Title | : | ক্যান্সারের সাথে বসবাস |
Author | : | |
Rating | : | |
ISBN | : | - |
Language | : | Bengali |
Format Type | : | Hardcover |
Number of Pages | : | 74 |
Publication | : | First published January 1, 1991 |
ক্যান্সারের সাথে বসবাস Reviews
-
কিছু কিছু বই যেন বুকে পাথর বেধে পড়তে হয়, শহীদজননী জাহানারা ইমামের ❝ক্যান্সারের সাথে বসবাস❞ - বইটি ঠিক এরকমই।অনেকদিন ধরেই খুজছিলাম বইটি, হঠাৎ চোখে পড়ল - বইটি লেখিকার ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ নিয়ে। ক্রমাগত ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া, অত্যন্ত কঠিন ও দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা, প্রিয়জনদের ভালোবাসা -এসব বিষয় ফুটে উঠেছে এই বইটিতে।
বাইরে থেকে শক্ত একজন মানুষের মনের ভেতর কি চলছে তা কি আর বাইরের মানুষ বুঝতে পারে?- শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ, বার বার অপারেশন, নিজের মুখশ্রীর বিকৃতি- বার বার ভেঙ্গে পড়া, মৃত্যু নিয়ে চিন্তা - মৃদু হাস্যরস নিজেকে নিয়ে- এ নিয়েই বইটি। নিজের জীবনের প্রায় সবকিছু যিনি হারিয়েছেন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে, ক্যান্সার কি তাকে হারাতে পারে কখনো?
সবচেয়ে অবাক লেগেছে, 'একাত্তরের দিনগুলি' প্রকাশের স্মৃতি নিয়ে। ঠিক কতটা আবেগ নিয়ে, ক্রমবর্ধমান ক্যান্সারকে তোয়াক্কা না করে, দিনরাত এক করে নিজের আরেক সন্তানকে প্রকাশ করেছেন - তা সাদা কালো অক্ষরে হয়ত বলা সম্ভব নয়।
এতদিন ভাবতাম জাহানারা ইমামের "একাত্তরের দিনগুলি" শুধু মাস্টরিড বই, এখন মনে হচ্ছে অন্যগুলো একটু ঘেটে দেখতেও মন্দ লাগবে না। -
জাহানারা ইমাম শুধু জননীই নন, একজন যোদ্ধাও বটে। তিনি ক্যান্সারকে দেখেছেন তার দ্বিতীয় যুদ্ধ হিসেবে এবং সে যুদ্ধকে তিনি বেশ প্রত্যয়ের সাথে মোকাবেলা করেছেন। একজন রোগী রোগটিকে কীভাবে দেখেন, তার মনোজগতে কী খেলা করে তার যেন চিত্ররূপ আমি দেখতে পেলাম এ বইয়ে।
' একাত্তরের দিনগুলি' থেকে আমরা একটি দেশের জন্ম কথা পাই, আর এ বইয়ের মাঝামাঝি আছে একাত্তরের দিনগুলি'র জন্মকথা। ক্যান্সারের সাথে বাস করতে করতেই তিনি অসামান্য পরিশ্রম করে একাত্তরের দিনগুলি'র পান্ডুলিপি তৈরি করেছেন, সন্ধানী অফিসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে পেস্টিংয়ের কাজ তদারক করেছেন। কতটা আত্মপ্রত্যয়ী হলে এটা সম্ভব!
বইটা পড়ে আমিও অনুপ্রাণিত হই, শক্তি খুজে পাই, কিছু করার তাগিদ অনুভব করি। জননীর জন্য রইল ভক্তিভরা শ্রদ্ধা আর ভালবাসা। -
আম্মা
কি অসম সাহস আর অসাধারন জীবনীশক্তির মূর্তিমান প্রতিচ্ছবি ছিলেন একাত্তরের দিনগুলি পড়লেই টের পেতাম।
যতদিন বাংলাদেশ থাকবে উদয়ের পথে; নিঃশেষে প্রাণ করিয়াছে অকুণ্ঠে দান মন্ত্রে দীক্ষিত আপনার আত্মজ অকুতোভয় রুমীর অক্ষয় আখ্যানের সাথে এক কর্কট জয়ী জননীর গল্প ও থাকবে পাঠকমনে নিশ্চিন্তে।
রেটিং: ✨🌟⭐💫.৬৫
৫/৬/২৪ -
ক্যান্সার! রোগটার নাম শুনলেই এই আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্রের যুগেও বুকটা এক অজানা আশঙ্কায় কেঁপে ওঠে। উঠবেই না বা কেন, এর প্রতিষেধক যে আজ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে পারেননি। তাইতো সচরাচর রোগী তো বটেই অন্যরাও মেনে নিই, রোগীকে ধুঁকে ধুঁকে মরতে হবে। কিন্তু না, সবাই এইভাবে ভাবে না, ভাবতে পারে না। কেউ কেউ আছে যারা ক্যান্সারকেও আর দশটা চ্যালেঞ্জের মত নেয়, আর শুরু করে প্রাণপণ যুদ্ধ।
এমনই একজন মানুষ হলেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম। একাত্তরে যেমন চোখের সামনে মৃত্যুকে নাচতে দেখেছেন, সেই মৃত্যুই ভিন্নরূপে তাঁর সামনে হাজির হয়। কিন্তু একাত্তরে তো তিনি হারেননি, দাঁতে দাঁত চেপে সংগ্রাম করেছেন, সেই ধারাবাহিকতায় আবারও এক ভিন্নধরনের যুদ্ধে নামেন তিনি যে যুদ্ধ কেবল তাঁরই।
সামান্য দাঁতের ব্যাথা থেকে শুরু হয় তাঁর ক্যান্সার। এদেশের ডাক্তারদের সিদ্ধান্তে দোদুল্যমান হলে, পাড়ি জমান ছেলের শহরে, আমেরিকায়। কিন্তু তারাও তাঁকে ভিন্ন কথা শোনানে পারেননি, পারবেনই বা কেমন করে, ক্যান্সার যে ততদিনে বেশ জাকিয়ে বসেছে। শুরুতে চড়া মূল্যের আমেরিকান চিকিৎসা নিতে দ্বিধাগ্রস্ত থাকলেও ছেলে, বউ, ভাই, ভাবীদের চাপে শেষ পর্যন্ত শুরু করলেন চিকিৎসা। কিছুটা উপশমও হলো কিন্তু এত সহজে হাল ছাড়ল না ক্যান্সার বাবাজি! আবার ফিরে এলো। এবার আর সহজে তাকে তাড়ানো যাচ্ছিল না, তাইতো শুরু হলো কেমোথেরাপি, অপারেশন। জলের মতো টাকা খরচ হতে থাকল, চুল পড়ে গেল, চেহারা হয়ে পড়ল বিভৎস।
না, তবুও তিনি হাল ছাড়েননি। আত্মীয় পরিজনদের সাহায্য আর নিজের মনোবলে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। লিখেছেন তাঁর অমর গ্রন্থ 'একাত্তরের দিনগুলি', আত্মজীবনী 'অন্যজীবন'। শেষদিকে যখন আরো জটিল হতে লাগল রোগ, তখনও তিনি আশাবাদী নতুন শতাব্দী দেখতে! (বইপ্রকাশ ১৯৯১)
এ এক হার-না-মানা সাহসীর গল্প। আর কি অসাধারণভাবেই না তিনি লিখেছেন! মৃত্যুকে একদম নির্মোহভাবে দেখেছেন, যুদ্ধটা করেছেন নির্লিপ্ত ও প্রচ্ছন্ন কৌতুকের দৃষ্টিতে। আর তিনিও চান, সবাই তাঁর মতো যুদ্ধ ঘোষণা করুক প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে। তাইতো তিনি বইটা উৎসর্গ করেছেন তাঁর মতো বেদনার্ত, ক্ষত-বিক্ষত ভুক্তভোগীদের উদ্দেশ্যে।
চলুন, সঙ্গী হওয়া যাক এক হার-না-মানা লড়াকুর! -
* একটা মানুষ ক্যান্সারের মুখোমুখি হয়ে কীভাবে লড়াই করে যায়, তার সাহসিকতার বর্ণনা।
* ' একাত্তরের দিনগুলি ' বইটার জন্মসূত্র আছে বইটাতে। ক্যান্সারের ভিতর থেকেও কীভাবে উনি এই বইটা নিয়ে কাজ করেছেন , তার দারুণ বর্ণনা আছে বইটাতে...
* বাংলাদেশী আর আমেরিকান ডাক্তার আর হাসপাতালগুলো মধ্য মৌলিক পার্থক্য উঠে এসেছে বইটাতে ... পড়ে অনেকেই অনেক কিছু নতুন করে জানবে আশা করি, আজ?ও এমন অবস্থাই আছে সবখানে। -
'ক্যান্সারের সাথে বসবাস' এক সাহসী, আত্মনির্ভরশীল নারীর বেঁচে থাকার গল্প। এক লেখিকার গল্প। এক মা'র গল্প। যিনি অসীম সাহস ও আত্মশক্তির বলে ক্যান্সারের মত মরণব্যাধিকেও বশ মানিয়েছিলেন। মরণব্যাধি ক্যান্সার সেল শরীরে নিয়েও লিখেছিলেন অনবদ্য বই 'একাত্তরের দিনগুলি' যা প্রতিটি বিশুদ্ধ বাঙালির জন্য অবশ্যপাঠ্য একটি বই এ পরিণত হয়ে গেছে। যে বইটি মুক্তিযুদ্ধের বিশুদ্ধ ইতিহাসের দলিল।
এই অসম্ভব প্রাণশক্তিপূর্ণ মানুষটি কীভাবে কাটিয়েছিল এই মরণব্যাধির সাথে লড়াই করে সেটার লৈখিক দলিল এই বইটি। দুই দুইবার অস্ত্রপাচারের পরও হেরে জাননি তিনি। নিজের ক্ষতবিক্ষত অবয়বকে প্রথম প্রথম স্বীকার করে নিতে একটু বাধলেও পরবর্তীতে নিজের এই পরিণতিকে মেনে নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন। এই জননী সাহসীকার কথা কে না জানে?
একাত্তরে স্বামী ও এক পুত্রকে হারিয়েও দমে যাননি। লড়ে গিয়েছেন সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে। সেই কষ্ট প্রশমিত হতে না হতেই বাসা বাঁধে ক্যান্সার���র মত মরণব্যাধি। সেই মরণব্যাধির ঘায়েলে একটু নড়ে গেলেও শেষপর্যন্ত হারিয়ে দিয়েছিলেন এই মরণব্যাধিকে। সেই দ্বিতীয় জীবন প্রাপ্তির আখ্যান বর্ণিত হয়েছে এই বইয়ে।
এই মা কে অকৃত্রিম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা। -
It portrays the enormous sufferings that she went through physically and mentally.She was a brave soul to fight cancer like this.As I lost my loved ones to cancer,reading this takes me back to those traumatic memories.I wish nobody had to experience this horrible disease.
-
অদ্ভুত জীবনীশক্তিতে ভরা এই বইটি !
যুদ্ধে ছেলে-স্বামী-সুখ-ভবিষ্যৎ সব হারিয়ে একদম নিঃস্ব হয়ে জীবনের দ্বারপ্রান্তে এসে দাড়িয়েছেন জাহানারা ইমাম !
প্রচলিত অর্থে তার জীবনে এখন কিছুই নেই ! আসলেই কী তাই ?
এতসব শূন্যতা রিক্ততার মাঝেও তিনি আয়নার সামনে দাড়িয়ে তার হারিয়ে যাওয়া রূপের জন্য দুঃখ বোধ করেন !
কলেজে থাকতে কী রূপবতীই না ছিলেন ! তা নিয়ে তার মনে একটু অদ্ভুত অহমও ছিলো ! আর এখন ক্যান্সার তার সেই অহমিকাও কেড়ে নিয়েছে ..
তিনি দেশকে-স্বামীকে-সন্তানকে সবটুকু দিয়ে ভালোবেসেছিলেন , এতটুকুও খাদ ছিলো না কোথাও ! তিনি পাশাপাশি নিজেকেও ভালোবাসেছিলেন !
আমরা কত অল্পেই না ভেঙে পড়ি ! কিন্তু তিনি এত সব দুর্যোগ দুর্দশার পরেও ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছিলেন এবং ক্যান্সারকে মাথা নোয়াতে বাধ্য করেছিলেন তার পাঁয়ে .. -
এই বই পড়তে গিয়ে বারবার অভিমান হচ্ছিলো। এত মানসিক যন্ত্রণার পরেও এই ভাল মানুষটাকে আল্লাহ এত শারীরিক যন্ত্রণাও কেন দিতে গেল.. আল্লাহ ভাল মানুষদেরই পরীক্ষা নেন বেশি, তাই হয়তো...
একাত্তরের দিনগুলো থেকে ক্যান্সারের সাথে বসবাস..জাহানারা ইমামের দৃঢ়তা, সাহসিকতা, অকুতোভয় মনোভাব সবকিছু মিলিয়ে কি ভীষণ ব্যক্তিত্বময় একটা মানুষ আর কি বৈচিত্র্যময় তাঁর জীবন...বইটা পড়ে তাঁর সাথে হওয়া আত্মিক পরিচয় যেন পূর্ণতা পেয়েছিলো... -
She is my first love's parent. So, this is the way she died? It hurts.
-
পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা উল্টানো আর হৃদয়-সঞ্চারিত ক্রমাগত গভীরতম প্রার্থনা _" সবাই ভালো থাকুক, স্রষ্টা। কারো কষ্ট না হোক। সবাই সুস্থ থাকুক। মানসিকভাবেও_"
ভয়াবহ অসুস্থতায় বেঁচে থেকে___ গত হওয়া পরিচিত মুখচ্ছবিগুলো চোখের আয়নায় ভাসছিল।
নিজের 'স্কুল-আমলের দিনগুলি' যাপনকালে জাহানারা ইমামের 'একাত্তরের দিনগুলি' - তে ঘুরতে যাই। দূর থেকে দেখে ফিরে আসি। এতদিন পর জানতে পারি, বইটি লেখা, ছাপানো ও প্রশংসা প্রাপ্তির পর্যায়ে অসুস্থতার কারণে কি অসামান্য ক্রুর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তিনি!
বিধির বিধান অকাট্য। -
Heart-warming
-
জীবনের প্রতিটি মূহুর্ত বড়ই মূল্যবান।মানুষের একটা বয়স পর্যন্ত তার চাহিদা পরিবারে অনেক বেড়ে যায়।একটা সময় আসে যখন একাকিত্বই হয় সঙ্গী।