প্রথম আলো ১ by Sunil Gangopadhyay


প্রথম আলো ১
Title : প্রথম আলো ১
Author :
Rating :
ISBN : 8172153627
ISBN-10 : 9788172153625
Language : Bengali
Format Type : Hardcover
Number of Pages : 424
Publication : First published May 1, 1996
Awards : Saraswati Samman (2004)

best ebook, প্রথম আলো ১ by sunil gangopadhyay this is very good and becomes the main topic to read, the readers are very takjup and always take inspiration from the contents of the book প্রথম আলো ১, essay by sunil gangopadhyay. is now on our website and you can download it by register what are you waiting for? please read and make a refission for you


প্রথম আলো ১ Reviews


  • Riju Ganguly

    বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠতম বইগুলোর মধ্যে অন্যতম এই বইয়ের কোনো রিভিউ হয় না। 'দেশ'-এ ধারাবাহিক প্রকাশের সময়ই পড়েছিলাম লেখাটিকে। শুধু সুখপাঠ্য বলে নয়, বাংলা তথা ভারতের ইতিহাসের এক সন্ধিক্ষণে আলো আর অন্ধকারের এমন কৌতূহলোদ্দীপক অথচ মায়াবী আখ্যান লক্ষ-লক্ষ পাঠকের মনন ও চিন্তনে প্রভাব ফেলেছিল। বহু ঐতিহাসিক চরিত্র, যাদের এযাবৎ ইতিহাসের ধুলো আর কিংবদন্তির ধোঁয়ার আড়ালেই দেখতে অভ্যস্ত ছিলাম, এই বইয়েই রক্তমাংসের মানুষ হয়ে আমাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছিলেন।
    এ বই যদি আজও না পড়ে থাকেন, তাহলে বড্ড ভুল করেছেন। ত্রুটি সংশোধনে তৎপর হোন, কারণ শুভকাজে দেরি করতে নেই।

  • Benozir Ahmed

    ৮ম বা ৯ম শ্রেণীতে থাকতে বইটা পড়েছিলাম। সে অনেক কাল আগের কথা। তারপর অনেক অশোক পাতা ঝরেছে। মস্তিষ্কের নিউরন গুলো কে খানিকক্ষণ উপর্যুপুরি ভাবে নাড়া চাড়া করে ও একটা মোটামুটি রিভিউ লেখার মত কাহিনীটুকু মনে করতে পারলাম না। মনে হয়, তিন তারা দিয়ে অবিচার করা হচ্ছে বইটাকে। কিন্তু এতটুকু মনে আছে এই বইটা পড়ার আগেই "সেই সময়" আর "পুর্ব পশ্চিম" পড়া হয়েছিল। লেখক এর কাছে প্রত্যাশার দাবীটা একটু বেশীই ছিল বোধ হয় সে কারণে। সুনীল আমার খুব প্রিয় একজন লেখক। কিন্তু এই বইটা শেষ করতে গিয়ে বেশ কয়েকবার ধৈর্য বাবুর হাতে পায়ে ধরতে হয়েছিল। এবং এটা নিশ্চিত জীবন এর কোন এক পর্যায়ে গিয়ে আবার বইটা হাতে না নিলে নিজের কাছে অপরাধী থেকে যাব।

  • Tisha

    বেশ কয়েক বছর আগে বইটির হার্ড কপি এনেছিলাম একজনের কাছ থেকে পড়বার জন্য। পড়া হয়নি তখন, ফেরত দিয়ে এসেছিলাম। কি মস্ত ভুল-ই না করেছিলাম! এতো অসাধারণ একটি বই কিভাবে না পড়লাম তখন!
    কি অসাধারণ লেখনী, ইতিহাসকে কি সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন সুনীল তাঁর এই বইটিতে! আমার কাছে বইটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক ছিল প্রিয় কবি রবি ঠাকুরের জীবন চিত্র। ভালো লেগেছে খুব। প্রিয় বইগুলোর লিস্টে আরেকটি নাম যোগ হল।
    দ্বিতীয় খণ্ড পড়ার অপেক্ষায়... :)

  • DEHAN

    বিখ্যাত বিখ্যাত লোকজনের চারিত্রিক বিশ্লেষণ ধর্মী এই উপন্যাসে কি নাই ?
    আছে সুখ, আছে দুঃখ, আছে অপমান, আছে তাচ্ছিল্য, আছে ঘৃনা , আছে ক্রোধ , আছে লালসা , আছে বিরক্তি , আছে ভালোবাসা ,আছে ব্লা ব্লা ব্লা ....
    উপন্যাসের শুরু বাংলার স্বাধীন রাজ্য ত্রিপুরার রাজা বীরচন্দ্র মাণিক্যের খাসমহল থেকে তারপর গল্পের মোড় ঘুরিয়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় নিয়ে গেলেন জোড়াসাঁকোর রবীন্দ্রনাথের কাছে তারপর জ্যোতিন্দ্রনাথ, কাদম্বরী দেবী, বঙ্কিম, স্বামী বিবেকানন্দ , জগদীশ চন্দ্র বসু....এভাবে আরো কত চেনাজানা লোকজনদের যে এর মধ্যে আসা যাওয়া হলো তার হিসেব নাই! পাঠক যত গভীরে ঢুকবেন ততো জানতে পারবেন অন্দরমহলের ঘটনা। রবীন্দ্রনাথ কবি কিভাবে হলো, কাদম্বরীর আত্মহননের কারণ, স্বামী বিবেকানন্দর রামকৃষ্ণ পরমহংস নামক এক পাগলা সাধুর সংস্পর্শে এসে ঘোর নাস্তিক থেকে ধর্মানুরাগী হওয়ার কারণ আরো নানাবিধ ইত্যাদি সিত্যাদি । তাছাড়া সেকালে ভারতে কি হচ্ছে, কিভাবে হচ্ছে, ব্রিটিশ রা কেমন করে আস্তে আস্তে পুরো দেশটাতে জাকিয়ে বসছে তার ইতিহাসের একটা চিত্র উঠে এসেছে উপন্যাসের মধ্যে। এক কথায় প্রথম আলোতে শুধু দিনের আলো নয় বরং রাতের নিকশ অন্ধকারের কথাও মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে ৷ যাই হোক একটা মর্মান্তিক কিন্তু চূড়ান্ত রকম হাস্যকর কাহিনি বলার লোভ সামলাতে পারছি না -
    তখন চাকরি-বাকরির এমন ই অবস্থা যে অনেক বেকার যুবক শ্মশানঘাটগুলোতে গিয়ে সারাদিন কাটায় । কোন পুরুষ মরা এলেই তারা সাগ্রহে গিয়ে জিজ্ঞেস করে , কোন হৌসে কাজ করতেন ? কেরানি না দারোগা ? তারপর তারা দরখাস্ত পাঠায় এই বয়ানে - ‘’ স্যার লার্নিং ফ্রম দ্য বার্নিং ঘাট দ্যাট এ পোস্ট ইজ লাইইং ভেকান্ট ইন ইউর অফিস …’’

  • Sudipta

    সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়-এর দারুণ লেখা বইগুলোর মধ্যে প্রথম আলো একটি । এটির দুটো খন্ড টানা তিন দিনে পড়ে শেষ করেছিলাম। এখন পড়লে হয়তো আর পারব না। পড়ার গতি অনেক কমে গেছে!! [ It's excellent book by Sunil Gangopadhyay. I read it's two parts in three days. ]

  • Tasnima Oishee

    এবছরের পড়া দ্বিতীয় বই এটা। এমনিতে পূর্ব-পশ্চিম এবং সেই সময় আগেই পড়া ছিলো। সেই দুটো বই ও আমার অসম্ভব প্রিয়। সেই তালিকায় এবার যোগ হয়েছে প্রথম আলো।

    এখানের সবচে' প্রিয় চরিত্র হচ্ছে রবীন্দ্রনাথের নতুন বৌঠান কাদম্বরী। হিস্টোরিক্যাল ফিকশনে লেখকের কল্পনাপ্রসূত অনেক কিছুই থাকে কিন্তু সুনীল এক অন্যরকম মমতা দিয়ে কাদম্বরীকে এঁকেছেন। পুরো গল্পে আমি এই এক কাদম্বরীর জন্যই কেঁদেছি, তার অভিমানের সাথে একটু নিজেকেও খুঁজে নিয়েছি সেটাও আমি অস্বীকার করবো না। বেশ ক বছর আগে পশ্চিম বাংলার কাদম্বরী সিনেমাটা দেখেছিলাম। মনে হচ্ছে এই বই এর ছায়া ছিলো। বই পড়ার সময় কাদম্বরীর কথা ভাবতেই কঙ্কনা সেন শর্মার মুখটাই মনে পড়ছিলো। কাদম্বরীর আরো অনেক কিছুই পাওনা ছিলো এই সংসার থেকে!

    দ্বিতীয়ত, যখন এদেশের প্রথম ডাক্তারি পড়তে যাওয়া মেয়েটি দেশে ফেরত আসার পরে তার বাবার সাথে মহেন্দ্রলাল সরকার দেখা করতে যাচ্ছিলেন, তখন ডাক্তার মহেন্দ্রনাল সরকা্রেরকাছে মেয়েটির বাবা তার হবু জামাই এর বর্ণনা দিচ্ছিলেন আর আমি জগদীশ চন্দ্র বসুর কথা ভেবেই উৎফুল্ল হয়ে গিয়েছিলাম।

    দ্বিতীয় পর্ব শুরু করবো। ভূমিসুতাকে পাওয়া যাবে কিনা... ভরত শেষমেশ ভূমিকে ফিরে পাবে কিনা খুব জানতে ইচ্ছে করছে। ও আচ্ছা, শেষের দিকে , ইরফান আর ভরতের ডারউইনের বিবর্তনবাদ তত্ত্ব নিয়ে আলোচনাটাও আমার ভালো লেগেছিলো। শেষ কিছুদিন দেড় শতাব্দী আগে থেকে টাইম ট্রাভেল করে এসেছি বলে মনে হচ্ছে।

  • Avik

    Prothom Alo (The First Light) by Sunil Gangopadhyay is an epic work by the great author which encompasses the society of Bengal in the later part of the nineteenth century.
    The period is often referred to as the period of the “Bengal Renaissance” as it saw a number of great personalities in action in this region of pre-independence India.

    Sunil Gangopadhyay is undoubtedly one of the most important literary figures of his era in Bengal and Prothom Alo is a phenomenal piece of work by him.
    It is a historical novel where Swami Vivekananda and Rabindranath Tagore are but characters. Sunil treads the boundary between fact and fiction with elegance, combining documented incidents with imagination, lending even well-known anecdotes a fresh perspective. The novel deals with a number of important personalities who breathed during this time, from Ishwar Chandra Vidyasagar and Bankim Chandra Chattopadhyay to the young freedom fighters in the latter stages. However, the lion’s share of pages are dedicated to the Ramkrishna-Vivekananda movement and the Tagore family.

    The saint Ramkrishna as well as his disciple Swami Vivekananda are presented in a refreshingly irreverent fashion, shorn of the many legends, myths and aura that they are often ornamentally clouded with. What this did for me was endearing these two extraordinary personas to me. While Ramkrishna is mesmerizing as a man with disproportionately great insight into the human character and spirituality, than what a modern man would associate with his level of formal (or even informal) education, his disciple’s journey from a North Kolkata lad to a monk respected deeply across continents is like one of a friend - with whom we once spent days chatting with and who later went on a path of his own, rather than a biography of a guru. Later, we also encounter Sister Nivedita, whose journey from her Irish roots to India is a tale in itself. A related parallel plot is that of Girish Ghosh, the famous playwright, lyricist and actor and with him, a number of other playwrights and stage personalities of that era and how they shaped and adorned the stages of the city.

    Rabindranath Tagore is presented in a humane form too, rather than a divine presence which is his more commonly found avatar in the Bengali and Indian psyche. He comes with his magnetic personality and his occasional frailties and of course, with his superhuman genius. The episodes of Rabindranath with his scientist friend Jagadish Chandra Bose present us with another less-discussed aspect of this great poet’s character. Prothom Alo also acquaints us with Rabi, the younger brother, as well as Rabindranath, the husband of Mrinalini Devi and the father of their children.

    As much as real-life characters enthrall, the brilliance of Sunil shines through in the fictional part of the novel. Sunil creates a contemporary character who is in the scene and serves as a lens for the reader to watch events unfold and personalities walk past. Through it all, the life of this character himself unfolds towards an intriguing conclusion.

    Prothom Alo is a riveting read. Sunil weaves a story around history and what a story it is !

  • Shom Biswas

    Done with it. Have been struggling with this one for the last 5 months - started reading it on Jan 1st of this year. But 1000 pages of intricate story-line takes its toll. Was really tempted to do a Part 1 and Part 2 to ensure I do not fall back in the reading challenge. But I will desist.

    Anyway, about the book now. For better or for worse, Sunil Gangopadhyay, who had been a trendsetter of a poet, will be remembered as the chronicler of Kolkata, the city. The time between 1850-1930 'odd, is a favorite of the Bengali - this was the time of the Bengali Renaissance; a magical, mysterious time. Characters, larger than life, brilliant, iconoclastic, innovative, abounded. And all this was done while the society was slowly moving away from stifling orthodoxy (and orthodoxy was not letting go without a fight!). 'Shei Shomoy' was the first book of Sunil Gangopadhyay's chronicling the time, and I have reviewed it here in this blog. Prothom Alo is the second. And it will forever stay in the shadows of the former. It shouldn't - the characters that inhabit this book are the more well known - Rabindranath Tagore, Swami Vivekananda, Ramakrishna Paramhansa, Dr. Mahendralal Sarkar, Aurobindo Ghose and the Anushilan Samity, even the Mahatma. It's just that the base on which the stories of these great lives are built, the doomed love story of Bharat and Bhumisuta, is not a comparison to the magnificence of Nabin Chandra Singha in the former.
    But standalone, this is a fantastic book. You can see the expert hand of the writer chronicling the time, treating the characters, famous, known, and unknown, with extreme felicity. For a huge, huge book, this is extremely readable.

    Prothom Alo (First Light)
    Author: Sunil Gangopadhyay
    Genre: Historical Fiction, Bengali
    Source: Print
    Rating: 4
    May 2015

  • S M Hridoy

    ইতিহাস ও কল্পনা এই দুইয়ে মিলিয়ে এক অনন্য এবং অসাধারন উপন্যাস এই প্রথম আলো।। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের এক অসাধারন সৃষ্টি এবং বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক উপন্যাস ।যদিও অনেক বড় বই কিন্তু বইটির প্রতিটি পাতা যেন ইতিহাসের ছায়া। ঐতিহাসিক উপন্যাস লিখতে গিয়ে যেন তিনি বইটিকেই ইতিহাসের অংশ করে রেখে গেছেন।

    একদিকে কলকাতায় ঠাকুর পরিবার এবং রবীন্দ্রনাথ, একদিকে রামকৃষ্ণ পরমহংস এবং তাঁর শিষ্য নরেন্দ্রনাথ (স্বামী বিবেকানন্দ) এবং অন্যদিকে ত্রিপুরার রাজপরিবার এই তিনটি পৃথক অংশকে তিনি এক সুতাতে গেঁথেছেন । প্রথম পত্রে রবিন্দ্রনাথ ,কাদম্বরী দেবী এবং ঠাকুর পরিবারের অসংখ্য অজানা বিষয় , রামকৃষ্ণ পরমহংসের জীবনধারা ছাড়াও রয়েছে তৎকালীন ত্রিপুরার(কুমিল্লা) রাজা বীর মাণিক্যে ও তাঁর পরিবারের নানা কথা । তবে উপন্যাসের মূল চরিত্র হিসেবে রয়েছে দু'টি কাল্পনিক চরিত্র "ভরত ও ভূমিসুতা" এবং তাঁদের মধে প্রনয়ের নানা বাধা-বিপত্তি।

    যারা আমার মত রবীন্দ্রনাথের ভক্ত এবং তাঁর সম্পর্কে জানতে চান তারা দেরি না করে আজই পড়ে ফেলুন,আর ভক্ত না হলে কাল-পরশু পড়লেও চলবে কিন্তু পড়ুন ।

  • Rashedul Riyad

    এই উপন্যাস দিয়েই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখার সাথে পরিচয় হয়েছিলো। এই উপন্যাসটি পড়েই সুনীলের ভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। অসাধারণ একটি উপন্যাস।

  • basri.reads

    “নিজের আনন্দের জন্য যদি কেউ অপটু হাতেও ছবি আঁকে, তাতেই বা দোষ কী! যার কণ্ঠস্বর সুরেলা নয়, সে কি নিজের আনন্দের জন্যও গান গাইবে না? সব খেলায় সবাই জয়ী হয় না। কিন্তু হেরোরা যদি খেলতে না চায়, তাহলে তো কোনও খেলাই হবে না।”

    “যত উপায়েই মানুষের কন্ঠ রুদ্ধ করা হোক, মানুষের মন কিছুতেই নির্বাক হয়না। প্রতিটি জাগ্রত মুহূর্তেই মানুষের মন কিছু না কিছু বলে।”


    অন্যরকম একটা অনুভূতি হচ্ছে।চাকরির পরীক্ষার জন্য পড়া কিছু তেতো বিষয় যখন উপন্যাসে পড়ার সময় এত মধুর লাগে। সেই স্কুল থেকে পড়ে আসা লেখক কবি এদের সম্পর্কে আরো বিশদভাবে জানতে পারা, বিশেষত রবীন্দ্রনাথের পরিবার, সাহিত্যজীবন।আমি সুনীলের সেই সময়, পূর্ব-পশ্চিম পড়িনি। বরাবর সবার রিভিউ দেখে দেখে কৌতূহল হতো এই বইগুলো নিয়ে মানুষ এমন করে কেন।অবশেষে প্রথম আলো প্রথম পার্ট পড়েই ভীষণ আফসোস হচ্ছে কি সব বই আমি মিস করেছি না পড়ে।তর সইছে না পরের পার্ট কবে শেষ করবো।

  • Alfie Shuvro

    পুরো উপন্যাস জূড়েই রয়েছে রবীঠাকুর , স্বামী বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণ এর জিবন চরিতের বেশ কিছু অংশ। বাঙ্গলা মঞ্চনাটকের ও ইতিহাস একদম গোড়া থেকে বর্ণনা করা হয়েছে সুনিপুণ করে। কাদম্বরী প্রেমে পড়বে প্রত��টি পাঠক। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর অসাধারণ রচনা শৈলীর আর উপন্যাসের সংলাপ আপনাকে নিয়ে যাবে সমকালীন সময়ে।

  • Jahidur Shawon

    অতীত না ইতিহাস কে না জানতে চায়??? ইতিহাস জানার জন্য সবসময় কি ইতিহাসের বই ঘাটতে হবে?? আমার উত্তর না। প্রথম আলো আপনাকে নিয়ে যাবে সেই সময়ে যখন আমাদের ইতিহাসের কুশীলবরা তাঁদের সময়কে ছাপিয়ে হয়েছেন আমাদের আদর্শ।

  • Nawrin Boshra

    বইটা পড়ে রবীন্দ্রনাথকে যেন জানা হল নতুন করে।

  • Shalini Chakraborty

    অসাধারণ লেখনী , বইটি পড়ার সময় মনে হচ্ছিল যেন ও কালস্রোতে ভেসে চলেছি সময়ের বৈতরণী তে চেপে। ঐতিহাসিক চরিত্রদের চাক্ষুষ দেখতে পাচ্ছিলাম বই এর প্রতিটি পাতায়। তারা কেবল গুরুগম্ভীর মহান চরিত্র নয় বরং লেখকের সাবলীল লেখনী তে তারা যেন হয়ে উঠেছে মনের অনেক কাছে র মানুষ।

    ঐতিহাসিক চরিত্র গুলি র পাশাপাশি লেখকের সৃষ্ট চরিত্র গুলি র উদারতা একনিষ্ঠতা ছুঁয়ে গেছে মনকে ভীষন ভাবে। এই অনবদ্য উপন্যাস টি উপহার দেওয়ার জন্য লেখকের কাছে বাংলা সাহিত্য ও পাঠক কূল থাকবে চিরকৃতজ্ঞ।

  • S.Ach

    ସୁନୀଲ ଗଙ୍ଗୋପାଧ୍ୟାୟଙ୍କ ବହୁଚର୍ଚ୍ଚିତ "ପ୍ରଥମ ଆଲୋକ" ପଢିବା ପାଇଁ ବହୁ ଦିନରୁ ଇଛା ଥିଲା | Bengal Renaissance ସମୟର ଏହି ଉପନ୍ୟାସର ପ୍ରମୁଖ ଚରିତ୍ର ରବିନ୍ଦ୍ରନାଥ ଟାଗୋର, ରାମକୃଷ୍ଣ ପରମହଂସ, ବିବେକାନନ୍ଦ ଆଦି ପ୍ରମୁଖ ବ୍ୟକ୍ତିତ୍ୱ ଯେଉଁମାନେ ହିଁ ଥିଲେ ସେ ସମୟର Bengali Intellectualism ର ଉତ୍ଥାନର ପ୍ରମୁଖ ସୂତ୍ରଧର | ଯେହେତୁ ବଙ୍ଗାଳି ଆଉ ଓଡ଼ିଆ ଭାଷାର ସାମଞ୍ଜସ୍ୟ ବହୁତ, ଓଡ଼ିଆ ଅନୁବାଦଟି ପାଇଲା ପରେ ମୋ ଖୁସିର ସୀମା ନଥିଲା | ମମତା ଦାଶଙ୍କ ଅନୁବାଦ ଉଚ୍ଚକୋଟୀର ଏବଂ original text ର ବହୁ ନିକଟ ବୋଲି ମାନେ ହୁଏ | ପ୍ରଥମ ଭାଗଟା ଟାଗୋର ଓ ବିବେକାନନ୍ଦଙ୍କ ମହାନ ହବା ପୂର୍ବ ସମୟର ଜୀବନୀ ରେ ସୀମିତ | ତେଣୁ, ଏଥିରେ ସେମାନଙ୍କ ଜୀବନର ସେହି ଉପଲବ୍ଧି ସବୁ ସ୍ଥାନ ପାଇଛି ଯେଉଁଟା ସେମାନଙ୍କ ଜୀବନର ପରବର୍ତ୍ତୀ ବୌଦ୍ଧିକ ବିକାଶର ଉତ୍ସ |

    ସାତ୍ବିକ ପ୍ରେମ - ଭାଉଜ ଦିଅର ମଧ୍ୟରେ ଯାହା ରବିନ୍ଦ୍ରନାଥଙ୍କ ଅନେକ କବିତାର ପ୍ରେରଣା, ଗୁରୁ-ଶିଷ୍ୟ ମଧ୍ୟରେ ଯାହା ବିବେକାନନ୍ଦଙ୍କ ଆଧ୍ୟାତ୍ମିକ ଚେତନାର ସୂତ୍ର, ତାହା ଏହି ଉପନ୍ୟାସରେ ଦର୍ଶା ଯାଇଛି | ଏଥତ ବ୍ୟତୀତ ତ୍ରିପୁରା ରାଜାଙ୍କ କାହାଣୀ ଟି ମଧ୍ୟ ଅନେକ ରୋମାଞ୍ଚକର |

    ଏ ଉପନ୍ୟାସର ଦ୍ଵିତୀୟ ଭାଗଟା ଯେଉଁଥିରେ ଟାଗୋର ଓ ବିବେକାନନ୍ଦ ସେମାନଙ୍କ enlightenment ପ୍ରାପ୍ତି କରିଥିଲେ, ନିଶ୍ଚିତ ଭାବରେ ଆହୁରି thought-provoking ହେଇଥିବା ବୋଲି ଆଶା | ବୋଧ ହୁଏ ତା'ର ଇଂରାଜୀ translation ରେ ହିଁ ମନ ତୃପ୍ତି କରିବାକୁ ପଡିବ |

  • Azdika Afsana

    History is a really boring topic for most of us. But if delivered well, anyone will fall in love with history and learn from it. This book made me fall in love with history. All the characters are alive, I've known them, studied about them, memorized their contribution to society in 6th or 7th grade the night before Social Science exam, forcefully. But the novel made me look at those characters as if they were near me, made me feel their pain, their growth, their happiness. I found myself walking on the streets of Kolkata, standing on the baranda of Thakurbari. The way the story is woven is so mesmerizing I had a hard time putting it away. Can't wait to read the second part.

  • Sucharita Paul Tiwari

    One of the best historical fictions that i have ever read..A seamless fusion of fiction and non fiction..The kind of book that you keep rediscovering every time you read and every chapter is a door that takes us into the world of enlightenment.. And what can i say about the writing of Sunil Gongopadhay..Its just flawless..

  • Mehadi ßhuiyan

    ঐতিহাসিক উপন্যাস পড়া আমার কাছে টাইম মেশিনে চেপে অতীত ভ্রমনের মতো। যারা আমাদের কিংবদন্তি,সোনালী ইতিহাসের বরপুত্র তারা তাদের সময়ে তাদের মতো করে জীবনযাপন করছেন। আর আমি যেনো সবকিছু হাওয়ায় ভেসে দেখছি।১১৩৫ পৃষ্টার বিশাল উপন্যাস। সমসাময়িক অনেক পরিচিত ব্যাক্তিদের সমন্বয়ে লিখিত। কিন্তু কোথাও সামান্যতম বিচ্যুতি চুখে পড়েনি।

    উপন্যাসের শুরু হয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যের মহারাজের আমন্ত্রণে তার উপজাতি প্রজাদের যাত্রাপথের বর্ণনা দিয়ে। ত্রিপুরার রাজা বীরচন্দ্র মানিক্য। যার রূপকথার রাজাদের মতো অনেক রাণী,কাছুয়া প্রাসাদ ষড়যন্ত্র সবকিছু আছে। তবে তিনি বাংলা সাহিত্যের সমাঝদার এবং কবি। তার জীবনাচরণ,রাজ্য,সাহিত্য বোধ সবকিছু খুব গোছালো ভাবে উঠে এসেছে এই উপন্যাসে। রাজা বীরচন্দ্র মানিক্যের পাটরানির মৃত্যুর পর তার শোক কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে নবীন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা ভগ্নহৃদয়। রাজা খুশি হয়ে শাল-দোশালা পাঠান নবীন কবিকে। এখান থেকে উপন্যাসের কাহিনী চলে যায় ঠাকুর পরিবারে। যেখানে নবীন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেদের প্রেস থেকে বই ছাপায় কিন্তু বিক্রি হয়না কিছুই। দেখা মেলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নতুন বৌঠান কাদম্বরী দেবীর। ব্যাক্তিত্বময়ী বাঙালি নারীর আধুনিক জীবনযাত্রার অগ্রদূত রবির মেজবৌঠানের। উঠে আসে জ্যোতিন্দ্রনাথ ঠাকুর মানুষটির কথা,যিনি স্ত্রীর কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুর পর একেবারে চলে যান পর্দার আড়ালে।

    কালিভক্ত রামকৃষ্ণ পরমহংস ভোলাভালা মানুষটির প্রশংসা শুনে নিছক কৌতুহলের বশে তাকে দেখতে আসে নরেন দত্ত নামের অত্যন্ত আধুনিক চিন্তাধার এক যুবক। এই ছেলেটি পড়ে স্বামী বিবেকানন্দ নামে আত্মপ্রকাশ করে। থিয়েটার জগতের গিরিশচন্দ্র,অভিনেত্রী বিনোদিনী এবং সেই সময়ের থিয়েটারের স্বর্ণযুগের কথা ও উঠে আসে এই উপন্যাসে।। লেখিকা স্বর্ণকুমারী দেবি,তার কণ্যা সরলা দেবী, জগদীশ চন্দ্র বসু ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বন্ধুত্ব ও গবেষণার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আর্থিক সহায়তা। গান্ধীজীর হ্যাট-কোট পড়ে বিদেশ থেকে ফিরে এসে দেশের মানুষের জন্য কিছু করার অদম্য উৎসাহ নিয়ে কাজে লেগে যাওয়ার সাহস তে অতুলনীয়।

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিয়ে,তার সাংসারিক জীবন,আস্তে আস্তে সাহিত্য আকাশে উদিত হওয়া এবং জনপ্রিয়তা অর্জনের পর দেদিপ্যমান হয়ে পুরো উপন্যাস জুড়ে তার সশব্দে বিচরণ। এই উপন্যাসের বেশ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ভরত। যাকে সবসময় ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের স্বীকার হতে দেখা যায়। ভূমিসুতা নামের একটি মেয়ে তার জীবনে আসে কিন্তু নানান চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে তাদের মিলন হয় একেবারে শেষে। এতো সব বিখ্যাত মানুষদের মাঝে এরা দুজন কে? সেটা বুঝতেই পারছহলাম না। পরে অবশ্য জানতে পেরেছি এরা লেখকেরই কাল্পনিক চরিত্র।

  • Maisha Samiha

    মুগ্ধতা... মুগ্ধতা... মুগ্ধতা...❤

  • Monami Arani

    সুনীলের প্রথম আলো না পড়লে জীবনটাই অসম্পূর্ণ থাকতো বলে মনে হয়...

  • অলকানন্দা

    সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কালজয়ী টাইম ট্রিলজির প্রথম উপন্যাস "সেই সময়" খুব তাড়াহুড়োয় শেষ করেছিলাম, সত্যি বলতে, সেজন্যই ততটা গভীরভাবে হয়ত এটিকে আমি অনুভব করতে পারিনি, যতটা আমি অনুভব করেছি "প্রথম আলো"কে।
    ইতিহাস কি শুধুই খটমটে এক বিষয়ের নাম? নাকি এতে ঠাঁই নেয় কালের বিবর্তনবাদের গল্পও, যেখানে রক্তমাংসের অবয়বের কতশত আনাগোনা! কত যে না জানা, না শোনা অনুভবের পরিচয় পাওয়া যায়, তার পরিচয় শুধুমাত্র টাইম ট্রিলজি পড়লেই বোঝা সম্ভব, যার অন্যতম একটি অংশ এই "প্রথম আলো"।
    শুরুতেই বলেছি, ইতিহাস আপাতদ���ষ্টিতে হয়ত খটমটে, কিন্তু সেই খটমটে ঠাসবুনোন কাঠামো প্রাণ ফিরে পায় একটি সুনির্দিষ্ট কাল তথা সময়ে জন্ম নেয়া শত শত রক্তমাংসের অবয়বের চারিত্রিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে! তাদের উপলব্ধি, অনুভূতির একান্ত পরিচয়ও মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় তৎকালীন সময়ের সামাজিক, রাজনৈতিক এমনকি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণের সাথেই। সব মিলেই গঠিত হয় একটি সুনির্দিষ্ট কালের রূপরেখা। "প্রথম আলো"র প্রথম খণ্ডের প্রতিটি ��রিত্রও সেভাবে আলো ছড়িয়ে গিয়েছে এই উপন্যাসের প্রতিটি পরতে পরতে, আলো ছড়িয়েছে তৎকালীন ব্রিটিশশাসিত সমাজে অন্যায়, অবহেলা, বঞ্চনা, লাঞ্ছনার বিরুদ্ধে হাজারো বাঙালির রক্ত টগবগ করা প্রতিবাদ, আলো ছড়িয়েছে ধর্মীয় গোঁড়ামোকে একপাশে রেখে সৃষ্টিকর্তার প্রতি শুদ্ধ ও স্বচ্ছ অনুভবেরা! একইসাথে আলো ছড়িয়েছে কারো কারো জীবনে আসা প্রথম শুদ্ধতম ভালোলাগার অনুভূতিও! আর সেসব আলোয় উজ্জ্বল হয়ে মিশে আছেন রবীন্দ্রনাথ, কাদম্বরী দেবী, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ, রামকৃষ্ণের মত বিখ্যাত ঐতিহাসিক চরিত্রের পাশাপাশি ভরত, ভূমিসুতা, শশীভূষণের মত প্রতীকী চরিত্রেরাও।
    ইতিহাসে কালের আবর্তন ঠাঁই পায় বলে এর কাহিনীবিন্যাসের চড়াই উৎরাইও কম নয়। ঔপন্যাসিকও এক্ষেত্রে তার রুচিবোধের এক অনন্য পরিচয় দিয়েছেন! শুরুটা হয়েছিলো ত্রিপুরার তৎকালীন মহারাজ বীরচন্দ্র মাণিক্যের রাজবাড়ি এবং অন্তঃপুরের আখ্যান দিয়ে, আর সেখান থেকে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি, রবীন্দ্রনাথ-কাদম্বরী দেবীর কাব্যচর্চার সাথে তাদের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বুনন, জ্যোতিরিন্দ্রনাথের স্বদেশপ্রেমের নিদর্শন, নারীজাগরণে জ্ঞানদানন্দিনী দেবীর অসামান্য ভূমিকার পাশাপাশি ধর্মীয় জাগরণের দিক দিয়ে ব্রাহ্ম সমাজ এবং রামকৃষ্ণের প্রতি তার ভক্তদের মোহাচ্ছন্ন ভক্তিশ্রদ্ধার ব্যাপারটিও পাঠকদের নজর কাড়তে বাধ্য।
    “প্রথম আলো” ব্যক্তিস্বাধীনতা অর্জনের গল্প বলে, বলে জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার গল্পও। আর সেই গল্পের প্রতীকী চরিত্র হচ্ছে ভরত এবং ভূমিসুতা। নিকষ অন্ধকারাচ্ছন্ন কন্টকে আবৃত অতীতকে পেছনে ফেলে এসে নতুন করে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জ্বলন্ত প্রতীক ভরত, যে নিজেকে একজন ভাগ্যবিড়ম্বিত অসহায় মানুষ থেকে একজন আত্মস্বাবলম্বী শিক্ষিত যুবায় নিজেকে পরিণত করেছে। আর কালের আবর্তে প্রথম ভাললাগার নাম হয়ে তার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে জড়িয়ে গিয়েছে সহজ সরল অনাথা ভূমিসুতা। তাদের জীবনের এই অধ্যায়টি কি সফলতার আলো দেখেছিলো অবশেষে?
    তবে সবকিছু ছাপিয়ে আমার মন ভিজিয়ে দিয়েছিলো কাদম্বরী দেবীর মৌন আত্মাভিমান। রবীন্দ্রনাথের কাব্যচর্চার জীবনে ভোরের সূর্যকিরণের মত ভর করে আসা কাদম্বরী আবার মিলিয়েও গিয়েছিলেন ভোরের সূর্যকিরণের মতই। ব্যক্তিগত জীবনে মানুষটির অনুভূতি ও উপলব্ধির বোধশক্তি যে কতটা তীব্র ছিলো, তা এই উপন্যাসের বিশেষ কিছু জায়গায় সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান। কিছু মানুষের নীরবতার আলাদাই এক শব্দ ও ভাষা থাকে; কাদম্বরী দেবী তাদেরই দলভুক্ত কেউ একজন।
    প্রথম আলো-তে যেমন ঠাঁই করে নিয়েছে প্রথম ভাললাগার গল্প, ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রথম নবজাগরণের গল্প, কবিগুরুর প্রথম জীবনে কাব্যচর্চার চড়াই উৎরাইয়ের গল্প, ঠিক তেমনই উঠে এসেছে অবহেলা, লাঞ্ছনা গঞ্জনা, শোষণ, বৈষম্যের গল্পও! ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে উপন্যাসটির প্রথম খণ্ড শেষ করার পর মনে হচ্ছিলো, ভালবাসার অপর পিঠে সবসময় শুধু ঘৃণাই নয়, বরং ক্রোধ এবং তাচ্ছিল্যেরও বসবাস!

    সবশেষে এই উপন্যাসের আমার সবচেয়ে প্রিয় উক্তিটি লেখার লোভ সংবরণ করতে পারছিনা--
    “অভিমান হল হৃদয়ের অতি গোপন প্রকোষ্ঠের ব্যাপার। যে কেউ সেখানে হাত ছোঁয়াতে পারেনা।”
    উপন্যাসের নামঃ প্রথম আলো (প্রথম খণ্ড)
    লেখকঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
    ধরনঃ ঐতিহাসিক-সামাজিক উপন্যাস
    প্রকাশনীঃ আনন্দ পাবলিশার্স
    প্রথম প্রকাশঃ ১লা মে, ১৯৯৬
    মোট পৃষ্ঠাসংখ্যাঃ ৪২৪

  • Anik Chowdhury

    বইটি পড়ার পর একটি শব্দই প্রথমে মাথায় এসেছে। আহামরি কোনো শব্দ নয় বেশ সাধারণ একটি শব্দ, "নবজাগরণ"। হঠাৎ করে একটি ঘুম ভেঙে একটি জাতি ত্রস্ত পায়ে বাইরে বের হয়ে এসে দেখলেন শুরু হয়ে গিয়েছে নিজেদের পুনরুত্থানের কাজ। বাঙালি জাতির শিরদাঁড়ায় যে প্রচন্ড আঘাত ইংরেজরা করেছে শুরু হয়েছে তাতে প্রলেপন দেওয়া। ঘরের বাইরে এসে সূর্যকে অবলোকন করছেন অন্তঃপুরবাসিনী অসূর্যম্পশ্যা নারীজাতি। হাঠাৎ কোথাথেকে আগমন ঘটলো একদল ধর্ম ও সমাজ সংস্কারকের। বাংলা রঙ্গালয়ের আবির্ভাব হলো নাট্যকারের। উদয় ঘটলো বাংলার আকাশে নতুন রবির। এ যেন এক মহাযজ্ঞের সূচনালগ্ন!

    মহারাজ বীরচন্দ্র মাণিক্য স্বাধীন ত্রিপুরা রাজ্যের অধিপতি। যে রাজ্যে ইংরেজ সরকার অধিপতি হয়নি। ঘটনা প্রবাহের শুরু মহারাজ বীরচন্দ্র মাণিক্যকে দিয়েই। যিনি চন্দ্রবংশীয় রাজা। যে রাজা বাংলা ভাষায় কবিতা এবং গানও রচনা করেছেন। তার শখের মধ্যে ছিলেন ফটোগ্রাফি। সদ্য-মৃত পাটরানির শোকের সময় তিনি ঠাকুর পরিবারের তরুণ কবি রবীন্দ্রনাথের "ভগ্নহৃদয় " পড়ে সান্ত্বনা পেয়েছিল���ন এবং কবিকে রাজস্বীকৃতি দিয়েছিলেন। মহারাজা এবং তার পুত্র ছিলেন বাংলা ও বাংলা সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক।
    উপন্যাসের শুরু রাজপরিবারের মাধ্যমে হলেও মূল প্রতিপাদ্য কিন্তু রাজ পরিবার নয়। তা হলো তৎকালীন সময়।
    কবিগুরু উত্থানের সময় থেকে যার শুরু। তরুণ কবি দুবার বিলেত ফেরত। তাঁর ভাইয়েরা স্নেহ করে তাঁর বইগুলো ব্রহ্মসমাজের প্রেস থেকে ছাপিয়ে দিতেন। তার প্রথম সাহিত্য সমালোচক ছিলেন তার নত���ন বৌঠান কাদম্বরী দেবী। কাদম্বরী দেবী আত্মহত্যা করার আগ পর্যন্ত কবির প্রতিটি লেখার প্রথম পাঠক ছিলেন তিনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লেখায় প্রথম দেশমাতার জন্য প্রেম দেখতে পায় বঙ্গভঙ্গের সময়। কবি একনাগাড়ে লিখে ফেললেন, 'ও আমার দেশের মাটি', 'এবার তোর মরা গাঙে বান এসেছে জয় মা বলে ভাসা তরী', 'সার্থক জনম জন্মেছি এদেশে',  'যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে ', 'আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি, তুমি এই অপরূপ রূপে বাহির হলে জননী'। তাছাড়া আমাদের জাতীয় সংগীত 'আমার সোনার বাংলা' সেসময়ে রচিত, যার সুরকার ছিলেন গগন হরকরা।বঙ্গভঙ্গের আন্দোলনে কবি সামনে থেকে রাখিবন্ধন উৎসবের প্রথা প্রচলিত করেন যা আজও আমরা দেখতে পায়।
    নরেন দত্ত এবং শ্রীরামকৃষ্ণ সম্পর্কের জাগরণও জড়িত। শ্রীরামকৃষ্ণ 'যত মত তত পথ' এর প্রবক্তা এবং কালী সাধক ছিলেন। নরেন তার সংস্পর্শে এসে তার কাছ থেকে দীক্ষা নেন। পরে নরেন দত্তই ব্রহ্মচর্যের দীক্ষা নেওয়ার পর হয়ে উঠেন স্বামী বিবেকানন্দ। স্বামী বিবেকানন্দ তৎকালীন সমাজের অনেক প্রথা ভেঙ্গে দিয়েছিলেন। কুসংস্কারে পতিত একটা ধর্মের ভাবার্থকে সামনে এনে চমকে দিয়েছিলেন পৃথিবীকে। সনাতন ধর্মের আধাত্মিকতা এবং জ্ঞানের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন অনেককে। তার টানে বিদেশ ছুটে এসেছিলেন ভগিনী নিবেদিতা।
    ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার ছিলেন সেসময়ের বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ। ভগ্নপ্রায় জাতিকে বিজ্ঞানের আলো দেখাতে তিনি গড়েছিলেন বিজ্ঞান সমাজ। বাঙালি জাতিকে বিজ্ঞানমনস্কক মানুষ করার জন্য এই ব্যক্তিটি আজও শ্রদ্ধেয়। ডাক্তারের কাছের মানুষ ছিলেন বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু। বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন মহেন্দ্রলাল সরকার এবং কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জগদীশ চন্দ্র বসু যখন দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য তখন তার চলছিলো আর্থিক সংকট। সে সংকটের কথা রবীন্দ্রনাথ ত্রিপুরার রাজা রাধাকিশোর মাণিক্যকে জানিয়ে উনার কাছ থেকে সাহায্যের আস্থা যোগাড় করেন। বৈজ্ঞানিক জগদীশ চন্দ্র বসু বাইরে গবেষণার অনেক খরচই বীরচন্দ্র মাণিক্যের পুত্র মহারাজ রাধাকিশোর মাণিক্য চালিয়েছিলেন।
    এরপর ধরুণ বাংলা থিয়েটার! বাংলা থিয়েটার যুগে কিছু মানুষের অবদান অনস্বীকার্য। যার মধ্যে রয়েছেন গিরিশ ঘোষ। যিনি ছিলেনসংগীতস্রষ্টা, কবি, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যপরিচালক ও নট। বাংলা থিয়েটারের স্বর্ণযুগ মূলত তারই অবদান। তিনি কুখ্যাত মদ্যপ থাকা সত্বেও ছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ ঠাকুরের প্রিয় শিষ্য।  তার হাত ধরেই রঙ্গমঞ্চে আসেন বিনোদিনী। ন্যাশানাল ছিলো এক অবাঙালি ব্যাবসায়ী প্রতাপচাঁদ জহুরী নামের ব্যক্তির। তিনি ব্যবসায়ী স্বার্থই সবসময় আগে দেখতেন। যার কারণে গিরিশ গোষ নতুন থিয়েটার গড়ার পরিকল্পনা করেন। তবে মূল সমস্যা ছিলো অর্থ। তার জন্য এক ২০-২১ বছরের ব্যাবসায়ী অর্থ প্রদান করেন। কিন্তু তার কারণে বিনোদিনীকে হতে হয় তার রক্ষিতা। বিনোদিনী তাই নতুন থিয়েটারের নাম রাখতে চেয়েছিলেন বি-থিয়েটার। কিন্ত��� সে তার কাছের মানুষ এমনকি গুরু গিরিশ গোষেরও ষড়যন্ত্রের স্বীকার হন। তার থিয়েটারের নাম দেন স্টার থিয়েটার। অর্ধেন্দুশেখর মুস্তফিও তৎকালীন থিয়েটার জগতের অন্যতম নক্ষত্র তিনি গিরিশ ঘোষের সহযোগী এবং পরে প্রতিদ্বন্দ্বীও হয়ে উঠেছিলেন। এছাড়াও যে মানুষটা নাম না বললেই নয় সে হলো অমরেন্দ্রনাথ দত্ত। যার হাত ধরেই স্টার থিয়েটার প্রতিষ্ঠিত।
    ভরত সিংহ-ভূমিসূতা লেখকের কল্পনাপ্রসূত চরিত্র হলেও তাদের জন্য উপন্যাস পরিপূর্ণ হয়েছে। এতসব বিখ্যাত চরিত্রের মাঝে এই দুটি কাল্পনিক চরিত্র মাঝে মাঝে সে-সব বিখ্যাত চরিত্রের মাঝে গিয়ে সবার মাঝে এক জাল সৃষ্টি করে সকল চরিত্রকে এক উপন্যাসে গেঁথে দেন। ভরত সিংহ ত্রিপুরা রাজা বীরচন্দ্র মাণিক্যের কাছুয়ার সন্তান। আর ভূমিসূতা পুরীর মেয়ে। ওদের নিয়তিকে লেখক যেভাবে পরিচালনা করেছেন তাতে সেটা হয়ে উঠেছে অনবদ্য।
    এছাড়াও তৎকালীন সময়ের অনেক আলোচনীয় ব্যক্তিবর্গের আনাগোনা হয়েছে এই উপন্যাসে। যেমন, ইন্দিরা দেবী, সরলা ঘোষাল, কেশব সেন, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, গোখ্লে, তিলক, হেম, ক্ষুদিরাম, সত্যেন, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাদম্বরী দেবী, জ্ঞাননদানন্দনী, অরবিন্দ ঘোষ, বারীন প্রমূখ ব্যক্তিবর্গ।

    এই বইয়ের রিভিউ দেওয়া আমার সাধ্যের বাইরে। যতটুকু পারি গুছিয়ে শুধু মূল ব্যাক্তিদেরই আনারা চেষ্টা করেছি। যারা। এই উপন্যাসের মূল পটভূমিতে রয়েছেন। উপন্যাসের সময় কাল ১৮৮৩-১৯০৭ সাত সাল ব্যাপি বিস্তৃত। বঙ্গভঙ্গের ফলে যে বিশাল জনতা প্রতিবাদের ঝড় তুলেছিলো তাতেই বোঝা যায় এই জাতি আবার তৈরি হচ্ছে রাজশক্তির বিপক্ষে। তারাও রাজশক্তিকে হটিয়ে দেশকে স্বাধীন করার পণ করছে। এই বই নিয়ে যতই বলি কম হয়ে যাবে। যতক্ষণ না এই উপন্যাস আপনি পড়ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে উপলব্ধি পারবেন না। এই উপন্যাসের নায়ক স্বয়ং সময়। কবিগুরুকেও মাঝে মাঝে নয়ক বলে মনে হবে না। এত এত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মাঝে কাকে নায়ক বলা হবে তাই বোঝা দায়।

    প্রথম আলো বাঙালির জীবনের উদিত ভোরের জবাকুসুমসঙ্কাশ সূর্যের মতোই। এক জাগরণের সূচনার, এক নতুন ইতিহাস লেখার সূচনার আগমুহূর্ত এটি!

  • Ferdous Hriday

    বইটা প্রথম যখন পড়া শুরু করেছিলাম, শেষ করতে পারি নি। নিজের ব্যস্ততা ছিলো, মনযোগ কম ছিল, তাই বিশালতায় হারিয়ে গিয়েছিলাম। পরে যখন হাতে অফুরন্ত সময় নিয়ে পড়তে বসলাম, আবারো বইয়ের বিশালতায় হারিয়ে গেলাম, শেষ করলাম বইইয়ের শেষে, বুভুক্ষু ক্ষুধা আর আক্ষেপ নিয়ে, কেন ওই সময়ে জন্মালাম না!!!

  • Asifami Saikat

    সব বাঙ্গালির অবশ্য পাঠ্য একটা বই
    বার বার পড়ার মতো

    বাংলাদেশের মানুষের জন্য পড়া আরো জরুরি আমাদের স্বাধীনতার আগের গল্পগুলো জানার জন্য