Title | : | প্রথম আলো ২ |
Author | : | |
Rating | : | |
ISBN | : | 8172155468 |
ISBN-10 | : | 9788172155469 |
Language | : | Bengali |
Format Type | : | Hardcover |
Number of Pages | : | 717 |
Publication | : | Published January 1, 1997 |
প্রথম আলো ২ Reviews
-
আমি কোন বই শুরু করার আগে বইয়ের পিছনের ও সামনের লেখাগুলি পড়তে ভালবাসি ,প্রথমেই বিস্মিত হয়ে গিয়েছি বইয়ের শেষের রেফারেন্স লিস্ট দেখে ,লেখক কতটা সময় ও ধৈর্য বইটি লিখেছে তা বুঝতে অসুবিধা হয় নি ।
উনবিংশ শতাব্দীর শেষ আর বিংশ শতাব্দীর শুরুর সময়টাকে লেখক যুগলবদ্ধ করেছেন ।দুই বাংলার ভাগ হবার সূত্রপাতও এই সময়েই হয়েছিল, যা নিয়ে লেখক "পূর্ব-পশ্চিম" নামে আরেকটি মাস্টারপিস রচনা করেছেন। ঐতিহাসিক নামগুলোকেই ব্যাবহার করেছেন উপন্যাসে যা পড়তে গিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে রবিঠাকুরের কথাগুলি যেন আমি শুনছি ছায়ামূর্তি হয়ে ,শুধু আমার কথা বলার ক্ষমতা নেই শুধু মুগ্ধ হয়ে শুনতে হবে । প্রথম-খণ্ড পড়ে ঘোরের মধ্যে ছিলাম তাই দ্বিতীয় খণ্ড পড়তে দেরি করিনি। বিবেকানন্দের সাথে প্রথম খণ্ডে পরিচয় হলেও তাঁর চরিত্রের বিকাশ ঘটেছে দ্বিতীয় খণ্ডে তাছাড়াও রয়েছে ভরত আর ভুমিসুতার শেষ পরিণতি
বাংলা সাহিত্যে কিছু কিছু সাহসী নারী চরিত্র রয়েছে যারা শুধু নারীজাতির জন্য অনুপ্রেরণা ও অনুকররের উৎস হিসেবে থেকে যাবে আজীবন । শরৎবাবুর "বিলাসী" , "সাতকাহনের" দীপাবলির পর আবারও আমি কোন নারী চরিত্রের প্রেমে পড়লাম তা এই ভুমিসুতা। -
প্রথম আলোর দুটি খণ্ডকে শুধু ঐতিহাসিক উপন্যাস বলা যায় না, এরা তার চেয়েও বেশি কিছু। নিঃসন্দেহে আমার পড়া শ্রেষ্ঠ উপন্যাসগুলোর তালিকায় থাকবে প্রথম আলো। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সুনিপুণভাবে প্রতিটি চরিত্রকে নির্মাণ করেছেন, বাস্তব- কাল্পনিক প্রতিটি চরিত্রকে করে তুলেছেন জীবন্ত। পড়ার সময় ইতিহাসের একঘেয়েমি একটিবারের জন্যও আসেনি, তন্ময় হয়ে আমি পড়েই গেছি। উপন্যাসটির ব্যাপ্তি বিশাল, ১ম খণ্ডের মাঝামাঝি কোনো জায়গায় কিছুটা ধৈর্যের পরিচয় দিতে হয়েছে আমাকে, এছাড়া পুরো উপন্যাসটিই আমার মনকে পড়ার জন্য তাড়িত করেছে। ত্রিপুরার মহারাজ বীরচন্দ্র মাণিক্যের দরবার থেকে কাহিনীর শুরু, এরপর সেটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দ, ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার, গিরীশচন্দ্র ঘোষ, জগদীশচন্দ্র বসু-- উনিশ শতকের শেষাংশের এমন অনেক প্রখ্যাত ব্যক্তির জীবন ছুঁয়ে গেছে। সবচেয়ে অসাধারণ ব্যাপার হচ্ছে, রবিঠাকুরকে চিনি আমরা তাঁর সাহিত্য থেকে, অন্যদেরকে খুঁজে পাই ইতিহাসের পাতায়, তবু এদের সকলকেই উপন্যাসের চরিত্র বানাতে পেরেছেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। বিশেষ করে, রবীন্দ্রনাথের বহু কবিতা গানের অন্তরালের গল্প আর ব্যক্তি রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে জানতে পারাটা যে কী ভীষণ রোমাঞ্চকর! বইয়ের ফ্ল্যাপে খুব সুন্দর একটা কথা লেখা আছে, উপন্যাসটি 'আমাদের দেশের অনতি অতীতের পুনর্দর্শন ও পুনর্বিবেচনার আয়োজন'। বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের আগমন, বাংলায় ধর্মীয়-সামাজিক নানা পালা-বদল, বাংলা মঞ্চনাটকের গোড়ার দিকের নানা ঘটনা, বঙ্গভঙ্গ, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন ইত্যাদি নানা বিষয় উপন্যাসে জড়িয়ে আছে, তাই পুরো উপন্যাসটিই ভারতবর্ষের ঐসময়কার ইতিহাস সম্পর্কে পাঠককে একটা ধারণা দেয়, বুঝতে সাহায্য করে।
কাল্পনিক চরিত্রগুলোও দারুণ সাবলীলভাবে জ���়িয়ে গেছে কাহিনীর সঙ্গে। ভূমিসুতার চরিত্রটি সবাইকে মুগ্ধ করবে, অসাধারণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এক মেয়ের ছবি এঁকেছেন সুনীল। ত্রিপুরার মহারাজের ঔরসে এক রক্ষিতার গর্ভে জন্ম নেয়া ভরত শুরু থেকেই উপন্যাসের অন্যতম প্রধান চরিত্র হয়ে ছিল। ত্রিপুরা থেকে সে একসময় বিতাড়িত হয়, তার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে যায় ভূমিসুতা নামটি। বারবার মৃত্যুর দ্বার থেকে বেঁচে ফেরা ভাগ্য বিড়ম্বিত ভরতের সঙ্গে ভূমিসুতার সম্পর্কের নানা চড়াই-উতরাই, পিতৃসম মাস্টার শশীভূষণের সঙ্গে ভরতের জটিল এক দ্বন্দ্ব, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে ভরতের জড়িয়ে পড়া, এসব মিলিয়ে ভীষণ সুপাঠ্য এক গল্প গড়ে উঠেছিলো উপন্যাসের ভেতর; এ গল্প কখনো ঝিমিয়ে পড়েনি, থমকে দাঁড়ায় নি, চমৎকারভাবে প্রবহমান হয়ে ছিল।
পড়তে পড়তে বিস্মিত হতে হয়- এত এত চরিত্র উপন্যাসটিতে, এত ভিন্ন ভিন্ন রকম চরিত্রের সন্নিবেশ ঘটেছে এটিতে, তবু প্রতিটি কাহিনী, প্রতিটি ঘটনা, প্রতিটি চরিত্রকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় যেন কোনো এক জাদুবলে অদৃশ্য এক সুতোয় বেঁধে ফেলেছেন। কী পরিমাণ পড়াশোনা তাঁকে করতে হয়েছে বইটি লিখতে গিয়ে, সেটি দ্বিতীয় খণ্ডের শেষে দেয়া গ্রন্থপঞ্জি দেখলেই বুঝতে পারবেন। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় প্রকৃত অর্থেই অসাধারণ একজন ঔপন্যাসিক, এটি বুঝতে 'প্রথম আলো' পাঠই যথেষ্ট। হোয়াট এ মাস্টারপিস! -
বেশ ধীরে পড়লাম এই খণ্ড এবং প্রত্যেকটি অধ্যায় ভীষণ ভালো লেগেছে। খুব বেশি অবাক হয়েছি বইয়ের শেষের রেফারেন্স লিস্ট দেখে! অবশ্য পুরো বইটি এতো বেশি ঘটনাবহুল যে বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে লেখক কত সময় দিয়েছেন এই বইটির পেছনে! একের পর এক চমক ছিল প্রত্যেক অংশে।
ভুমিসূতা মনে হয় আমার সবচেয়ে প্রিয় চরিত্র ছিল। এতো সাহসী কোন চরিত্রের সাথে পরিচয় হয়নি অনেকদিন। প্রথম খণ্ডের শেষে ভেবেছিলাম ভরতের মতোই ভুমিসূতাকে আর খুঁজে পাবো না এই খণ্ডে, কিন্তু লেখক নিরাশ করেন নি।
রবি ঠাকুর থেকে বিবেকানন্দ, সবার জীবন কাহিনী জীবনের এতো সুন্দর করে গল্প আকারে তুলে ধরেছেন সুনীল যে তা সত্যি প্রশংসার দাবিদার।
এক কথায় চমৎকার ছিল বইটি। :) -
বিশাল কাহিনি পড়ার ভেতর ঝামেলা আছে। পড়তে পড়তে একসময় নিজেরে কাহিনির চরিত্র মনে হয়। গ্যালারি তে বসে নাটক দেখা আর দেখতে দেখতে স্টেজে উঠে নিজেই ছলাকলার অংশ হয়ে যাওয়ার মধ্যে পার্থক্য বিস্তর। গেছিলাম তো আরেকটু হইলেই মঞ্চে উইঠা...
তো যাই হোক প্রথম আলো শেষ হলো। বলা যেতে পারে খুব অদ্ভুত অবস্থায় শেষ হইছে। ভারতবর্ষের নানা জায়গায় ফাটল ধরা শুরু করছে। মুসলমান বলতেছে আমরার ভাগের টুক লেইখা দে, হিন্দু বলতেছে দিমু না যা করবি কর গা টাইপ অবস্থা।
ওদিকে রবীন্দ্রনাথ আবার তার দুই কন্যার অপদার্থ জামাইয়ের দ্বারা দারুণ নাকানিচুবানি খাইতেছেন।
জ্ঞানেন্দ্রনাথ ঠাকুর জাহাজ বিজনেসে ইংরেজদের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে সর্বশান্ত হয়ে গেছেন।
কাজের কাজ ঠিকমতো কিছুই হলো না কিন্তু বিবেকানন্দ অতৃপ্তি নিয়েই মইরা গেলো ।
লর্ড কার্জন বাংলায় আইসা বিপুল বিক্রমে গর্জন তর্জন করে শেষ পর্যন্ত অসুস্থ মুরগির মতো ঝিমাইতে ঝিমাইতে জাহাজে উইঠা চলে গেলো।
বাংলার কিছু ভাত পায় না পোলাও খাওয়ার চিন্তা করা লোকজন ; ইংরেজ অফিসার মারার জন্য পিস্তল, বোমা কিনার অর্থ সংগ্রহ করতে গিয়া, ��র তার বাড়ি গিয়া ডাকাতি করে, জনগণের দৌড়ানি খাইয়া, জঙ্গলে আশ্রয় নিলো।
সময় অস্থির, দেশ অস্থির, পাত্র-পাত্রী অস্থির প্রায় তিন কেজি ওজনের বই নিয়ে আমিও অস্থির। শুয়ে পড়তে পারি না, বসে পড়তে পারি না, দাঁড়ায় পড়তে পারি না, মুখের উপর বই ধরে পড়তে পড়তে ঘুমাইয়া যাইতেও পারি না (একবার তন্দ্রার মতো আসছিলো এই জলহস্তি মার্কা বই দুম করে পড়লো মুখের উপরে !) তারপর তো আছে মশার উপদ্রব। এক হাতে বই সামলাইয়া আরেক হাতে মশা তাড়ানো কত যে পরিশ্রমের একটা কাজ ভালোমতো টের পেয়েছি। ওজনওয়ালা বই আর কেনা যাবে না��� পড়ার আগে কি সুন্দর লাগে কিন্তু পড়ার পর সিলি মিলি খুলে যায়, পৃষ্ঠা আলগা হয়ে যায় দূর থেকে দেখলে বই রে প্রতিবন্ধীর মতো দেখতে লাগে (ভাগ্য ভালো ডিকশনারি পড়ে শেষ করার নিয়ম নাই কিংবা দরকার নাই নাইলে ওটাও তো...)
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা নিয়ে কোন অভিযোগ নাই। তাঁর মতো ইতি-হাস আর কল্প-হাস দুইটারে এক খোপের মধ্যে ঢুকানোর সাহস কম লেখকের ই দেখা যায়!
ভদ্রলোকের ধৈর্য্যও বলিহারি। বইয়ের শেষে দেখলাম ১৭৫ টা বইয়ের নাম দিয়ে রাখছে যেখান থেকে উনি তথ্য সংগ্রহ করেছেন ; ব্রাকেটে আবার লেখা- ইংরেজি বইয়ের দীর্ঘ তালিকা দেওয়া অপ্রয়োজনীয়।
অবশেষে উদারহৃদয়ে সাধ্যের অভ্যন্তরে পর্যাপ্ত তারকা প্রদান কর্মসংস্থান বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণ -
প্রিয় লেখকের সবচেয়ে প্রিয় বই।
সময়কাল ১৮৮৩ -১৯০৭।
এই বইয়ের রিভিউ দেয়ার যোগ্য মনে করি না নিজেকে।বদলে একটি প্যারাগ্রাফ তুলে দিচ্ছি আবার।
"বাঙালিরা ধর্ম নিয়ে মাতামাতি করে, ধর্মসংস্কারের ব্যাপারে কেউ কিছু বললেই গেল গেল রব তোলে,কিন্তু এই বাঙালিরাই ব্যক্তি জীবনে ধর্মের প্রায় কোনও নির্দেশই মানে না। সততা,পবিত্রতা, সেবা, এই সব ব্যাপারে তারা প্রায় অধার্মিক । বাঙালিরা খুব পরের সমালোচনা করে, পরনিন্দা করে কিন্তু আত্মসমালোচনা করে না। বাইরে খুব উদার মত প্রচার করে,নিজের পরিবারের মধ্যে অতি রক্ষণশীল। খবরের কাগজে তর্জন গর্জন দেখলে মনে হবে খুব সাহসী, আসলে অত্যন্ত ভীরু।
মোট কথা হল,বাঙালিরা বাইরে যতই উদার, শিক্ষাভিমানী, রুচিশীল ভাব দেখাক, আসলে তারা ভেতরে ভেতরে ভণ্ড। মুখে যা বলে,নিজে তা বিশ্বাস করে না। এমন ভণ্ড তুমি আর কোথায় পাবে। "
পটভূমি ১০০ বছরের বেশি আগের হলেও খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি বাঙালির মনোজগতে ।লেখককে 🙏🙏🙏❤❤ -
প্রথম আলো পুরোটা শেষ করে মনে হলো,চোখের সামনে এক শতাব্দী দেখতে পেলাম।কিছু বিখ্যাত মানুষের সাধারণ মানুষের রূপ দেখতে পেলাম,জানলাম।মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে যতটা পড়েছি,ইংরেজ শাসন নিয়ে পড়িনি।প্রথম আলো অনেকটুক আগ্রহ জাগিয়ে গেলো সেই সময়টা আরো ভালো করে জানবার জন্য।
বইয়ের শেষের রেফান্স বইগুলো "want to read" এর তালিকায় চলে গেছে।
সবশেষে ভরত আর ভূমিসুতার পরিনতি জানার ব্যাকুলতা সানন্দে মিটেছে।❤
বইটা শেষ করে হাহাকার লাগছে।
শেষ হয়ে গেলো?
যেন মধুর কিছু সম্পর্ক মিটে গেলো! -
ভরত বলল, আমার ভবিষ্যৎ কী আছে, আমি জানি না। ভূমি, সেই যে অনেক বছর আগে কলুটোলার কাছে দোকানের সিঁড়ি���ে তুমি বসেছিলে, আমি তোমার হাত ধরেছিলাম, তারপর এতগুলো বছর... আজ যদি তোমার হাতটা আবার ধরতে চাই, তুমি দেবে?
ভূমিসূতা নিজের ডান হাতের পাঞ্জার দিকে একটুক্ষণ তাকিয়ে রইলো, প্রায় ফিসফিস করে বললো, এই হাত, শুধু একজনেরই জন্য----
ডানপাশ ফিরে সে বাড়িয়ে দিল হাতখানি।
তারপর ওরা হাত ধরে চুপ করে বসে রইলো। আর কোনও কথা নেই, সমস্ত কথার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। ওরা বসেই রইলো। ঘাট ক্রমশ নির্জন হয়ে আসছে। বাতাস বইছে বেশ জোরে। বজরাগুলোও ফিরে যাচ্ছে। সবাই ঘরে ফিরছে। এই দু'জনের যেন কোনও ঘরবাড়ি নেই, কোথাও ফিরতে হবে না। এরকম একটি অনন্তকালের দৃশ্য হয়ে ওরা বসেই থাকবে।
রিভিউ:
* ঐতিহাসিক ফিকশন বৃহৎ উপন্যাস। কয়েক কথায় রিভিউ দেয়া প্রায় অসম্ভব
* মূলত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্ণাংগ জীবন উঠে আসলেও, প্রকৃতপক্ষে ভরতের জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতই মুখ্য ভূমিকাগ্রহণ করেছে বইটাতে।
* লেখক দুইখণ্ডের এই উপন্যাস রচনা করতে যে পরিমাণ পরিশ্রম আর অধ্যবসায় দেখিয়েছেন, তা তারিফের যোগ্য। উনি যে সব বইয়ের সাহায্য নিয়েছেন, তার লিস্ট দেখলেও ভীমরতিগ্রস্ত হতে হয়..
* সাধারণ অর্থে আমরা যাদের মহামানব মনে করি, তারাও কিন্তু রক্তমাংস এর মানুষ। ইহলৌকিক চাহিদা টাদের যেমন আছে, ভুল করার সাধারণ প্রবৃত্তিও তারা এড়াতে পারেন না। কারো ভক্ত হলেই সকল কিছুর উপরে তিনি থাকবেন, এমনটা ভাবা আসলে ভুল..
সবমিলিয়ে অসাধারণ এক উপন্যাস। মনজুড়িয়ে গিয়েছে, অনেক ভাল লেগেছে! -
সুনীল আমার একজন প্রিয় লেখকদের মধ্যে একজন। মূলত প্রথম আলো দিয়েই তার প্রতি আমার আগ্রহ জন্মে। কত কি পড়লাম এই প্রথম আলোর পর। তবে হ্যা, ২-র চেয়ে প্রথম আলো ১ ই আমার বেশি ভালো লাগে। কিছুটা যেন খেই হারিয়ে ফেলা ভাব রয়েছে বইটাই। তারপরো প্রথম আলো সবসময়ই আমার কাছে প্রিয় একটা বই যা আমাড় সুনীল-রাজ্যে ঢোকার প্রবেশদ্বার! ♥
-
দ্বিতীয় খন্ড যথারীতি ওই সময়ে জন্ম না নেয়ার আক্ষেপ আরো বাড়িয়ে দিল!
-
রামকৃষ্ণ পরমহংস, স্বামী বিবেকানন্দ, অর্বাচীন এক ঠাকুর তনয় থেকে গুরুদেবে রুপান্তরিত হওয়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাঙলা থিয়েটারের উত্থান পতন ও বাঙালি চরিত্রের বিশ্লেষণ। রবি ঠাকুরের ভাষ্যে বলা যায়,
পুণ্যে পাপে দুঃখে সুখে পতনে উত্থানে
মানুষ হইতে দাও তোমার সন্তানে
হে স্নেহার্ত বঙ্গভূমি, তব গৃহক্রোড়ে
চির শিশু করে আর রাখিওনা ধরে।
পদে পদে ছোট ছোট নিষেধের ডোরে
বেঁধে বেঁধে রাখিওনা ভালো ছেলে করে
শীর্ণ শান্ত সাধু তব পুত্রদের ধরে
দাও সবে গৃহছাড়া লক্ষ্মীছাড়া করে।
সাত কোটি সন্তানেরে, হে মুগ্ধ জননী
রেখেছ বাঙালি করে, মানুষ করোনি।
লেখকের আরেকটি চরিত্র ভরতের জবানিতে বলা যায় ,বাঙালিরা ধর্ম নিয়ে মাতামাতি করে, ধর্মসংস্কারের ব্যাপারে কেউ কিছু বললেই গেল গেল রব তোলে, কিন্তু এই বাঙালিরাই ব্যাক্তি জীবনে ধর্মের প্রায় কোন নির্দেশই মানে না। সততা, পবিত্রতা, সেবা, এই সব ব্যাপারে তারা প্রায় অধার্মিক। বাঙালিরা খুব পরের সমালোচনা করে, পরনিন্দা করে কিন্তু আত্মসমালোচনা করে না। বাইরে খুব উদার মত প্রচার করে, নিজের পরিব��রের মধ্যে অতি রক্ষণশীল। খবরের কাগজে তর্জন গর্জন দেখলে মনে হবে খুব সাহসী, আসলে অত্যন্ত ভীরু। মুখে যা বলে, নিজে তা বিশ্বাস করে না। এমন ভন্ড তুমি আর কোথায় পাবে!
এক কথায় অবশ্যপাঠ্য ও অসাধারণ বই। -
Much better than the first book,as it unfolds various dimensions of the lives of famous political,religious and literary actors (Rabindranath Tagore, Bibekanando,etc) and their roles in the partition of Bengal.
Such stories learnt through history gets boring,but the authors mixing of fiction and reality was so subtle that it makes the book enjoyable at the same time . -
এই মহাকায় উপন্যাসটি আমি "দেশ" পত্রিকায় ধারাবাহিক হিসেবে প্রকাশিত হবার সময়েই পড়েছিলাম| উপন্যাস হিসেবে এটিকে ৫ তারা ছাড়া অন্য কিছু বলা যাচ্ছে না| কিন্তু বই হিসেবে প্রকাশিত হবার পর, এবং বিয়েতে উপহার পাওয়ার পর দেখলাম যে এই সংষ্করণটি নিয়ে আরাম করে পড়াশোনা করা বেশ কঠিন (কিছুক্ষণ পর-পরেই হাত টনটন করে), আর দেশ-এ প্রকাশের সময় সুব্রত চৌধুরীর যে অলংকরণগুলো এক���া চমত্কার এফেক্ট এনেছিলো, সেগুলো বই থেকে সব বাদ পড়েছে| তাই একটি তারা গায়েব করে দিলাম| তবুও বলবো: বইটি অবশ্যপাঠ্য|
-
দুটো খন্ড একসাথেই পড়েছিলাম। [ I read it's two parts ]
-
Good book...but personally, I think Tagore is too larger than life to fit into Sunil Ganguly's Novel
-
দুই খণ্ডে রচিত প্রায় সাড়ে এগারশ পৃষ্ঠার একটা উপন্যাস।প্রায় দুই দশকের বেশি সময়ের একটা কাহিনী।যেই কাহিনী আমাদের এই ভারতবর্ষের।যেখানে লেখকের হাতে গড়া চরিত্র অল্প কিছু,বাকিরা আমার আপনার চিরচেনা।
ঐতিহাসিক উপন্যাস পড়ার আনন্দ হচ্ছে এখানে ইতিহাসের বিখ্যাত মানুষরা হাঁটাচলা করেন,কথা বলেন,সাধারণ মানুষের মত দুঃখ-সুখের একটা জীবন যাপন করার চেষ্টা করেন।এই উপন্যাসের এরকম চরিত্রের কয়েকজন হলেন রবীন্দ্রনাথ,শ্রী���ামকৃষ্ণ,স্বামী বিবেকান্দ,জগদীশ্চন্দ্র বোসের মত মানুষেরা।
শ্রীরামকৃষ্ণের প্রভাবে নরেন দত্ত নামক এক যুবকের স্বামী বিবেকানন্দ হয়ে ওঠা,তরুণ এক কবির ধীরে ধীরে একজন রবীন্দ্রনাথ হয়ে ওঠা কিংবা পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা না থাকা সত্ত্বেও একজন জগদীশ চন্দ্র বসু কিভাবে বিজ্ঞান জগতে প্রতিষ্ঠা পেলেন সেই গল্পগুলা নিঃসন্দেহে অন্যরকম এক ভাললাগার জন্ম দেয়।তবে এসব অবশ্যই উপন্যাসটির মুখ্য ব��ষয় ছিলনা।
স্বদেশী আন্দলনের সূচনা,ইংরেজ শাসকদের ধূর্ত চালে বঙ্গভঙ্গের মত ঘটনা,যেই বিভাজনে আবার মুসলমানদের সমর্থন-এই বিষয়গুলা খুব কাছ থেকে দেখা গেছে উপন্যাসে।দেশীয় রাজাদের অবস্থা,তখনকার কংগ্রেস রাজনীতি কিংবা শিক্ষাদিক্ষায় পিছিয়ে পড়া এক জাতির পরিচয় পাওয়া যাবে।যাদের সাম্প্রদায়িক মনোভাবকে কাজে লাগিয়ে ইংরেজরা বরাবর তাদের স্বার্থ হাসিল করেছে।
এছাড়া তৎকালীন সাহিত্য,নাট্যসমাজও এই উপন্যাসের একটা বড় অংশ জুড়ে।আর সবকিছু ছাপিয়ে লেখকের নিজ হাতে তৈরী কিছু চরিত্রের প্রেম,ভালোবাসা,জীবনের উত্থান-পতন আর দ্বন্দের কাহিনীগুলা নীললোহিতের অন্যান্য বইয়ের মতই।পার্থ্যক্য শুধু এই বইয়ে তারাও ইতিহাসের অংশ হয়ে গিয়েছে।
উপন্যাসটি যেমন উনবিংশ-বিংশ শতকের বিখ্যাত মানুষগুলোর যাপিত জীবনের খুঁটিনাটির গল্প বলেছে তেমনি ক্ষুদিরামের মত ১২ বছর বয়সের কিশোরের মধ্যেও কিভাবে স্বদেশিকতার বীজ বপন হইছিল তার স্বরূপ বুঝতে অনেক সাহায্য করবে।
সবকিছু মিলায়ে বইটা শেষ করে একটা ভাললাগা তৈরী হবেই। -
I read Sei Samay almost 5years back and the genius of Sunil Gangopadhyay unfurled through every pages of the novel that gave life to the pre-renaissance period of Bengal. For anyone who is an ardent Bengali in heart and soul, the two novels that are the vivid images of the rise of Bengal and the Bengalis are must reads. As I read through, the poet whom perhaps I loved since the days I read his Shishu poetry collection as a toddler came alive to me and showed the humane side of the poet. The magnanimous Vivekananda, the selfless Sister Nivedita and so many more eminent personalities who were just like some idol you worship for their greatness felt alive and dear. It is not a vivid historical documentation with extreme accuracy of facts and figures but it is the perfect picturisation of the times that I always imagined what if I could have been a part of. Perhaps I should stop here since I might go on forever. My favorite character: ofcourse the person who is every Bengali’s solace in every situation: Kobiguru Rabindranath Tagore.
I do not simply have the audacity or the calibre to rate this book. A must must read. -
রবীন্দ্রনাথ, শ্রীরামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, নিবেদিতা, জগদীশ বসু, মহেন্দ্রলাল সরকার, মহারাজা বীরচন্দ্র মানিক্য, গিরিশ ঘোষ, অর্ধেন্দুশেখর মুস্তাফি, অমর দত্ত, নটি বিনোদিনী, লর্ড কার্জন সহ উনবিংশ-বিংশ শতাব্দীর বাংলার অজস্র ছোট-বড় ঐতিহাসিক চরিত্রের অন্দরমহলে প্রবেশ করলাম এই বইয়ের হাত ধরে; অনুভব করলাম তাদের রক্তমাংসের মানুষ হিসেবে। 'প্রথম আলো' আমার জীবনের এক অনন্য অভিজ্ঞতা ।
-
উপন্যাস শুরুর সময় খেই হারায় ফেলতেছিলাম। কোথাকার কোন এক মহারাজ কি এক অনুষ্ঠান করবে... সারা রাজ্যের প্রজারা রাজধানীতে আসছে। শুরু করেও রেখে দিছিলাম অনেক দিন। দুই মাস আগের কোন এক দিন ঝোঁকের বশে শুরু করলাম, আর হারায় গেলাম! ইতিহাস আশ্রিত উপন্যাস... তবুও, ক্যামনে সম্ভব বিস্তৃত এই কাহিনি এতো সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা! লেখাও অনেক সহজসরল। আমার পড়া অন্যতম সেরা এক উপন্যাস হিসেবে থাকবে এটা। 😍😍
-
অপ্রয়োজনীয়ভাবে মধ্যে অনেক দীর্ঘ করেছেন, আর শেষও করেছেন এমন এক সময়ের প্রেক্ষাপটে যেখানে শেষ করা উচিত ছিলো না। কাহিনী ঝরঝরে নির্মেদ রেখে এগোলে অনায়াসে আরো কয়েক বছরের ইতিহাস এনে একটা প্রাসঙ্গিক অথবা পটপরিবর্তনের জায়গায় রেখে সমাপ্ত করতে পারতেন। শুধু শেষের দিকের কাহিনীর গতিশীলতা আর ৭৮ নং অনুচ্ছেদের জন্য একটা স্টার বেশি দিলাম।
-
most beautiful ending i have read so far.
Worth every seconds pounding for the miracle to happen. -
Finally, finished reading this book, as well as the chronology in 10 years.
-
অসাধারণ
-
৩.৫
-
One of the best. Must read is an understatement
-
Undoubtedly one of the outstanding masterpiece of Sunil Gangopadhay and of Bengali literature. It is a book every Bengali should read and every book lover will treasure it!
-
বাংলার গৌরবময় ইতিহাসের সাথে এত ঘনিষ্ঠ পরিচয় আগে কখনো হয় নি । বইটি প্রত্যেক বইয়ের আলমারিতে থাকা দরকার
-
প্রথম খণ্ড পড়ার পর সাথেই পড়া শুরু এবং শেষ ত করবই!!!! সুনীল সেরা।
-
কিছু কিছু বই আছে যাদের কাছে বারবার ফিরে আসতে ইচ্ছে করে। এই বইটা হচ্ছে সেই বইগুলোর মধ্যে একটা।