাকে পড়তে হবে। এ দিকে আহির খোঁজ নিয়ে জানতে পারে বিগত কয়েক মাস থেকে একের পর এক পুলিশ অফিসার নিখোঁজ, আবার কারো কারো মৃত লাশ ও খুঁজে পাচ্ছে পুলিশ অফিসাররা.......
তো পাঠক,একটি খুনের নেপথ্যের গল্পে কে এতগুলো খুনের কালকাঠি নাড়ছে?? কেনো এত পূর্ব পরিকল্পনা করেই খুনি এতগুলো খুন একের পর এক করে যাচ্ছে??এর পেছনে খুনির মোটিভ কি?? আর এই খুন গুলোর সাথে কাশেম তালুকদার, সালাউদ্দিন ভূইয়া, শিকদার খানের সাথে কতটুুকু সম্পর্ক আছে?? আদৌ কি তারা এই খুন গুলোর সাথে জড়িত?? পাঠক এসকল প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আপনাকে পড়তে হবে নজরুল ভাইয়ার প্রথম মৌলিক ক্রাইম/সাসপেন্স থ্রিলার বই "একটি খুনের নেপথ্যে"।
◾▪️পাঠ প্রতিক্রিয়া:-
"একটি খুনের নেপথ্যে" বইটি মূলত আন্ডারওয়ার্ল্ড ভিত্তিক একটি ক্রাইম এন্ড সাসপেন্স ঘারনার থ্রিলার উপন্যাস। আমার কাছে গল্পের প্লট একেবারে ইউনিক না হলেও বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছে। তবে সচরাচর আমরা যেটা ক্রাইম থ্রিলার উপন্যাস গুলোতে দেখতে পাই সেটা হলো গল্পের গতি। অর্থাৎ, পুরো বইটি যদি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত গতি ঠিক মতো না থাকে তাহলে পড়ে মজা পাওয়া যায়না। আর ''একটি খুনের নেপথ্যের" বইটিতে লেখক চেষ্টা করেছেন গল্পের গতি ধরে রাখতে। কিন্তু আমার কাছে একটু মনে হয়েছে বইয়ের প্রথম দিক থেকে কিছুটা গতি পেয়ে মাঝ পর্যন্ত এসে স্লো হয়ে গিয়েছে। তবে বইয়ের মাঝ থেকে শেষ পর্যন্ত গতি ছিলো টেনে নেওয়ার মতো। বইয়ের শেষ ফিনিশিংটি দারুন ছিলো এবং বইয়ের শেষের দিকে টুইস্টের কোন কমতি ছিলোনা।
"একটি খুনের নেপথ্যে" চরিত্রায়ন বেশ ভালো ছিলো। যদিও এটি অন্ডারওয়ার্ল্ড ভিত্তিক ক্রাইম থ্রিলার উপন্যাস তাই চরিত্রের সংখ্যাটা নেহাত কম হওয়ার কথানা। তারপরেও বলতে বাধ্য হচ্ছি আমি, বইয়ের এতো পরিমান চরিত্র ছিলো যে আমি নিজেই পড়তে গিয়ে কয়েকবার চরিত্রের খেইল হারিয়ে ফেলেছি। মানে চরিত্রগুলো মনে রাখতে আমার কষ্ট হয়েছিলো। ক্রাইম থ্রিলার হিসেবে ঢাকার আন্ডারগ্রাউন্ডের বর্ণনা আমার বেশ ভালো ��েগেছে। সেই সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি ভাইয়ার লেখার হাত সত্যি দুর্দান্ত!
"একটি খুনের নেপথ্যে" বইয়ের বাঁধাই, কাগজের মান ভালো না বলে মোটামোটি বলা যায়। কারন,বাতিঘরের সব বই আমার কাছে এভারেজ টাইপের মনে হয়। তবে বইয়ের মেক আপ আরো ভালো হতে পারত। বানান নিয়ে দু একটা কথা বলতে হয়,বেশ কয়েক যায়গায় বানান ভুল পেয়েছি।আশা রাখি পরবর্তীতে ভাইয়া সেগুলো শুধরে নিবেন।
আমি আশাবাদী আন্ডারওয়ার্ল্ড ভিত্তিক ক্রাইম এন্ড সাসপেন্স থ্রিলার যারা পড়তে পছন্দ করেন তাদের জন্যে নজরুল ভাইয়ার রচিত "একটি খুনের নেপথ্যে" উপন্যাসটি আপনাকে কোন ভাবেই হতাশ করবেনা। বরং বইটির সাথে আপনাদের দারুন সময় কাটবে। -
|| রিভিউ ||
বইঃ একটি খুনের নেপথ্যে
লেখকঃ নজরুল ইসলাম
প্রকাশকঃ বাতিঘর প্রকাশনী
প্রকাশকালঃ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
ঘরানাঃ মার্ডার মিস্ট্রি/থ্রিলার
প্রচ্ছদঃ ডিলান
পৃষ্ঠাঃ ২৪০
মুদ্রিত মূল্যঃ ২৫০ টাকা
ধরণঃ হার্ডকাভার
কাহিনি সংক্ষেপঃ সাতসকালে ঢাকার বিখ্যাত রমনা পার্ক হয়ে ওঠে শরীর সচেতন মর্নিং ওয়াকারদের তীর্থস্থান। এই নিরুপদ্রব রমনা পার্কেই এক সকালে খুন হলেন ক্রাইম, নারকোটিকস, ওয়েপন্স অ্যান্ড ড্রাগস, সংক্ষেপে সি.এন.ও.ডি.-এর প্রধান সাদ ইবনে হাদি। পুলিশের এই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে উপর্যুপরি গুলি করে খুন করার পর খুনি নিজেও আত্মহত্যা করে বসলো। আর এতেই বেধে গেলো 'প্যাঁচ'। সারাজীবন একজন সৎ আইনের লোক হিসেবে সর্বজনবিদিত সাদ ইবনে হাদি'র এহেন খুনের ঘটনা টনক নড়িয়ে দিলো পুরো প্রশাসনের।
এই হাই-প্রোফাইল খুন ও খুনির নিজের আত্মহত্যার ঘটনার তদন্তভার এসে ন্যস্ত হলো হোমিসাইড ডিটেকটিভ আসিফ ও তার সহকারী-বন্ধু জুনায়েদের ওপরে। তদন্ত শুরু করার পর আরো একটা অদ্ভুত ব্যাপার ওদের সামনে এলো। আর তা হলো, আত্মহত্যাকারী খুনির নিজের ব্যাকগ্রাউন্ডেও বেশ পরিস্কার। পরিচিত মহলে একদম নির্বিরোধী একজন ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলো লোকটা। তবে কেন সে পুলিশের ওই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে খুন ���রতে গেলো?
ঢাকার বর্তমান আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন কাশেম তালুকদার ওরফে কালু কাশেমের নামও চলে আসলো সাদ ইবনে হাদি খুনের কেসে। সেই সাথে উঠে আসলো বিশিষ্ট শিল্পপতি সালাউদ্দীন ভুঁইয়া ও ম্যানিয়াক এক সাবেক এম.পি. শিকদার খানের নামও। মজার ব্যাপার হিসেবে হোমিসাইড ডিটেকটিভ আসিফ ও জুনায়েদ আবিস্কার করলো যে, সাদ ইবনে হাদিকে খুন করার মোটিভ রয়েছে এদের প্রত্যেকেরই। কিন্তু মোটিভ যতোই থাক, সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংগ্রহকৃত প্রমাণের সংখ্যা বড় অপ্রতুল। এদিকে হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের হাত থেকে এই কেসটা কেড়ে নেয়ার জন্য একেবারে মরিয়া হয়ে উঠেছে পি.বি.আই. (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)। আল্টিমেটাম বেঁধে দেয়া হয়েছে আসিফ ও তার টিমকে।
একটা খুন আর খুনির রহস্যজনক আত্মহত্যার কেসটা ধীরে ধীরে জটিল আকার ধারণ করতে লাগলো। হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের ডিটেকটিভ আসিফ ও জুনায়েদ এবং পি.বি.আই.-এর আহির এই রহস্যের নানা গলি-ঘুপচিতে এক চিলতে আলোর আশায় ঘুরে ফিরতে লাগলো বারবার। এদিকে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন কালু কাশেম ও তার ডান হাত বিকাসও কিন্তু বসে নেই। এরাও চালিয়ে যাচ্ছে নিজ নিজ তৎপরতা। সাদ ইবনে হাদি'র খুনের কেসের সাথে জড়িয়ে একটা ব্যাপার কিন্তু ঠিকই বুঝলো তদন্তকারীরা। আর তা হলো, কারো অতীতই পুরোপুরিভাবে সাদা না। বহুল চর্চিত প্রবাদবাক্য Behind every fortune, there is a crime-এর সত্যতা হাড়ে হাড়ে টের পেতে লাগলো তারা। আর কাঙ্ক্���িত সত্যের উন্মোচন নাড়িয়ে দিয়ে গেলো সবাইকেই, যা আসিফরা কখনোই ভাবেনি।
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ নবীন লেখক নজরুল ইসলাম এর আগে জাপানি বিখ্যাত ঔপন্যাসিক কিয়েগো হিগাশিনোর 'জার্নি আন্ডার দ্য মিডনাইট সান'-এর ছায়া অবলম্বনে রচনা করেছিলেন মার্ডার মিস্ট্রি 'অস্পৃশ্যতা'। এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশ হওয়া 'একটি খুনের নেপথ্যে' তাঁর প্রথম মৌলিক কাজ। একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার খুন ও খুনির রহস্যজনক আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে তাঁর এই উপন্যাস। উদ্ভুত এই রহস্যের তদন্ত ও তৎপরবর্তীকালে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনাবলী দিয়েই সাজানো হয়েছে অধ্যায়গুলো। তথাকথিত হার্ডকোর থ্রিলার না বলে 'একটি খুনের নেপথ্যে'-কে আমি বরং আদর্শ একটা সাধারণ মিস্ট্রিই বলবো, যেখানে স্টেপ বাই স্টেপ একটা খুন ও একটা অদ্ভুত আত্মহত্যার রহস্যের জট ছাড়ানো দেখানো হয়েছে। হোমিসাইড ডিটেকটিভ আসিফ ও জুনায়েদের চৌকস কর্মকাণ্ডের সাথে পি.বি.আই.-এর ইনভেস্টিগেটর আহির মেয়েটার কম্বিনেশনের ব্যাপারটা লেখক উপভোগ্য ভাবেই ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন এই উপন্যাসে।
তবে কাহিনির গতিপ্রকৃতি আমার কাছে কিছুটা ধীর মনে হয়েছে মাঝে মাঝে। তবে শেষের ট্যুইস্টটা ভালো লেগেছে। 'একটি খুনের নেপথ্যে-এর রুদ্ধশ্বাস আবহটা আমি আসলে অনুভব করতে শুরু করেছি কাহিনিটা শেষের দিকে আসার পরেই। নজরুল ইসলামের প্রথম মৌলিক থ্রিলার উপন্যাস হিসেবে উদ্যোগটা বেশ ভালোই ছিলো বলা চলে। ভবিষ্যতে তাঁর লেখনী ও কাজগুলো আরো উন্নতির পথে পৌঁছাবে এমনটাই আশা করছি।
ডিলান সাহেবের প্রচ্ছদ এবার আমার কাছে অতোটা দৃষ্টিনন্দন মনে হয়নি। বইয়ে বানান ভুলের মাত্রা অবশ্য খুব বেশি খেয়াল করিনি। তবে ছোটখাটো টাইপিং মিসটেক ছিলো। যেমন, কালাম চরিত্রটাকে কয়েকবার কামাল হিসেবে লেখা হয়েছে। ওভার-অল মোটামুটি ভালোই লেগেছে 'একটি খুনের নেপথ্যে'।
ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৩.৭/৫
গুডরিডস রেটিংঃ ৩.৮৮/৫
© শুভাগত দীপ
(২৭ মার্চ, ২০১৯, রাত ১০ টা ১৪ মিনিট; নাটোর) -
I'm back with my new book review ::
বইয়ের নাম : একটি খুনের নেপথ্যে
লেখক : নজরুল ইসলাম
জনরা : ক্রাইম থ্রিলার
প্রকাশনী : বাতিঘর প্রকাশনা
প্রকাশকাল : ফেব্রুয়ারী ২০১৯
মূল্য :২৫০ টাকা গায়ের দাম
পৃষ্টা সংখ্যা : ২৪০ পেজ
প্রচ্ছদ : ডিলান।
কাহিনী সংক্ষেপ ::
প্রতিদিন পত্র পত্রিকা খুললে সর্বপ্রথম খুনের শিরোনামটাই চোখে পরে। মাসের ত্রিশ দিন কিংবা বছরের তিনশত পয়ষ্টি দিন। এই প্রতিটা খুনের পিছনে থাকে কোন না কোন রহস্য। কখনো সেই রহস্য উৎঘাটন হয় কখনো বা রয়ে যায় ক্ষমতার অন্তরালে।।
ঠিক তেমনি একটি খুনের গল্প। গল্পের অন্তরালে রয়েছে আরো অনেক গল্প। তাই দেরি না করে স্থির হয়ে বসুন "একটি খুনের নেপথ্যে " এর গল্প শুনতে।
ঢাকার রমনাপার্ক এ প্রতিদিন সকালে হাজারো স্বাস্থ্য সচেতন লোক ব্যায়াম করতে যায়। তেমনি একজন স্বাস্থ্য সচেতন পুলিশ এর ক্রাইম নার্কোটিকস, ওয়েপন এন্ড ড্রাগস ডিপার্টমেন্ট এর আইজি সাদ ইবনে হাদি খুন হলো রমনাপার্ক এ। খুনের পরেই তৎক্ষনিক সময়ে খুনি নিজেও আত্মহত্যা করে।।
হাই প্রোফাইল খুন, আর আনাড়ি খুনি।।
খুনের তদন্ত হাতে পায়, পুলিশ এর হোমসাইড ডিপার্টমেন্ট এর অফিসার আসিফ ও তার সহকর্মী জুনায়েদ। সময় বেঁধে দেয়া হলো এক সপ্তাহ। নতুবা একসপ্তাহ পরে কেস নিয়ে যাবে চলে যাবে পিবিআই ডিপার্টমেন্ট এর হাতে। এদিকে আসিফ জুনায়েদরা উঠে পরে লেগেছে তদন্ত এর জন্য। তদন্তকর্মে একেক করে বের হয���ে আসছে অন্ধকার জগতের গল্প।
কিন্তু তিনদিন না যেতেই কেস তুলে নেয় পিবিআই ডিপার্টমেন্ট। গোদের উপর বিষ ফোরা তখনই দেখা যায় যখন আসিফ জানতে পারে যে অফিসার কেস তদন্ত এ এসেছে সে আর কেউ না আসিফ এর এক্স গার্লফ্রেন্ড অহির।।
তারপর এক্স গার্লফ্রেন্ডের সাথে হাতে হাত রেখেই পুরো দমে শুরু হয় কেস তদন্ত। একটি খুন, দুইটি সংস্থা হোমোসাইড, পিবিআই। একটি খুনের পিছনে রয়েছে আরো কয়েকটি খুনের গল্প, আরো কিছু অন্ধকার জগত এর গল্প। আর সময় ৭২ ঘন্টা। কেননা এটা হাই প্রোফাইল কেইস।।
দুই সংস্থা এক খুনের রহস্য। পুলিশ ডিপার্টমেন্টদ্বয়ের সাথে পাঠক আপনাকেও স্বাগতম " একটি খুনের নেপথ্য" উপন্যাসে।
পাঠ প্রতিক্রিয়া ::
২০১৯ সালে বাতিঘর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয় নজরুল ইসলাম ভাই এর রচিত প্রথম উপন্যাস " একটি খুনের নেপথ্যে "। কিন্তু নজরুল ইসলাম ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় তার এবারের বই " শেষ পান্ডুলিপি " দিয়ে। "শেষ পান্ডুলিপি " বইটি আমার পড়া তার প্রথম বই। ঐবইতে লেখক ৩৫ বছর পুরোনো একটি খুনের রহস্য উৎঘাটন করেছেন। সো বইটিতে একটি নস্টালজিয়া ভাব ছিলো। শেষ পান্ডুলিপি বইটি আমার দারুণ লেগেছিলো। ব্যাস্ততার কারনে আমি ঐ বইটি সম্পর্ক কিছু লিখতে পারিনি।
এবার আসি তার "একটি খুনের নেপথ্য" বইটির ব্যাপারে। প্রথমেই বলবো বিভিন্ন রিভিউ দেখে সবচে বেশি যে জিনিশটা চোখে পড়েছে একটি খুন দুটি সংস্থা। মজার বেপার হলো এক্স গার্লফ্রেন্ড। যাই হোক লেখক গল্পের প্লট তৈরি করেছেন দারুণ। সেই সাথে প্রথম বই হিসাবে ক্যারেক্টার ডেভলপম্যান্ট টা ছিলো ভালো। গল্প তৈরিকরা কিংবা গল্প বাক সবকিছুই ভালো ছিলো। সেই সাথে গল্পে টুইস্টটাও কম ছিলো না। এতো কিছু হয়ত থ্রিলার পাঠকরা সবসময়ই নিয়ে থাকে। তাই আমার কাছে যে জিনিশ টা সবচে বেশি ভালো লেগেছে তা হলো অন্ধকার জগত। লেখক খুনের গল্পের অন্তরালে দেখিয়েছেন আমাদের চর্মচোখে দেখার বায়রেও একটা ডার্কওয়াল্ড। সেখানে লেখক দেখিয়েছেন ক্ষমতার বলে মানুষ কত কি করে, কিংবা অর্থ এর সামনে সাধারন মানুষ কেমন অথবা ড্রাগ ডিলারদের জগত। এইসব বিষয় গুলো আমার সবচে বেশি ভালো লেগেছে। ক্রাইম থ্রিলারে এসব মালমসলা বেশি হলে থ্রিলার জমে উঠে। সো জমজমাট একটি থ্রিলার ছিলো "একটি খুনের নেপথ্যে"।।
গঠনগত দিক থেকে বাতিঘর প্রকাশনীর বইয়ের মূল সমস্যা দূর্বল বাধাই, বানান ভুল, প্রিন্ট মিস্ট্রেস। বানান ভুল এর সাথে বর্তমানে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। বাতিঘরের বইয়ে বানান ভুল না থাকলে অবাক লাগে। তাই অন্যসব বইয়ের মতো এই বইয়েও বানান ভুল চোখে পরার মতোই ছিলো। দূর্বল বাধাঁই, সামনে এগিয়েছি আর খুলেছে।। আর সব কিছু ভালো, ২৪০ পেজের বইটি মূল্য হিসাবে ছিলো ২৫০ টাকা। আর প্রচ্ছদ অলঙ্কনে ছিলো ডিলান সাহেব। সর্বাপরি লেখক নজরুল ইসলাম এর জন্য শুভকামনা আশা করি সামনে এই রকম আরো থ্রিলার তিনি পাঠকের সামনে উপস্থাপন করবেন।।
পারসোনাল রেটিং : ৪/৫।।
মিদুল,
চকবাজার পুরাতন ঢাকা।
১৫-০৫-২০২০, বেলা ১:৩০। -
'একটি খুনের নেপথ্যে' দারুণ ভাবে শুরু হলেও শেষটা দারুণ মনে হয়নি। এর পেছনে দায়ী করবো ব্যাপক মাত্রায় কাকতালের উপস্থিতি। আর গল্পের ক্যারেক্টারগুলোর আচরণ বিশেষ করে পুলিশের আচরণ দেশীয় পুলিশের সাথে মেলাতে পারছিলাম না। ভালো দিক বলতে লেখকের লিখনশৈলী। আমার পড়া লেখকের প্রথম বই হলেও তার লেখার স্টাইল আমার ভালোই লেগেছে। সবমিলিয়ে বইটা মিডিওকোর। পড়তে পারেন, তবে মাস্টরিড হিসেবে রেকমেন্ডেড না।
-
#রিভিউ
একটি খুনের নেপথ্যে
নজরুল ইসলাম
বাতিঘর প্রকাশনী
পৃষ্টা:২৪০
প্রচ্ছদ: ডিলান
পার্কে মর্নিংওয়াকে এসে খুন হয়ে গেল পুলিশের ডিআইজি। অদ্ভুত ব্যাপার হল গুলি করে খুন করার পর খুনি নিজেও একই অস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ডিআইজি খুন হওয়ার আগে তদন্ত করছিলেন একজন আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন, একজন নমিনেশন প্রার্থী এমপি ও একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর তিনটি ভিন্ন অপরাধের। এ তিনজনের সমান সুযোগ ও মোটিভ রয়েছে ডিআইজিকে খুন করার। খুন কি এদের মধ্যে কেউ করিয়েছে নাকি বাইরে থেকে কলকাঠি নাড়ছে অন্যকেউ?
খুনি কেন খুন করার পর আত্নহত্যা করে বসল?
এ রহস্যজনক কেসের তদন্তে নামল হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের ডিটেকটিভ আসিফ ও জুনায়েদ। তারা কি পারবে এ রহস্যের সমাধান করতে? নাকি বের হয়ে আসবে অপরাধজগতের অন্ধকার কোনো চক্রের?
নজরুল ইসলামের প্ৰথম মৌলিক থ্রিলার একটি খুনের নেপথ্যে। সুনিপুণ উপায়ে কোনোরকম আড়ম্বরতা ছাড়াই গল্প বলেছেন তিনি। আমার মতে উপন্যাসে কোনো প্লটহোল নেই। আছে বেশ কয়েকটা মাথা ঘুরানো টুইস্ট। একেবারে শেষমুহূর্তের আগে কালপ্রিট কে সেটা প্রেডিকশন করাও কঠিন। এছাড়াও এ উপন্যাসে নিখুতভাবে উঠে এসেছে ঢাকার অন্ধকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিখুঁত চিত্র, নোংরা রাজনীতি ও দুর্নীতি। যা এ উপন্যাসকে শুধুই একটা মার্ডার মিস্ট্রির গন্ডিতে আটকে রাখেনি। সেই সাথে এটাকে একটা পলিটিক্যাল থ্রিলারের রূপ দিয়েছে। বার বার এমনভাবে গল্পের মোড় বদলেছে যে উপন্যাসটা সময় যাওয়ার সাথে ক্রমেই পেজ টার্নার হয়ে উঠেছে। আরো মজার ব্যাপার হলো শেষের দিকে একেবারে নতুন দুটো চরিত্রের কাছে আরেকবার ধাক্কা খাবেন। নায়ক চরিত্রে আসিফ ও জুনায়েদ দুজনেই সফল। তাদের উপস্থিত বুদ্ধি ও দুরন্ত সাহসিকতার কারণেই ঘোলাটে কেসটা সলভ করা সম্ভব হয়েছে। বলা যায় যে, প্রথম মৌলিক থ্রিলারে নজরুল ইসলাম বেশ মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। একশন একেবারেই ছিল না। বুদ্ধিবৃত্তিক ক্রাইম থ্রিলার। পয়সা উশুল হয়ে যাবে পাঠকদের। হাইলি রিকমেন্ডেড। -
“The world is full of obvious things which nobody by any chance ever observes.” ― Arthur Conan Doyle; The Hound of the Baskervilles
-
একটি খুনের নেপথ্যে
-
সাদ ইবনে হাদি, পুলিশের ডিআইজি এবং সিএনওডি (ক্রাইম নারকোটিকস ওয়েপন্স অ্যান্ড ড্রাগস) শাখার প্রধান ব্যক্তি। সাত সকালে রমনা পার্কে মর্নিং ওয়াক করা যার নিত্যদিনের অভ্যাস। সেরকমের এক মর্নিং ওয়াক করার সময়ই খুন হয়ে গেলেন তিনি।
-
আসিফ ইকবাল আহমেদ, পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের একজন অফিসার। এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তকার্য এসে পড়ে তার হাতে। কিন্তু খুব তাড়াতাড়িই অপরাধীকে পেয়ে যায় তারা, যে কিনা নিজেই আত্মহত্যা করে বসে আছে খুন করার পরে।
-
কিন্তু এ ঘটনা পুরো তদন্তকাজকে আরো ঘোলা করে দেয়। আস্তে আস্তে কেসটির সাথে সম্পর্ক পাওয়া যায় এক আন্ডারগ্রাউন্ড ডন, এক শিল্পপতি এবং এক এমপির। এদিকে পুলিশের নানা অভ্যন্তরীণ জায়গা থেকেও আসতে থাকে নানা ধরণের চাপ।
-
এখন কেন সি.এন.ও.ডি. চিফ এভাবে খুন হলেন? আত্মহত্যা করা ব্যক্তিটিই কি আসল খুনি? আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন কাশেম তালুকদার, বিশিষ্ট শিল্পপতি সালাউদ্দীন ভুঁইয়া, সাবেক এমপি শিকদার খানের এই কেসটির সাথে কি সম্পর্ক? আসিফ আর তার সহকারী জুনায়েদ কি পারবে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার তথা আসল অপরাধীকে ধরতে পারবে? এই একটি ���ুনের নেপথ্যে আসলে কে কলকাঠি নেড়েছে? তা জানতে হলে পড়তে হবে লেখক নজরুল ইসলাম এর লেখা প্রথম মৌলিক থ্রিলার "একটি খুনের নেপথ্যে"।
-
"একটি খুনের নেপথ্যে" মূলত আন্ডারওয়ার্ল্ড ভিত্তিক একটি ক্রাইম থ্রিলার। গল্পের প্লট একেবারে ইউনিক না হলেও বেশ ইন্টারেস্টিং। তবে গল্পের মূল সমস্যা মনে হয়েছে এর পেসিং। ক্রাইম থ্রিলার হিসেবে এর পেসিং প্রথম থেকে মাঝ পর্যন্ত অতিরিক্ত স্লো। মাঝ থেকে কাহিনী গতি পায় এবং ফিনিশিং সে হিসেবে বেশ ভালোই লেগেছে।
-
"একটি খুনের নেপথ্যে" চরিত্রায়নের ভিতরে হোমিসাইড শাখার ডিটেকটিভ আসিফ এবং পি.বি.আই.- এর ডিটেকটিভ আহির সবচেয়ে ভালোভাবে ফুটে উঠেছে। তবে কিছু চরিত্রগুলোর কথোপকথোন আরো বেটার হতে পারতো। ক্রাইম থ্রিলার হিসেবে পুলিশের নিজেদের ভিতরের পলিটিক্স এবং ঢাকার আন্ডারগ্রাউন্ডের বর্ণনা ভালো লেগেছে।
-
"একটি খুনের নেপথ্যে" বইয়ের বাঁধাই, কাগজের মান ভালোই, তবে বইয়ের মেক আপ ভালো হতে পারতো। বইতে বেশ কিছু বানান ভুল চোখে পড়েছে, যার ভিতরে চরিত্রের নামের বানান ভুল ছিলো দৃষ্টিকটু। "একটি খুনের নেপথ্যে" বইয়ের প্রচ্ছদটি এভারেজ মানের লাগলো,স্পাইনে টাইটেলের দুইটি শব্দের মাঝে স্পেসও মিসিং।
-
ওভারঅল, ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ড এবং প্রশাসনকে ঘিরে বেশ স্লো বার্ন ঘরানার একটি ক্রাইম থ্রিলার হচ্ছে "একটি খুনের নেপথ্যে", যাদের এই ধরনের থ্রিলার বই পড়তে পছন্দ তারা বইটি পড়ে দেখতে পারেন। -
ছোটবেলা থেকেই আমি মার্ডার মিস্ট্রি জনরার ফ্যান। এতই ফ্যান ছিলাম যে পড়ার কিছু না পেয়ে ইন্ডিয়ান সিরিয়াল সি.আই.ডি দেখতাম। যাই হোক, এত এত মার্ডার মিস্ট্রি পড়তে পড়তে আর কিছুটা দেখতে দেখতে এখন নিজেই এই জনরার বই পড়ার সময় অর্ধেক পড়া হলে আন্দাজ করে নেই কে খুনি...তারপর শেষে যদি মিলে যায় তাহলে শান্তি লাগে। এই বইয়ের খুনি আন্দাজ করা ইজি ছিল, আমার ফার্স্ট গেস ই মিলে যায়। তবুও, ওভারঅল বইটা খারাপ লাগেনি।
-
I've not read many Bangladeshi thrillers. But from what I've read, this book easily comes second. First is 1952 by Mohammod Najib uddin
-
বইয়ের প্রথমার্ধ খুবই সাবলীল গতিতে এগিয়েছিল। এরপরেরটুকু একটু বেশিই দ্রুতভাবে এগোনো। আরেকটু বেশি আশা ছিল শেষটুকু নিয়ে।
সুন্দর লেখনী এবং ক্লাসিকাল টাচ বিদ্যমান। -
ভালো লাগছে। এমন থ্রিরার পড়ার আশাই করি।
-
"একটি খুনের নেপথ্যে" নিছক একটি ক্রাইম থ্রিলার নয়। লকড রুম মার্ডার মিস্ট্রি কিংবা অজ্ঞাতপরিচয় খুনীর পরিচয় খোঁজার গল্প না হয়েও এই উপন্যাসের কাহিনি পাঠককে আটকে রাখে শেষ পর্যন্ত। রাজনৈতিক কূটচাল, মাদক চক্র, আন্ডারওয়ার্ল্ডের গলি-ঘুপচি- জাদুর শহরের অন্ধকার বাস্তবতার সাথে পরিচিত হতে হয় বারবার। গল্পের পরতে পরতে উন্মোচিত হতে থাকে একের পর এ��� অজানা অধ্যায���।
গল্পে বাস্তব জীবনের ধাপে ধাপে তদন্তের ক্লান্তি যেমন আছে, তেমনই আছে নাটকীয়তা। সাবলীল বর্ণণাভঙ্গির পাশাপাশি কখনও কখনও সংলাপের মেকিভাব চোখে পড়ে।
তবুও আসল কথা হচ্ছে, ভিনদেশি কোন পিলে চমকে উঠা গল্প নয় "একটি খুনের নেপথ্যে"। পত্রিকার পাতা ওল্টালে প্রতিদিন যেমন অসংখ্য খুনের খবর আমরা পড়ি, এটা তেমনই একটি কাহিনি। টিভির পর্দায় ওয়েব সিরিজ কিংবা মুভি হিসেবে দেখার আগ্রহ জাগে। -
এক বড় ভাই সেদিন কমেন্ট করছিলো - "আপনি দৈনিক কয়টা বই পড়েন"
এরপর থেকে একটা বই পড়ছি মাত্র!!
এর কারণ হয়তে পারে ভাই এর নজর লেগেছে নাহয় হতে পারে এই বই উত্তেজনাহীন ছিল :)
তন্মধ্যে আমার কাছে দুই নং অপশন টাই গ্রহনযোগ্য মনে হচ্ছে কারণ লিখাটা কেমন যেন স্লো এগিয়েছে,শেষে এসে টুইস্ট থাকলেও কেন যেন কেমন কেমন লাগতেছিলো :(
যাইহোক রেটিং দিয়ে মনোভাব প্রকাশ করে ফেলি- 6.7/10
বই ধার নিতে চাইলে নক দিয়েন ♥
উত্তরা তে আছি,
সেক্টর'10 থেকে হ্যান্ড টু হ্যান্ড নিতে পারবেন ♥ -
ভালো লাগার মতন। থ্রিলার প্রেমিদের ভালো লাগবে।
-
রমনায় মর্নিং ওয়াক করতে গিয়ে খুন হলেন পিবি আই প্রধান সাদ ইবনে হাদি। আমাদের দেশে এই খবর তেমন বিস্ময়কর বিষয় না হলেও যখন খুনি সাথে সাথে আত্মহত্যা করলো তখন সবাই একটু নড়েচড়ে বসলো। কেস সলভের দায়িত্ব পড়লো হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের উপর। কিন্তু তারা অনেক চেষ্টা করেও খুনির সাথে সাদ সাহেবের সম্পর্ক বের করতে পারলো না। কেন ফেরেশতার মত একজন মানুষ সৎ, নিষ্ঠাবান একজন মানুষকে খুন করে নিজেও আত্মহুতি দিবে? অন্যদিকে পিবি আই এই কেস নেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। শুরু হয়ে গেলো দুই সংস্থার ইঁদুর বেড়াল খেলা!
একটি খুন যার নেপথ্যে রয়েছে আরও কয়েকটি খুন, দুটো সংস্থা আর সাথে আছে আসিফ,আহিরের ভালোবাসা! পারফেক্ট কম্বো!
পাঠ প্রতিক্রিয়া : যেরকম পারফেক্ট কম্বো হওয়ার কথা তেমন হতে হতেও হয়নি কেন যেন।
বইটার কাহিনী কিছুটা সাধারণ ধাঁচের মার্ডার মিস্ট্রির মত। তবে রহস্যের জট ছাড়ানোর বর্ণনা বেশ ইন্টারেস্টিং ছিলো। উপন্যাসের গতি শুরুর দিকে ভালো থাকলেও মাঝে মাঝে কেন যেনো অনেক স্লো হয়ে যাচ্ছিলো। এর জন্য একটু বোরিং লাগছিলো। পুরো বইয়ে এই একটা ব্যাপারই ভালো লাগেনি।
টুইস্টের পরিমাণ ভালোই ছিলো। তবে শেষ টুইস্টটা একটু আগেই টের পেয়ে গিয়েছিলাম বলে ততটা অবাক হইনি।
এছাড়া হুটহাট মির্জা গালিবের কবিতা, আসিফ আহিরের হঠাৎ করে চলে আসা বিষন্নতা, আসিফ আর জুনায়েদের বন্ধুত্ব এগুলো সবই বইয়ে অন্যরকম ভালো লাগা যুক্ত করেছে। নবীন লেখক হিসেবে নজরুল ইসলামকে সফল বলা যায়!
#reading -
আপনাকে বোরিং করে দেওয়ার জন্য বইটি যথেষ্ট। আমি অনেক চেষ্টা করেও ১২০ পেজের বেশি যেতে পারলাম না 🙂
-
বেশ গতিময় লেগেছে। বলতে গেলে খুব দ্রুতই শেষ করলাম বইটা। কাহিনি খুব জমে উঠেছিল তবে আরেকটু থ্রিল থাকলে আরও জমে উঠতো। বলতে বেশ উপভোগ্য বইটি।