Title | : | Bangladesh: A Legacy of Blood |
Author | : | |
Rating | : | |
ISBN | : | 034039420X |
ISBN-10 | : | 9780340394205 |
Language | : | English |
Format Type | : | Paperback |
Number of Pages | : | 192 |
Publication | : | First published January 1, 1986 |
The book is written in an engaging style, and treats the coups/assassinations and their plotters in great detail. A section of black-and-white photographs depict the slain Sheikh Mujibur Rahman, the slain General Ziaur Rahman, plotters behind various coups, politicians and some photocopies of documents and an official gazette related to the many coups this South Asian country has suffered.
In its jacket, the book promises that it has "revealed" issues like who killed Mujib (the first prime minister of Bangladesh), who was responsible for the jail killings in Bangladesh, and how General Zia was assassinated. Written in 13 chapters and an index, the book also contains a list of officers convicted by General Court Martial and hanged for the assassination of President Ziaur Rahman.
In a November 1985 preface to the book, Mascarenhas writes: "This is a true story; in many ways a text book of Third World disenchantment. On the 16th of December, 1971, the state of Bangladesh (population 70,000,000) was born at the end of a nine-month liberation struggle in which more than a million Bengalis of the erstwhile East Pakistan died at the hands of the Pakistan army. But one of the 20th century's great man-made disasters is also among the greatest of its human triumphs in terms of a people's will for self-determination."
Mascarenhas describes his own book thus: "This book is the unvarnished story of their (the early leaders of Bangladesh) times, essentially the sad history of the first 10 years of Bangladesh. It is based on my close personal knowledge of the main protagonists; on more than 120 separate interviews with the men and women involved in the dramatic events; and on official archives and documents which I had the privilege to inspect personally. The dialogue, whenever used, is a faithful reproduction of the words which my informants said they actually used during the events in which they were involved."
David Taylor, a South Asia expert, praises the book's "attention to detail and narrative" although he suggests that it is short on interpretation and treats certain episodes of lesser importance in "excessive length".
Mascarenhas is a veteran journalist, associated with Bangladesh from the start of its freedom struggle. In 1971, he left Pakistan to expose in The Sunday Times the atrocities committed by the Pakistan Army in the region now known as Bangladesh. He continued as a reporter for The Sunday Times for 14 years and subsequently as a freelancer. He was born in Goa, educated in Karachi and worked for many years as a journalist in India, Pakistan and the UK. He died in 1986 at the age of 58.[2]
This book was published in 1986 by Hodder and Stoughton, with a coverprice of UKP 4.95 net in the UK. There may be an earlier printing in 1985. It is devoted "to Yvonne and our children -- who have also paid the price". A Bengali language translation of the book was released in the late 1990s in Bangladesh, with the title Bangladesh: Rokter Rin (বাংলাদেশঃ রক্তের ঋণ)
Bangladesh: A Legacy of Blood Reviews
-
১. শিবিরের পাঠ্যসূচীতে আছে বইটা (ফুল স্টপ)
২. বইটা পড়তে পড়তে আমার মনে হচ্ছিল এটা কি উপন্যাস না non-fiction? লেখার স্টাইলটাই উপন্যাসের মত। তবে ডোকুমেন্ট আর ছবি দেখে মানলাম যে এটা উপন্যাস না।
৩. ফারুক গংদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে লেখক বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের জাস্টিফাই করেছেন বলে মনে হল। শেখ খুব খারাপ, তাঁকে না মেরে কোন উপায় ছিলনা। ;)
প্রথম অভ্যুত্থান অংশে যেটা আছে সেটার একটা অংশ উল্লেখ না করলে নয়। বঙ্গবন্ধু নাকি পাকিস্তানের সাথে সুসম্পর্ক রাখার মৌখিক ইচ্ছা পোষন করে এসেছিলেন। '৭২ এর জানুয়ারিতেই লেখককে একথা উনি বলেছিলেন।
মিথ্যা কথা।
৪.
এম. এ. হামিদের সাথে সাক্ষাৎকারে ফারুক বলেছিল, দেখুন আমরা কিন্তু সবাইকে একই কথা বলেছিলাম। অ্যান্থনি একটা মিথ্যাবাদী। আন্ধা হাফিজ-টাফিজ কত গল্প ফেঁদেছে।
[অ্যান্থনি সম্ভবত সবারই সাক্ষাৎকারই রেকর্ড করেছিল। :/ ]
৫.
এক জেনারেলের নীরব সাক্ষ্য বইয়ে বেশ কিছু তথ্য আছে লেখক সম্পর্কে।
অ্যান্থনি সোনালী ব্যাংক থেকে ২০ হাজার পাউন্ড ঋণ নিয়েছিলেন কিন্তু ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তাকে এই অর্থ দেয়া হয়েছিল এবং সে বলেছিল, তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এই অর্থ দেয়া হয়েছে।
এরশাদ সরকারের মদদে এই বই লেখা হয়েছে। এখানে থাকা মঞ্জুর এবং শওকতের মধ্যে যে ষড়যন্ত্রের আভাস দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ ���িথ্যা। এবং এসব ভুলে ভরা তথ্য অ্যান্থনিকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সরবরাহ করে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীরা।
৬. এরশাদ ১৫ অগাস্টের পর দেশে চলে এসেছিল। জিয়া তার এ কাজের তিরস্কার করেছিল এবং বঙ্গভবনে যেতে নিষেধ করেছিল। কিন্তু এরশাদ বঙ্গভবনে ফারুক-রশিদদের সাথে সাক্ষাৎ করে এসেছিল। আশ্চর্যজনকভাবে এই তথ্যটা বইয়ে নেই।
৭. লেখকের দাবী মঞ্জুর মেধাবী অফিসারদের তার অধীনে আনেন। কিন্তু এক জেনারেলের নীরব সাক্ষ্য বই অনুসারে এরশাদই তাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে বদলী করে দিয়েছিল। মঈনুল হোসেনের মতে মঞ্জুর মোটেই জিয়া হত্যায় জড়িত ছিলেন না। এরশাদই এক ঢিলে দুই পাখি মেরেছিল। :/
৮. লেখকের মতে
শাফায়েত জামিল আর খালেদ মোশাররফ জানতেন চার নেতার হত্যাকান্ডের ব্যাপারে। তখনও কিন্তু ফারুক গং দেশে। তারমানে তার বক্তব্য হচ্ছে খালেদ মোশাররফ জেনেও যেতে দিয়েছিলেন। ওয়েল, আসলেই কি? মনে তো হয়না।
..
..
.. -
বহুল বিতর্কিত এক গ্রন্থ। অনেক আশা নিয়ে বইটা শুরু করেছিলাম। আশা পুরোপুরি না মেটাতে পারলেও অনেক কিছু জানতে পেরেছি। মুজিব কে উপস্থাপনের কৌশল অত্যন্ত বাজে লেগেছে।
-
Wow! As if I knew nothing of the history of my country! Well, though our leaders have failed to understand what needs to be done in Bangladesh, Anthony Mascarenhas- A Pakistani journalist, seems to have got it perfectly, as he ends this book stating "Machination and murder have been the curse of Bangladesh-its legacy of blood. It will not end until public accountability and the sequence of crime and punishment is firmly established".
This book is not just an enlightenment to the post-independence incidents that basically shaped Bangladesh (similarly how early age experience of children sort of shape them as human beings), the book also helped me understand the characteristic of us as a nation.
For example, I figured out our identity as a nation- resilience-yes that's us. No matter what shit the world throws at us, our leaders throw at us, the nature throws at us- we survive- with our limited resources, almost zero access to knowledge and information, and what not- with the sheer power of resilience...the spirit to live.
This book also helped me understand the traits I particularly dislike in my society. Nepotism, sycophancy, and manipulation have been the first choices of our prime leaders to run the country. If not these, it has been a hunger for absolute power while preaching (lying) the public about establishment of democracy. I finally got a theory why we are so confused and whimsical as a people- because within the first decade of our birth we were fucked by myriads of ideologies- socialism, secularism, Islamism, Democracy blah blah blah...oh and of course our army- man the writer was so right when he said sometimes they talked about making a revolution as if they were talking about a picnic! Army officers and soldiers, according to the writer, heard something from leftists and without digging deep into it they just went on into coups and mutinies-'hujuge bangali' we do the same now! I know leftist who want revolution everyday, on almost every occasion. It's almost like they don't know what it takes and what it actually means- just like those mutineers of our military.
And the book also showed how impatient we are as a nation. We gave the Father just 3 years and a half to get things right in a war-torn country. The brutal murder of him and his family members remained unpunished for 39 years! It shows how ungrateful we are as a people, and how messed up our law and order has been from the beginning. True, Sheikh Mujib was naive, he made many mistakes when he started off to run the country but did he deserve to be murdered like that? ANd did things actually get better after that? Bangladesh lost her Four Great Leaders on 3rd November that year, from 3rd November to 7th- Bangladesh practically remained government-less, there were 19 attempted coups during Zia's regime, the 20th killed him.
The first decade of Bangladesh taught us corruption- our leaders institutionalized corruption for their own hunger for absolute power. It destroyed the dream of Sonar Bangla. We forgot to live honestly and only learned to save our own backs even if it meant at the cost of another's life- the hanging of 1143 soldiers by Zia, the murders of civilians by government backed goons during Mujib's reign- these as if subconsciously taught us to be conscience-less. I see the consequences of that one decade glimmering in the face of our society, even today. -
পর্তুগিজ বংশোদ্ভূত টনি ম্যাসকারেনহার্স তথা আ্যন্টনি ম্যাসকারেনহার্স পাকিস্তানে সাংবাদিকতা করতেন। সেনাবাহিনী ও রাজনীতিবিদ দু'পক্ষের সাথেই যথেষ্ট দহরম-মহরম ছিল ম্যাসকারেনহার্সের। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান বাহিনীর আস্থাভাজন হয়ে তাদের সাথে বেশকিছু অভিযানে ( পড়ুন হত্যাযজ্ঞে) সঙ্গী হয় টনি। প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে 'দ্য রেপ অফ বাংলাদেশ' নামে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করে লন্ডনের সানডে টাইমসের জন্য। তবে বুদ্ধিমান ম্যাসকারেনহার্স পত্রিকার কর্তৃপক্ষকে শর্ত দেয় যে, এই সংবাদটি প্রকাশিত হলে সে পাকিস্তানে বসবাস করতে পারবে না। তাই তাকে লন্ডনে পুনর্বাসিত করতে হবে চাকরিসমেত। সানডে টাইমস কর্তৃপক্ষ প্রস্তাবে রাজি হয়ে টনি ম্যাসকারেনহার্সকে লন্ডনে সপরিবারে নিয়ে যান। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের রাজনীতি নিয়ে টনি বরাবরই উৎসাহী বান্দা। জিয়ার মৃত্যুর পর সে 'Bangladesh : A Legacy Of Blood' নামে গ্রন্থটি রচনা করে।
ভালো লেখকদের কল্পনাশক্তি বেশ প্রবল হয়ে থাকে। তারা তথ্যের ঘাটতি পাঠককে বুঝতে না দিয়ে কল্পনার প্রয়োগ করে শূন্যস্থান পূরণ করে দেন৷ তাতে অনেকসময় বাস্তবের চাইতে বেশি বাস্তবতাসম্পন্ন হয়ে ওঠে তাদের লেখা এবং পাঠক এক নিঃশ্বাসে তা পড়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেন।
টনি ম্যাসকারেনহার্সের মধ্যে বড়ো কথাশিল্পীদের উল্লিখিত গুণটি ছিল। বঙ্গবন্ধুর শাসনকালসহ খুনিদের হত্যাকাণ্ডের এত স্পষ্ট ও পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী ব্যতীত কারো পক্ষে দেওয়া দুঃসাধ্য। টনি সাহেব লন্ডনে অবস্থান করে এবং খুনিদের সাক্ষাৎকার নিয়ে এমন সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন যা পড়ে যে-কোনো বড়ো লেখক লজ্জা পাবেন৷ এমনকি খুনিদের প্রদত্ত তথ্য তিনি ক্রসচেক করেননি এবং ফারুক ও রশিদ সাক্ষাৎকারে তাকে অনেক তথ্যই দেননি যা তিনি তাদের নামে চালিয়েছেন বলে এরা দাবি করেছে। অনেক তথ্য ও ঘটনা 'ওমুকের মুখে শুনেছেন, তমুকের মুখে শুনেছেন' ইত্যাদি দিয়ে চালিয়েছেন৷ ভালো সাংবাদিক প্রাপ্ত তথ্যকে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। কিন্তু আ্যন্টনি ম্যাসকারেনহার্স সেই হ্যাপা পোহাতে গেছেন বলে মনে হয় না। বইটি রাজনৈতিক ইতিহাসের প্রামাণ্য পুস্তকের চাইতে থ্রিলারের কেতাব বেশি মনে হয়েছে। প্রথমবার পড়ে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে অন্যান্য লেখকদের বয়ান এবং বইটি কমপক্ষে তিনবার পড়ার পর সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
আ্যন্টনি সাহেবের বইটির একটি নিকৃষ্টতম বাংলা অনুবাদ রয়েছে। এমন বদখত ভাষান্তর ভূ-ভারতে আর কোথাও আছে কিনা আল্লাহ মালুম! সম্ভব হলে মূল বইটি পড়ার অনুরোধ করব। ম্যাসকারেনহার্সের গদ্য ঝরঝরে এবং সুপাঠ্য।
এই বইটির বেশ কিছু তথ্যের প্রত্যুত্তর দিয়ে এম আর আখতার মুকুল 'মুজিবের রক্ত লাল' লিখেছেন। কথায় কথায় ম্যাসকারেনহার্সের 'কথাসাহিত্যের' রেফারেন্স না টেনে এই বইটি পড়ে দেখতে পারেন। -
"Nobody understands what I do for my country", an apparently original quote by the guy who was called "The ONE friend of Bangladesh", the undisputed leader of the Bangladeshis after the country became independent in 1971, Sheikh Mujibur Rahman, sort of sums up the mood of the whole book. True or not, the events that are delineated in a Kafkaesque detail by Mr Mascarenhas paints a graphic and sordid tale about a country that could've been the mantelpiece of democracy, independence, economic and political sovereignty, and yet was betrayed, abused and heartbroken by the many 'well sung' heroes of it's war of independence. It's an unmistakable tale of murder, extrajudicial killings, palace conspiracies and Coup d'états by political leaders, war heroes, brothers in arms wrapped in a beautiful style of storytelling that reminds you of old spy noir novels from the cold war era (and indeed, I think it can be considered one at the height of the struggle of supremacy between communism and capitalism). "A legacy of blood"-unmasks how in an Orwellian, "Animal Farm"-ish way, the Bangladeshis became dismayed after their corrupt and torturous Pakistani overlords were gone to govern the lands, how power corrupted everyone, including the father of the nation, Sheikh Mujib himself, as he perished at the hands of those he trusted most having become a despot who had failed his people and had invested in the wrong clique of advisers. This book is a *must read for any Bangladeshi who wants to know what really went wrong with the country, for members of the armed forces to understand what to do and what not to in order to uphold the sovereignty of their country, for citizens of the civilian populace to understand whom and what to confide in and what not to. Thank my ex-para commando friend, for the recommendation :)
PS: Get a copy from Nilkhet for around 180 BDT, and spread around...this book needs to be read! -
ঠিক কি ক্ষোভের কারণে বঙ্গবন্ধু পরিবারসমেত এমন নৃশংসভাবে খুন হলেন তা নিয়ে আগে ভাসা ভাসা ধারণা থাকলেও এ বইটা কিছুটা হলেও মূল ধারণা দিলো। যদিও কোন ক্ষোভই একটা নেতার এভাবে পরিবারসমেত মৃত্যুকে জাস্টিফাই করে না। আর তাছাড়া বইটা নিঃসন্দেহে বায়াসড। কারণ এখানে এমন কিছু জিনিস উঠে এসেছে যেগুলো আসলে ঘটনাস্থলে না থাকলে এমন পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দেয়া রীতিমতো অসম্ভব। যেমন : সরকার তথা বঙ্গবন্ধু কর্তৃক সর্বহারা পার্টির কিংবদন্তী সিরাজ শিকদারের অত্যাচার ও মৃত্যুর বর্ণনা। এখানে সিরাজ শিকদারের কৃতকর্ম এড়িয়ে যেভাবে তার মৃত্যুকে বর্ণনা করা হয়েছে তাতে করে বঙ্গবন্ধুকে স্রেফ একজন ভিলেন বানানো হয়েছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে অ্যান্টনি ম্যাসকারেণহাস সাহেব ঐ অত্যাচারের রাতে যারা ওখানে ছিলো বলে উল্লেখ করেছেন তাদের কারোর ইন্টারভিউ নেননি (যদ্দুর জানলাম আর কি)। তাহলে সিরাজ হত্যার এমন পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা তিনি কিভাবে দিলেন? নিশ্চয়ই থার্ড কোন পার্সনের কাছ থেকে শুনে। থার্ড পার্সনের কাছ থেকে তথ্য নেয়া কোন দোষের কিছু না, কিন্তু ইতিহাসের বই লিখতে বসে থার্ড পার্সনের কোন তথ্যকে কারো সাথে ক্রসচেক না করে, জাস্টিফাই না করে বইতে তুলে দেয়াটাকে দোষের মনে হয়েছে। ওদিকে তিনি মেজর সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশীদ ও তাদের কাজসমূহকে যেভাবে গ্লোরিফাই করেছেন তা রীতিমতো চোখে পড়ার মত। এ সব মিলিয়ে তার এই বইটিকে যতটা না আমার ইতিহাস মনে হয়েছে তার চেয়ে বেশী হয়েছে একজন সাহিত্যিকের কর্ম। তবে এ বইটি আমাকে এ সংক্রান্ত আরো কিছু বই পড়ার উৎসাহ দিয়েছে। মূলত সে কারণেই ২ তারা দিলাম, নাহয় দিতাম ১।
যাই হোক, আরো যখন বড় হবো, আরো যখন জানতে পারবো, তখন যদি ধারণা পরিবর্তন করি তবে এখানে এসে বইটার রেটিং বাড়িয়ে দিয়ে যাবো। -
কিছুদিন আগে কুয়োরাতে বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে নিরপেক্ষ তিন বইয়ের তালিকাতে বইটার নাম দেখেছিলাম।
বইটা হাতে পাওয়ার পর আরেকজন জানালো বইটাতে অনেক বিতর্কিত তথ্য দেওয়া আছে যা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা উপযুক্ত রেফরেন্স হিসেবে ব্যবহার করছে / ব্যবহারের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে ।
এখন , বইটা পড়ার সময় খুব বেশী চেষ্টা করেছি দুই বিপরীত মন্তব্য থেকে মস্তিষ্কের বিশ্লেষণী অংশকে দূরে রাখতে । পুরোপুরি সম্ভব নয় । কারন মস্তিষ্ক মাত্রই কিছু বায়াস কাজ করবে । পুরোপুরি নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গী স্বর্গের পূর্ণ সুখ- শান্তির ধারনার মতই অবাস্তব ।
যাই হোক , প্রথমে ধাক্কা খাইলাম , ‘যাত্রার ভুল’ শিরোনামে এসে ।
বঙ্গবন্ধু নাকি ভুট্টোর সাথে পাকিস্তান এবং সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশের মধ্যে একটি যোগসূত্র রাখার গোপন আলোচনা করে আসছিলেন ।
সেই বাংলাদেশ জন্মের সূচনালগ্ন থেকে জামাত পাকিপন্থীরা কি এই একই দাবি করে বঙ্গবন্ধুকে লঘু করার চেষ্টায় দল্ভারী করার চাল চেলে আসতেছিল না ?
ইতিহাস গবেষণা করে পুরো নিরপেক্ষ ধারনা না পেলে ও ইতিহাস রচয়িতার লেখা গভীরভাবে মনো বিশ্লেষণ করলে লেখকের দৃষ্টিভঙ্গীর উপর নূন্যতম ধারনা পাওয়া খুব বেশী কঠিন কাজ নয় ।
বঙ্গবন্ধুর মত একজন অসম্ভব শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের নেতার গায়ে পাকিলিংকের লেবাস পড়িয়ে দেওয়াটা তাই আমার কাছে দৃষ্টিকটু লেগেছে ।
এরপর , উনি ফারুক আর রশীদকে দেশের ভ��িষ্যত নিয়ে চিন্তিত খুব সম্ভাবনাময় তরুণ হিসেবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন । সত্যি, ? ... ... ।
তাছাড়া, ক্ষমতা ব্যবহারের হিসেব বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধু এবং জিয়াকে এক কাতারে দেখানোর অস্পষ্ট চেষ্টা ও করেছেন লেখক ।
আবার , ব্যক্তি জিয়ার সততা বর্ণনা করতে গিয়ে সব কিছুতে মৌন সম্মতি দেওয়া এবং দলের পিছনে থেকে বিপদে পালিয়ে যাবার রাস্তা ঠিক করার মত কপট, ধূর্ত , বিশ্বাসঘাতক জিয়াকে উনি তো প্রায় সাধু হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেই ফেলেছিলেন ।
সবশেষে এসে উনি দেখালেন সব দোষ ছিল মঞ্জুরের আর এরশাদ কি রকম শক্ত হাতে বীর দর্পে অপরাধীদের বিচার করেছিলেন । সত্যি, ? ... ;)
উপরের পয়েন্টগুলো কারো চোখে না পড়লে ও আশা করি শেষে এসে এরশাদকে উপযুক্ত বিচারক হিসেবে প্রকাশের ব্যাপারটা কারো দৃষ্টি এড়িয়ে যাবে না ।
যাই হোক ,তথ্য লিপিবদ্ধ করার পদ্ধতি মনো বিশ্লেষণ করে
তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা বইটাকে অন্যান্য বইয়ের তুলনায় অনেক মজবুত মনে হয়েছে ।
কিন্তু , অ্যান্থনির - বঙ্গবন্ধু ও জিয়াকে একই স্কেইলে নিয়ে ফারুক ,রশিদ, এরশাদের কর্মকান্ডকে ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে জাস্টিফাই করার চেষ্টাকে প্রশংসা করতে পারলাম না এবং এজন্য আমি একদম দুঃখিত না ! -
ইতিহাস হচ্ছে বিজয়ীর হাতে লেখা বিজিতের নামে একরাশ কুৎসা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অক্ষশক্তি বিজয়ী হলে এডলফ হিটলার হতেন পৃথিবীর শুদ্ধতম মানুষ।কারণ ইতিহাস লিখতেন তিনি।
এই বইটিতে ফারুক গং দের এমন ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যেন তারা বাংলার সূর্যসন্তান।খন্দকার মোশতাক ভাগ্যাহত রাজনীতিবিদ। জিয়া বাংলার ভাগ্যবিধাতা, জিয়া একটি নাম একটি কিংবদন্তি। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন ব্যর্থ, পরাজিত রাজনীতিবিদ।
বাংলাদেশের জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতা, বঙ্গবন্ধুর পরিবার পরিজনকে হত্যাকারীদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে মিথ্যা, বানোয়াট, সত্য গোপন ও কিছু ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে এন্থনী মাসকারেণহাস কি কারণে এমন একটি ইতিহাস রচনা করলেন এটা ভেবে যখন আমার দিশেহারা অবস্থা তখন আবিষ্কার করলাম - ভদ্রলোক সাদা চামড়ার খৃষ্টান হলেও আদতে উনার বেড়ে উঠা, কর্মসংস্থান পাকিস্তানে।উনি আপাদমস্তক একজন পাকি।
কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে বইয়ের রিভিউ।অধিকাংশ পাঠকের রিভিউ পড়ে মনে হয়েছে তারা বাংলার ইতিহাস নিয়ে এর থেকে উৎকৃষ্ট মানের বই আর পড়েনি। হতে পারে বইটি একজন বিদেশি লিখেছে এজন্য আমরা একটু বেশি উচ্ছ্বসিত হয়ে আপাদমস্তক বিশ্বাস করেছি।কিন্তু আমাদের মনে রাখা উচিৎ বিদেশিরাও হাগে, তাদের গু আমাদের গু এর মতনই দুর্গন্ধযুক্ত। -
দেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েক মাস পর থেকেই বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা কমতে থাকে। কমতে কমতে ৭৫ এ তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে৷ কিন্তু তাকে মারাই কি একমাত্র রাস্তা ছিল? এ বইয়ে তাঁর হত্যাকে মোটামুটি জাস্টিফাই ই করা হয়েছে ( স্বাধীনতা পরবর্তী ঘটনাবলীর জন্য) , তাও আবার তাঁর হত্যার মাস্টারমাইন্ড মেজর ফারুক আর মেজর রশিদের ইন্টারভিউ এর ওপর বেজ করে ( লেখক নিজেই মেজরদের ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন)।
চার নেতার জেল হত্যা নিয়ে তেমন কিছুই বলা হয় নাই৷
জিয়া সৈনিকদের মধ্যে জনপ্রিয় হলেও তাঁর শাসন রীতিতে প্রচুর ফ্ল ছিলো ( কর্নেল তাহরকে ফাঁসি দেওয়া, অভ্যুত্থান থামানোর নামে দুই মাসে ১১৪৩ জন সৈনিককে ফাঁসি দেওয়া, অবৈধভাবে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য বারবার সংবিধান পরিবর্তন)। যদিও ব্যক্তি জিয়া বেশ সৎ ছিলেন।
মোটামুটি নিরপেক্ষভাবে ভাবেই লেখা মনে হয়েছে। কিন্তু এই একটা বই দিয়েই স্বাধীনতা পরবর্তী সব ঘটনা পরিষ্কারভাবে জানা যাবে তা আশা করা বোকামি। তবে ধারণা নেওয়ার জন্য খারাপ না। -
A must read for all Bangladeshi!
If you want to know the truth & the 100% objective truth about pre & post liberation Bangladeshi history, this is THE book. I belong to a generation who had not been exposed to the underlying politics & brutality related to war and the post-war turmoil that has shaped the country. We often get a politically biased view of history; both from people & publications who are often ideologically prejudiced & lack authentic information. This is the book that sums up all the events in a chain with utmost clarity. -
We have been taught and made proud from our childhood about the liberation war that took place in our country. But for some strange reason, a brisk halt has been made in almost every textbook at the day when Bangladesh got liberated from Pakistani oppression, 16th December 1971 to be precise, and after that very day, everything else seemed to go blank. What went wrong with the country which had paid the highest price in the history of the world in exchange to its freedom, how did an incorrigible attitude of corruption stem its roots from the very beginning of its birth despite having a very well-written constitution of which any nation could be proud of, why did the assassination of the most beloved demi-godlike leader of this country have to carry out, how the voices of oppositions had always been smothered by govt. followed by consecutive coups and counter-coups have been unfolded in a matter of fact, yet ominous way by Anthony Mascarenhas. My eyes would often be blurred even before reading a sentence as the ending of this story was known already, an inevitable tragic ending that is. As the writer puts in the last lines, 'Machination and murder have been the curse of Bangladesh-its legacy of blood. It will not end until public accountability and the sequence of crime and punishment is firmly established' is still applicable to our situation, which still seems to be cursed by a legacy of blood.
-
বিখ্যাত ব্রিটিশ সাংবাদিক আ্যন্থনী ম্যাসকারেণহাস বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়কাল এবং এর পুর্ববর্তী সময়কাল নিয়ে "দ্য রেইপ অব বাংলাদেশ" লিখেন।
বেশ ভালোই ছিল সেটা। তবে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমাদের এত বই রয়েছে সেই তুলনায় রেইপ অব বাংলাদেশকে একটু পিছিয়েই রাখতে হয়।
এবার আসি "বাংলাদেশ রক্তের ঋণ" নিয়ে। এটি তিনি লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতির অস্থির সময়কালের ঘটনাগুলি নিয়ে।
মুজিব আমলের শাসনকাল, মুজিবহত্যা, মোশতাকের ক্ষমতা গ্রহণ, চার নেতা হত্যা, সেনা অভ্যুত্থান, জিয়ার ক্ষমতাগ্রহন এবং শাসনকাল এবং সবশেষে জিয়া হত্যা।
আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে এই অস্থির সময়ের রাজনীতি নিয়ে লেখা বই আসলেই অনেক কম। তাই এই বইটির ভূমিকা অনন্য। লেখক অনেক কাছ থেকে সব পর্যবেক্ষন এবং যারা যখন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন সকলের সাক্ষাতকার নিয়েছেন।
বইটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলঃ লেখক কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিয়েই লিখেন নি। সম্পুর্ণ নিরপেক্ষভাবে লেখার চেস্টা করেছেন।
বাংলাদেশের কোনো লেখকের বই হলে, রাজনৈতিকভাবে বইটির পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যেত।
যাদের এসকল বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে তাদেরকে পড়ার আমন্ত্রণ রইলো। -
আমি সাধারণত নন-ফিকশন পড়ি না। তবে বইটার প্রথম অধ্যায় পড়ে যে ধাক্কা খেয়েছি সেই ধাক্কা আমাকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছে। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের স���থেকে প্রভাবশালী দুজন ব্যক্তি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সম্পর্কে এভাবে সরাসরি সমালোচনা পাঠকদের বিস্মিত করতে বাধ্য।
এই বইয়ের বর্ণিত ঘটনাগুলো কতটা সত্যি সেটা নিয়ে যেকোন পাঠকদের সন্দীহান হওয়াটাই হবে স্বাভাবিক। কারণ লেখার মাঝে লেখকের ব্যক্তিগত আবেগের ছাপ স্পষ্ট।
তবে লেখক অ্যান্থনি মাসকারেণহাসের একটি ব্যাপার বইটিতে আমার দৃষ্টিকটু লেগেছে। জেনারেল জিয়া মৃত্যুবরণ করার পর জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখল করেন। অর্থাৎ চূড়ান্ত অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে জেনারেল এরশাদের কোন গুরুত্বপূর্ণ ভূ মিকা পালন করাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু লেখক বইটাতে অনেক চরিত্রের মানসিক বিশ্লেষণ করলেও জেনারেল এরশাদকে পাঠকদের দৃষ্টির আড়ালে রাখার চেষ্টা করেছেন। -
অ্যান্থনি মাসকারেনহাস সাহেবের বইটা খুব সম্ভবত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়কে বেইজ করে লেখা প্রথম দলিল-ভিত্তিক, তথ্য-উপাত্ত, সাক্ষাৎকার সমন্বয় করে লেখা বই। উনি মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ের ভালো একটা আউটলাইন দাঁড় করিয়েছেন এবং তথ্য-উপাত্ত বেইজ করে সামনে এগিয়েছেন। তবুও বেশ কিছু বিষয় একপেশে এবং এরশাদ সংক্রান্ত তথ্যাভাব চোখে পড়েছে।
তিনতারা দেওয়া হলেও বইটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময় নিয়ে দারুণ এনালাইসিস করেছে। পরবর্তীতে অনেকেই এই সময়কে, বইটিকে কেন্দ্র করে ফিকশন-ননফিকশন-হিস্টোরিক্যাল ফিকশন লিখেছেন। বইটি অবশ্য পঠিতব্য বলে বোধ করি। -
no comment (2) -
কত অজানাকে জানায় বই। বাংলাদেশর ১৯৭১ এর পরের ঘটনাপ্রবাহের সুন্দর উপস্থাপন এবং তুলনামূলক বিশ্লেষণধর্মী একটি বই।
রাজনীতি নিয়ে আগ্রহী ব্যক্তিবর্গরা পড়ে ফেলতে পারেন। -
This is a must read for anyone interested in the history of Bangladesh post independence.
The author is a reputed hand on the subject and has first hand knowledge being acquaintance with many a players.
This is a tale of how dreams of a new nation went sour because of the very men it considered messiah. It is a tale of bloodshed after bloodshed & coup after coup. It is a tale of how lust for power destroys everything millions have sacrificed and worked for.
Eye opening narration told in a gripping way -
বঙ্গবন্ধুকে কারা খুন করলো? কিভাবে খুন করলো? কেন খুন করলো? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আমাদের পাঠ্যবইয়ের ইতিহাসের পাতায় নেই বললেই চলে তাই অনেকের কাছেই এটি একটি রহস্য। এই নিয়ে আমাদের দেশে অনেক পলিটিক্স হয়, বানিয্যও হয় কিন্তু কয়জন মানুষ আসলেই জানেন কি হয়েছিল ৭৫’এর আগস্টে? মুক্তিযুদ্ধের পর কি এমন হলো যার কারনে নিজ দেশের সেনাবাহিনীর অফিসারদের নেতৃত্বে প্রান হারাতে হলো বঙ্গবন্ধুকে?
কারা সেই আর্মি অফিসার যারা ঠান্ডা মাথায় নকশা করে হত্যা করলেন মুজিব এবং তার পরিবারের লোকদেরকে? তাদের সাথে কি হয়েছিল যে কারনে তারা বঙ্গবন্ধুকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে চাই���েন? কিভাবে তারা প্লান করলেন সেই অভিযানের, কিভাবে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির আশেপাশের এলাকা রেকি করলেন হামলার আগে আর কিভাবে সেই প্লান এক্সিকিউট করলেন? এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে এন্থনি মাসকারেনাসের মুখ থেকে এই বইটির মাধ্যমে।
তাছাড়া বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর আওয়ামিলীগের নেতাদের ভূমিকা কি ছিল? চার নেতাকে কিভাবে হত্যা করা হলো? কিভাবে দেশের ক্ষমতা বঙ্গবন্ধুর হাত থেকে খুব অল্প সময়ের মাধ্যেমে মোশতাক, খালেদ মোশাররফ এবং অবশেষে জেনারেল জিয়ার হাতে গিয়ে পড়লো? এর কয়েক বছর পর প্রেসিডেন্ট জিয়াকেই বা কিভাবে হত্যা করা হলো? জিয়ার খুনীর কি করেছিলেন জেনারেল এরশাদ? এসব প্রশ্ন সব বাংলাদেশিদেরই জানা থাকা উতিৎ এবং আশা করি বইটি সেক্ষেত্রে সাহায্য করবে।
এরকম বইয়ের লেখকের পরিচিতি খুবই গুরত্বপূর্ন। কারন আমাদের দেশের ইতিহাসের বেশিরভাগ বইই পলিটিকালি নিজ দল ঘেষা। এই বইটি লিখেছেন এন্থনি মাসকারেনাস নামের একজন পাকিস্তানি সাংবাদিক ভদ্রলোক, যিনি ৭১ থেকেই বাংলাদেশের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি ৭১ সালে লন্ডনের সানডে টাইমসে বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতার চিত্র তুলে ধরেন। তিনি ১৯৭২ সালে গ্রানাডার গেরাল্ড বেরি পুরষ্কার পান তার ৭১রে বাংলাদেশে গনহত্যার ওপর রিপোর্টের জন্যে। লেখক কখনো কখনো বঙ্গবন্ধুর বিপক্ষে ঢালাও ভাবে বলেছেন বলে অনেকেই তার সমালোচনা করেন।
বিঃদ্রঃ লেখকের বঙ্গবন্ধুর সাথে পরিচয় ছিল এবং তার সাথে তাস খেলারও সৌভাগ্য হয়েছিল। সেই তাসের আড্ডা্য বঙ্গবন্ধুর একটি বিক্ষাত উক্তি আছে, “যখন ভদ্রলোকের সাথে খেলো তখন ভদ্রলোকের মত খেল, আর যখন বাস্টার্ডদের সাথে খেলবা নিজে আরো বড় বাস্টার্ড হয়ে খেলবা।” -
While Anthony Mascarenhas's Legacy of Blood is a standard read highlighting the atrocities committed by Pakistan's military against Bangladesh, if only Mascarenhas had lived to see today (foreign affairs and politics in the region) to provide his thought-leadership on Pakistan's continued denial and cover-up re history and the nation's downward spiral in terms of economic development and political leadership; and his nuanced and balanced understanding of Bangladesh's political outlook would have been invaluable.
-
An amazing, scintillating, terrific and thrilling historical ride. I have no words for this historical book. Not only does it constitute the bloody history of the nation after its birth and the political turbulence during the first 15 years, but also tells the reader of the diaspora and the sufferings of the general public from corrupt and inept politicians, inefficient systems and fruitless policies designed for malpractice and the attempted formation of an authoritarian regime.
-
লেখক যথেষ্ঠ চেষ্টা করছে ফারুক আর রশীদ কে ভাল দেখাইতে।ওরা কিউট ছেলে ওদের কোন দোষ নাই।ওরা মনে দু:খ পাইছে,তাই বংগবন্ধুকে ফ্যামিলি সহ খুন করছে।লেইম লজিক এ ভরা।নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্ব।লেখকের নাম শুনে ভাবছিলাম বিদেশী কেউ।পরে দেখলাম পাকিস্তানি।এটা দেখে আর তেমন হতাশ হইনাই।উনার একটা রিপোর্ট আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কে বিশ্বে পরিচিতি দিছে বটে কিন্তু এই বইটা তাকে একজন "এভারেজ পাকিস্তানি"হিস��বেই প্রমাণ করে।
-
পরপর কয়েকটা বই একই ঘটনার উপর পড়ে যাওয়ার মধ্যে মজা আছে,ইতিহাসটা কোথায় বিকৃত হয়েছে বুঝা যায়,হয়তো 3rd eye view থেকে লেখা বইটা তারপরও ইতিহাস তো ইতিহাস ই, সেটা শুধু সময়কেই বুঝায় বা কেউ কারো মতো করে বানায়।বিতর্কিত ব্যাপার বিতর্কিত ই থাকে।
-
মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী ইতিহাস জানার খুব ইচ্ছে ছিল কিন্তু গ্রহণযোগ্য কোন বই পাচ্ছিলাম না। অবশেষে এই বইটি আমার আশা মিটিয়েছে। A great book, all Bangladeshi should try it.
-
যদি কেও বাংলাদেশের সত্যিকারের ইতিহাস জানতে চান এর চেয়ে ভালো বই আর একটিও আছে বলে মনে হয় না।সকলের পড়া উচিত বইটা
-
নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে সত্যিকার ইতিহাস জানতে অনেকটাই সহায়ক হবে বইটি।
(২০১৯ এ পড়া প্রথম বই) -
১৯৭১ সাল থেকে ১৯৮১ সালে পর্যন্ত বাংলাদেশ ঘটা যাওয়া রাজনৈতিক ইতিহাস নিয়ে লিখা। এখানে বঙ্গবন্ধুর হত্যা থেকে শুরু করে জিয়া হত্যার ইতিহাস দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে হত্যার কারণ ও লিখা হয়েছে। সেখানে বাদ যায়নি কর্নেল তাহেরের নাম ও। বঙ্গবন্ধু শাসন ব্যবস্থার যে ফাঁকফোকর ছিল তার নানান দিক তুলে ধরেছেন। যুদ্ধের পরে দেশের মানুষের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির যে আশা ছিল তা কিভাবে ধ্বংস হয় তার কারণ তুলে ধরেছেন। এছাড়া লেখক সাংবাদিক হওয়ার কারণে বিশিষ্ট সব ব্যক্তির সাক্ষাৎকার তুলে ধরতে পেরেছেন।
বঙ্গবন্ধু যুদ্ধের আগে বাংলাদেশের মানুষকে যে স্বপ্ন তিনি দেখিয়েছিলাম তা পূরণে তিনি ব্যর্থ হন বলে খুব দ্রুতই তিনি তার জনপ্রিয়তা হারাতে থাকেন। তার আশেপাশের মানুষের চরম দুর্নীতি এবং এসব দেখে চুপ করে থাকার ফলে অনেকেই বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধাচরণ শুরু করে। এবং শেষমেষ কিছু বিপদগামী সৈনিকদের হাতে তার মৃত্যু হয়।
এছাড়া জিয়া নিজে কোনো সংগ্রামে না গিয়ে অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে কিভাবে দেশের প্রেসিডেন্ট হয়ে যায় তার বিস্তারিত ইতিহাস লিখা আছে বইটিতে। জিয়া ক্ষমতায় আসার পরে অনেক সৈনিককে ফাঁসিতে ঝোলায় আর অনেকেই কারাবন্দী করে রাখে যার অনেকেই নির্দোষ ছিল। এছাড়া জিয়া যাকে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করতেন তাকেই পথ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করার মনোভাব ই তার কাল হয়ে দাঁড়ায় সেসব কথাও তুলে ধরা হয়েছে।
লেখক বইটায় বেশ জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেন। ফারুক ও রসীদের বিস্তারিত অনেক ইতিহাস তুলে ধরেন। তাদের বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাপেক্ষে যুক্ত গুলো উপস্থাপন করেন। সব মিলিয়ে বইটি মুক্তিযুদ্ধের পরে থেকে এরশাদের যুগের আগ পর্যন্ত ইতিহাসকে চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হন। -
ইতিহাস হচ্ছে বিজয়ীর হাতে লেখা বিজিতের নামে একরাশ কুৎসা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অক্ষশক্তি বিজয়ী হলে এডলফ হিটলার হতেন পৃথিবীর শুদ্ধতম মানুষ।কারণ ইতিহাস লিখতেন তিনি।
এ��� বইটিতে ফারুক গং দের এমন ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যেন তারা বাংলার সূর্যসন্তান।খন্দকার মোশতাক ভাগ্যাহত রাজনীতিবিদ। জিয়া বাংলার ভাগ্যবিধাতা, জিয়া একটি নাম একটি কিংবদন্তি। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন ব্যর্থ, পরাজিত রাজনীতিবিদ।
বাংলাদেশের জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতা, বঙ্গবন্ধুর পরিবার পরিজনকে হত্যাকারীদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে মিথ্যা, বানোয়াট, সত্য গোপন ও কিছু ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে এন্থনী মাসকারেণহাস কি কারণে এমন একটি ইতিহাস রচনা করলেন এটা ভেবে যখন আমার দিশেহারা অবস্থা তখন আবিষ্কার করলাম - ভদ্রলোক সাদা চামড়ার খৃষ্টান হলেও আদতে উনার বেড়ে উঠা, কর্মসংস্থান পাকিস্তানে।উনি আপাদমস্তক একজন পাকি।
কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে বইয়ের রিভিউ।অধিকাংশ পাঠকের রিভিউ পড়ে মনে হয়েছে তারা বাংলার ইতিহাস নিয়ে এর থেকে উৎকৃষ্ট মানের বই আর পড়েনি। হতে পারে বইটি একজন বিদেশি লিখেছে এজন্য আমরা একটু বেশি উচ্ছ্বসিত হয়ে আপাদমস্তক বিশ্বাস করেছি।কিন্তু আমাদের মনে রাখা উচিৎ বিদেশিরাও হাগে, তাদের গু আমাদের গু এর মতনই দুর্গন্ধযুক্ত। -
It was non partially written by the perspective of the writer's point of view. Main features are three majors coup in Bangladesh. Which was full of conspiracy for the power and that lead to the most heinous murders and politics in the history of Bangladesh. The history of Bangladesh after the liberation war was not prideful. Politics were tools for criminals. The corruption was the real picture of that society. Morality was an invalid word at that time. For power, anything can be done. Even the murder of the president was not a big issue. The conspiracy was in the highest order by the military, government and sometimes even by the close people. This book reveals how the murder of two presidents was done and for what reason they had been fallen in that result. But about jail killings, the writer could not give clear information however it can give a general overview of this topic.
After all its a very interesting book to read. The readers will be thrilled when they find how every event is going through and they will find many connections with the previous event of the story and it's continuation. Full of thrill !!!!!!!